বলিভিয়া: পান্ডোতে সরকার মার্শাল ল জারি করেছে

বলিভিয়াতে সামাজিক অশান্তি চলছেই, আর সরকার বিরোধীরা সান্টা ক্রুজে সরকারী প্রতিষ্ঠান দখল করছে। ওদিকে পান্ডো অঞ্চলে সরকার সমর্থকদের সাথে সংঘর্ষে ১৫ জন নিহত হয়েছে। ফলশ্রুতিতে সেখানে সরকার মার্শাল ল আইন করে জরুরী অবস্থা জারি করেছে।

প্রেসিডেন্ট ইভো মোরালেস বিরোধী দলের সাথে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে আমেরিকার রাষ্ট্রদূত ফিলিপ গোল্ডবার্গের বহিষ্কার চেয়েছেন। এর ফলে আমেরিকাও সেখানে ওয়াশিংটনে বলিভিয়ার রাষ্ট্রদূত, গুস্তাভো গুজমানকে বহিষ্কারের কথা বলেছে। ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট হুগো সাভেজ একাত্মতার প্রতীক হিসাবে, তার দেশের আমেরিকার রাষ্ট্রদূতের বহিষ্কার দাবি করেছেন

অনেক ব্লগার এই ঘটনা নিয়ে লিখছেন, আর অনেকে নাটকীয় ঘটনাগুলোর ভিডিও আর ছবি তুলছেন। জুলিও রিকার্ডো জুনা কোসসিও তার ফ্লিকার অ্যাকাউন্টে সান্টা ক্রুজের প্রতিষ্ঠান দখলের ছবি দিয়েছেন। ভেসিনো বারিও ব্লগের ফার্নান্ডো এই সরকারী বাড়ীর ক্ষয়ক্ষতির ছবি দিয়েছেন।

Santa Cruz

সান্টা ক্রুজে গন্ডগোলের ছবি। জুলিও রিকার্ডো জুনা কোসসিও এর তোলা এবং অনুমতি নিয়ে ব্যবহৃত

গুজব আর গল্পের মাঝখানে প্রত্যেক শহরে ঘটা আসল ঘটনা জানা যায় না। রেঞ্জো কোলাঞ্জি প্রথম পুরুষে সান্টা ক্রুজের উত্তেজনাপূর্ণ এই অনিশ্চিত সময়ে তার অভিজ্ঞতার কথা বলেছেন। এর সাথে আছে সম্ভাব্য সংঘর্ষ সম্পর্কে এসএমএস আর অশান্তির গল্প:

A la una de la mañana fui llamado por un primo que me indico que se dirigía a la Plaza 24 de Septiembre debido a que le habían dicho que un grupo de masistas venia enfrentarse. Como vivo a pocas cuadras me dirigí a la Plaza, pero no ocurria nada en el lugar. (…) En la Plaza ya se sabía de esta camioneta y que también había una vagoneta Land Cruiser, que estaba realizando el mismo acto con cualquier grupo de jóvenes que era encontrado por las calles del centro.

ভোর একটায় আমার কাজিন আমাকে ফোন করে বলল যে সে ‘প্লাজা ২৪ দো সেপ্টিম্ব্রে’ এ যাচ্ছে কারন সে শুনেছে যে একদল এমএএস (সরকারী দল) সমর্থক সেখানে মুখোমুখী হতে এসেছে। আমি যেহেতু কয়েক ব্লক দূরে থাকি, তাই আমি প্লাজায় গিয়েছি, কিন্তু সেখানে কিছু হয়নি। প্লাজাতে সবাই এই ট্রাকের কথা জানতো (যা মানুষকে থামিয়েছে) আর একটা নাকি ল্যান্ড ক্রুজার ও ছিল যেটা শহরের কেন্দ্রে থাকা কোন তরুণদের দলের সাথে একই কাজ করছে।

এই অনিশ্চয়তা বিশেষভাবে তাদেরকে প্রভাবিত করছে যারা কোন মিছিল, বিক্ষোভ বা মুখোমুখী হওয়াতে অংশগ্রহন করেনি। সান্টা ক্রুজের কারেন হেরেডিয়া লিখেছেন যে অনেক পরিবার সাবধানতা অবলম্বন করেছে:

Me toco ir luego en la tarde al mercado, ahí veía a la gente comprar como si mañana no hubiera tal. Creo que hasta ayer, todo me parecía surreal hasta que escuche la charla de dos señoras, mientras la casera les vendía comida en lata. Ellas contaban como cada una de ellas se preparaban para lo peor, en este caso una guerra Civil. Argumentos a favor, argumentos en contra…

Lo que dijo una de ellas termino la discusión de quien tenia la culpa:

“Bueno, sea como sea, quien tenga la culpa, lo cierto es que no hay gas, no hay plata para comprar mas comida, gasolina ni diésel y ahora todos los días estamos con la pena de que nos maten, no se puede vivir así”

বাজারে যাওয়ার আমার সময় ছিল, আর সেখানে আমি দেখলাম লোকে জিনিষ কিনছে এমন করে যেন কাল কিছুই পাওয়া যাবে না। আমার মনে হয় গতকাল পর্যন্ত আমার কাছে সব কিছু অবাস্তব মনে হচ্ছিল। তবে আমি এটি অনুধাবন করতে পারি যখন আমি দুইজন মহিলাকে কথা বলতে শুনলাম এবং তখনই বিক্রেতা তাদেরকে টিনজাত খাবার বিক্রি করছিল। তারা বলছিল খুব খারাপ অবস্থার জন্য তারা কি ধরণের প্রস্তুতি নিচ্ছে, এই ক্ষেত্রে গৃহযুদ্ধ। এর পর পক্ষে, বিপক্ষে তর্ক…।

দোষ কার সেটা সম্পর্কে বিতর্ক শেষে তারা তাদের কথা শেষ করলো এভাবে:

“যার দোষ হোক না কেন, এটা নিশ্চিত যে গ্যাস নেই, খাবার, জ্বালানী বা ডিজেল কেনার টাকা নেই, আর এখন সবাই ভীত যে তারা আমাদেরকে মেরে ফেলবে, এইভাবে আমরা বাঁচতে পারিনা।”

কেন্দ্রীয় সরকার আর পান্ডো, বেনি, সান্টা ক্রুজ আর তারিজার ডিপার্টমেন্ট (জেলা) সরকারের মধ্যে বিরোধের মূল কারন হলো হাইড্রোকার্বন (তেল) থেকে আয়ের হিস্যা, যা কমিয়ে বয়স্কদের পেনশন সংক্রান্ত অন্য সরকারী প্রোগ্রামে অর্থ দেয়া হয়েছে, আর সাংবিধানিক খসড়া নিয়ে বিভেদ যা নিয়ে সরকার দেশব্যাপী একটা রেফারেন্ডাম (গণভোট) দিতে চায়। এই সব ডিপার্টমেন্টের (জেলার) গভর্নররা চাচ্ছে তাদের অঞ্চলের স্বায়ত্বশাসনকে সংবিধানের অন্তর্ভুক্ত করতে যা পূর্বে একটা সমালোচনামূলক রেফারেন্ডামে পাশ হয়েছিল।

এই সমস্যা নিরসনে সশস্ত্র বাহিনী একটা বড় ভুমিকা পালন করছে। প্রোন্টোর মিগুয়েল সেন্টেলাস লিখেছেন:

সশস্ত্র বাহিনীকে নিয়ে আর একটা প্রশ্ন আছে। এই পর্যন্ত মিলিটারি এটাকে গ্রাহ্য করেনি, যদিও তাদের প্রতিষ্ঠানে সরাসরি জনগণ হামলা করেছে (এর ফলে বেশ কিছু জুনিয়র অফিসার আহত হয়েছে)। পরিবর্তে সংঘর্ষ মূলত: হয়েছে নাগরিক দল যেমন ‘ইউ জে সি’ (স্বায়ত্বশাসন সমর্থক) আর ‘এম এ এস’ দলের সমর্থকদের মধ্যে। মিলিটারি কি শেষ পর্যন্ত আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করবে বা রাজনৈতিক ডায়ালগ নিশ্চিত করবে? ইভো (মোরালেস) কি মিলিটারির উপর নির্ভর করতে পারে তার সরকারকে সমর্থনের জন্য? এই পর্যন্ত মিলিটারি পরিষ্কার করেছে যে তারা ধংসাত্মক অস্ত্র ব্যবহার করতে চায়না প্রেসিডেন্টের লিখিত হুকুম ছাড়া (এর ফলে যে হতাহত হবে তারা তার দায়িত্ব নিতে চায়না)।

তবে সম্প্রতি আর্মড ফোর্সের একটা লিখিত বার্তায় দেখা গেছে যে তারা ইঙ্গিত দিয়েছে যে দখলকৃত বাড়ী পুনরুদ্ধার করতে তারা একটি অপারেশন চালাবে, আল মিনুটোর একটা রিপ্রিন্ট অনুযায়ী

মারিও ডুরান এই লেখায় অংশগ্রহন করেছেন লিঙ্কগুলো দিয়ে।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .