মিশর: তিনজন আরব সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বের মৃত্যু

এক মাসের মধ্যে আরব বিশ্ব তাদের তিনজন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বকে হারিয়েছে। তারা হলো মিশরীয় দাশনিক ড: আব্দেল ওয়াহাব এল মিসেরি আর চলচ্চিত্রকার ইউসেফ চাহাইন আর ফিলিস্তিনি কবি মাহমুদ দারভিশ। মিশরী ব্লগার এলঘারেপ বা ‘ভিনদেশী’ এই ক্ষতির কথা তার ব্লগে লিখেছেন:

فى خلال شهر واحد تقريبا توفى ثلاثة من أكثر من أسروا الثقافة العربية وهم على ترتيب ميقات الوفاة د. عبد الوهاب المسيرى و يوسف شاهين ومحمود درويش
الأول كاتب والثانى مخرج والثالث شاعر ….يختلفون فى المجال الثقافى فعبد الوهاب المسيرى الفيلسوف المصرى صاحب موسوعة اليهود واليهودية والصهيونية والذى أعطى كل مالديه أسرئا للثقافة …يوسف شاهين مخرج الوعى والذى جسدت أفلامه كل ألم مصرى وعربى من فيضان النيل ف”بن النيل” و النكسة فى ” عصفور ” وتوقعه بالنصر فى “الأرض” والكثير من الأفلام التى عبرت عن شئ واحد فقط وهو المصرى وقضاياه وأخيرا…محمود درويش ” شاعر الأنتفاضة والذى كتب بكل أسى عن شقاء الاجئ الفلسطينى المسحوق أمام قوة الأحتلال الصهيونى الغاشم وتخاذل الأنظمة العربية المخزى

গতমাসে আরব সংস্কৃতিকে প্রভাবিত করেছে এমন মহান তিনজন মারা গেলেন, ক্রমানুসারে ডঃ আব্দেল ওহাব এল মিসেরি, ইউসেফ চাহাইন আর মাহমুদ দারভিশ।

প্রথমজন লেখক, দ্বিতীয়জন চলচ্চিত্র পরিচালক আর তৃতীয়জন কবি ছিলেন। তিনজন তিন সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে কাজ করেছেন। আল মিসেরি মিশরী দার্শনিক ছিলেন যিনি ইহুদি, জুডাইজম আর জিওনিজম ওর উপর বিশ্বকোষ লিখেছিলেন। সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করতে যা লাগে তিনি সব দিয়েছেন। ইউসেফ চাহাইন একজন পরিচালক ছিলেন যার চলচ্চিত্র মিশরী আর আরববাসীদের সব কষ্ট লিপিবদ্ধ করতে চাইত যেমন নীল নদের বন্যার উপর চলচ্চিত্র ইবন এল নাইল (নীল নদের পুত্র) , পিছিয়ে পড়া নিয়ে আস্ফুর (পাখী) আর তার বিজয়ের প্রত্যাশায় এল আর্দ (ভুমি) সহ আরো বেশ কিছু চলচ্চিত্র যা একটি বিষয় নিয়েই আলোচনা করেছে: মিশরবাসী আর তাদের সমস্যা। আর শেষে মাহমুদ দারভিশ ইন্তিফাদার কবি যিনি জিওনিষ্ট আগ্রাসনের জন্য ফিলিস্তিনিদের ভোগান্তি আর আরব সরকারের অস্বস্তিকর দুর্বলতা নিয়ে লিখেছেন।

তিনি যোগ করেন:

الثلاثة يتشباهون فى شئ واحد ورئيسى الشأن العام والذى ظل مسيطر عليهم الى أخر لحظة فالمسيرى ظل الى أخر نفس رئيسا لحركة كفاية المصرية المعارضة بالرغم من سنه الكبير الذى لا يتحمل المطاردات الأمنية لأمن النظام المصرى ….وشاهين صاحب أقسى الأفلام السياسة نهاية بفيلم “هى فوضى ” والذى عرى فيه النظام البوليسى المصرى والذى لا يعبأ بالقضاء ولكن بأمنه فقط ….وأخيرا محمود درويش والذى الذى أستقال من منظمة التحرير أثر توقيع أتفاقية “أوسلو” فلم يقبل التخلى عن أى حق فلسطينى

তাদের জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত, তিনজনের একটা সাধারণ বিষয়ে মিল ছিল – জনগণের হিতের ব্যাপার। এল মিসেরি তার বার্ধক্য সত্বেও, মিশরের সরকার বিরোধী সংগ্রাম কিফায়ার একজন বিশিষ্ট নেতা ছিলেন। চাহাইন শক্ত শক্ত রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যা শেষ হয়েছে তার চলচ্চিত্র হেয়া ফাওদা (এটি বিশৃঙ্খলা) দিয়ে, যেখানে মিশরীয় পুলিশের ভোল খুলে দেয়া হয়েছে, যারা বিচারের পরোয়া করেনা বরং অন্যান্য ব্যক্তিগত উদ্দেশ্য ব্যাপ্ত। পরিশেষে দারভিশ প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশন (পিএলও) থেকে পদত্যাগ করেন অসলো চুক্তির পর যেহেতু তিনি কোন ফিলিস্তিনি অধিকার ছাড়তে রাজি ছিলেন না।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .