কলম্বিয়াঃ আধা-সামারিক বাহিনীর নেতাদের বিচারের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের হাতে সমর্পন

কলম্বিয়ার রাজনীতি গত দুই কি তিন সপ্তাহ ধরে উত্তাল। ১৩ ই মে কংগ্রেসে রাষ্ট্রপতি পুনঃনির্বাচনের জন্য ভোট প্রদানের সময় ঘুস-স্ক্যান্ডালের পরে অনেক চমৎকার চমৎকার সংবাদ এসেছে। আকস্মিকভাবে আধা-সামরিক বাহিনীর বহিষ্কৃত ১৪ জন নেতাকে মাদক-কারবারের অভিযোগে বিচারের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে হস্তান্তর করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতি আলভারো ইউরাইভের চাচাত ভাইকে আধা-সামরিক বাহিনীর সাথে সম্পর্ক থাকার অভিযোগে জেলে প্রেরণ করার পরে এই ঘটনা ঘটেছে। (৩০ জনের মত কংগ্রেস সদস্য এ পর্যন্ত জেলে গেছে এবং আরো ৩০ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে)।

কার্লোস কুয়েনটারো [স্প্যানিসে] যুক্তরাষ্ট্রের হাতে অভিযুক্তদের সমর্পনের সিদ্ধান্তের জন্য ক্রদ্ধভাবে কলম্বিয়া সরকারের সমালোচনা করেছেনঃ

No creo, como dicen hoy muchos columnistas, que haya fracasado la ley de Justicia y Paz. Más bien, creo que fue todo un éxito. Porque eso fue lo que negociaron en Ralito: una farsa de verdad, un teatro de justicia y nada de reparación. Eso fue lo que pactaron a puerta cerrada, a espaldas de un país que aún desconoce sus alcances.

অনেক কলাম লেখকের মত আমি মনে করি না ন্যায়বিচার এবং শান্তি বিধি ব্যর্থ হয়েছে বরঞ্চ আমি বিশাল সাফল্যই দেখি। কারণ সেজন্যে রেলিটোতে তারা সে সমাঝোতা করেছে তা ছিল সত্যিকারের প্রহসন, ন্যায় বিচারের একটা বিভ্রম এবং তা ক্ষতিপূরণের কোন কাজেই আসেনি। পুরো দেশকে আড়ালে রেখে তারা দরজার অন্তরালে চুক্তি হয়েছে। জনগণ জানে না তাদের অর্জন সম্বন্ধে।

বিপরীতভাবে, আট্রাবিলিওসো [স্প্যানিসে] তে জেইমি রেসট্রেপো এই সিদ্ধান্তের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন এবং বলেছেন, ন্যায়বিচার, শান্তি ও ক্ষতিপূরণ এতে বিঘ্নিত হবে নাঃ

কিন্তু এটা বেশ আবেগীয় যে আধা-সামারিক বাহিনীর নেতারা গ্রীষ্মকালিন অবকাশ যাপন কেন্দ্রে থাকতে পারছেন না (সরকারের কিছু সমালোচক ইটাগুইকে সর্বোচ্চ সুরক্ষিত কারাগার হিসাবে বর্ণনা করেছে), এমনকি কারাগারে ৮ বছর শাস্তি ভোগ করবে না (ন্যায় বিচার ও শান্তি বিধির সমালোচনা করার অন্যতম একটা বিষয়)। কারণ যুক্তরাষ্ট্রে ন্যায়বিচারের সবচেয়ে প্রয়োজনীয় হচ্ছে কর্তৃপক্ষের ইশারা পাওয়া এবং সত্য হচ্ছে হস্তান্তরকৃতরা উচুস্থানীয় এবং মাদক-আধাসামরিকদের হায়ারারকিকাল পিরামিডের নিচুতলার নয়। সেজন্য আশা জিইয়ে রাখতে পারে বটে কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তাদের কারাগারে ৮ বৎসরের অধিকই থাকতে হবে। এই যদি হয় ঘটনা যে তাদের সর্বোচ্চ সুরক্ষিত কারাগারেই সাজা ভোগ করতে হবে সেক্ষেত্রে সে কারাগার কলম্বিয়ায় হোক বা আমেরিকায়, পার্থক্য কি? কিছুই না। এটা স্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয় যে আধা-সামরিক বাহিনীর সাথে শান্তি প্রচেষ্টাকে অনেক নির্যাতিতই দেখছে নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে তিক্ত প্রতিশোধ হিসাবে – কিছুটা বোধগম্য যে এজন্য এই হস্তান্তরকে পুরস্কার নয়, নির্যাতনকারীদের জন্য আরো কঠোর শাস্তি হিসাবে তারা দেখবে। কলম্বিয়ায় হয়তো কোন সুবিধা বা সহায়তা পেতে পারতো কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রে মোটেও না, ফলে শাস্তির মাত্রা হবে আরো কঠোর।

রেসট্রেপো বিরোধী দলের পরস্পরবিরোধী বক্তব্যের সমালোচনা করেছেঃ

একসময় বিরোধী পক্ষ উরাইবকে তীব্রভাবে আক্রমণ করেছে এই অভিযোগে যে তিনি তার “সহযোগীদের” বিচারের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে না দিয়ে সুবিধা দিতে চান এবং দাবী করতো যে আধা-সামরিক বাহিনীর হুমকি মুক্ত হয়নি দেশ। উরাইব প্রশাসন এখন তাদের হস্তান্তর করতে রাজী হলে বিরোধী পক্ষের কাছে সেটা বেদরকারী মনে হলো এবং খুঁজে বের করলো যে তা ন্যায়বিচার ও ক্ষতিপূরণ আদায়ের প্রচেষ্টাকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। নিঃসন্দেহে এটা একটা পরস্পরবিরোধী অবস্থান। একসময় তারা হস্তান্তরের দরজা বন্ধ করতে চাইতো না এবং চাপ প্রয়োগ করতো যেন সে সম্ভাবনা উন্মুক্ত রাখা হয় – এখন সেটাই হয়েছে। তাদের ভুলে গেলে চলবে না যে অলটারনেটিভ ডেমোক্রেটিক পোল এবং কলম্বিয়ান লিভারেল পার্টি আধা-সামরিক নেতাদের বিচারের জন্য হস্তান্তর প্রক্রিয়ার শুরু করেছে – যাকে আবার এখন তারাই বীভৎস ও অসুবিধাজনক মনে করছে।


ইকুইনোক্সিয়ো
নামে একটা ডিজিটাল ম্যাগাজিনে মারসারেস ন্যায় বিচার ও শান্তি নিয়ে এই “কৌতুক” এর সমালোচনা করে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন যে তথাকথিত আধা-সামরিক রাজনৈতিক স্ক্যান্ডাল শেষ হবে এবং উরাইব দ্বিতীয়বারের মত পুনঃনির্বাচনে এগিয়ে যাবেঃ

সরকার অভিযোগ করেছে যে হস্তান্তরিত নেতারা সব সত্য কথা না বলে ন্যায়বিচার ও শান্তি বিধি ভঙ্গ করেছে, নির্যাতিতদের ক্ষতিপূরণ হিসাবে সব সম্পত্তি হস্তান্তর করেনি এবং কারাগরে বসেই অপরাধ করে যাচ্ছিলো। এটা সত্যি। নির্যাতনকারীরা বিচারবিভাগীয় কর্তৃপক্ষের কাছে সত্যি কথা বলতে টালবাহানা শুরু করেছিল, পরোক্ষভাবে হুমকিসহ কঠোর স্মৃতিভ্রংশের অজুহাতে সহজভাবে একটা কথাও বলেনি । তথাপি, তাদের রাজনৈতিক মৈত্রীদের বিষয়ে ইশারা এবং নির্যাতিতদের যেখানে মাটি চাপা দেয়া হয়েছিল সেই সমাধির ঠিকানা বের করার মত উল্লেখ্যযোগ্য অগ্রগতি হয়েছিল। মজাটা হচ্ছে সম্পদ হস্তান্তর নিয়ে। পরিমাণে তা এতই কম – যদি মুল্য না কমানো হয়ে থাকে বা অন্যের হাতে চলে গিয়ে থাকে, হিসাবান্তে প্রতিটা নির্যাতিত মানুষের ভাগে পড়বে ৪ ডলারেরর মত (৭০০০ কলম্বিয়ান পেসো)।

সরকারের নীলনকশা সত্যিকারের চিত্রটা হচ্ছেঃ যদি আধা-সামরিক নেতারা ন্যায়বিচার ও শান্তি বিধি ভেঙে থাকে, তাদের কেন অন্য সব অপরাধীর মত কলম্বিয়ার সাধারণ আইনে শাস্তি প্রদান করা হলো না? বড় কোন শাস্তি দিলে বোঝা যেত সরকার তাদের দণ্ড অব্যাহতি দিতে অনিচ্ছুক। কিন্তু তা করা হয়নি, ধারণা করা যায় সরকার নতুন সত্য উদঘটন এড়াতে চেয়েছে। যদিও এই অঙ্গীকার করা হয়েছে যে আধা-সামরিক নেতাদের যুক্তরাষ্ট্রে সত্য কথা বলতে বাধ্য করা হবে। কিন্তু সে বিচারের প্রস্তুতি এক বছর পর্যন্ত চলবে; ফলে আধা-সামরিক রাজনৈতিক স্ক্যান্ডালের কারণে সরকারের যে ক্ষতি হয়েছে তা ঘুচাতে পর্যাপ্ত সময় পাওয়া যাবে এবং দৃঢ় ও খোলা চিত্তে দ্বিতীয় বারের মত পুনঃনির্বাচনে মনযোগ নিবিষ্ট করতে পারবে সরকার। এড-হক কংগ্রেসে যেকোন আপদ বা হুমকী থেকে তারা এখন আরো নিরাপদ হয়ে গেলো।

প্লান কলম্বিয়া এন্ড বিঅন্ড থেকে এডাম ইসাকসন এ বিষয়ে লিখেছেনঃ

এখন যেহেতু তাদের অল্পই হারাবার ভয় এবং সম্ভবত ধরে নিয়েছে যে কলম্বিয়ার রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মাথাওয়ালারা তাদের কোন কাজেই আসবে না, আধা-সামরিক নেতৃবৃন্দ বেশী করে সত্য প্রকাশে আগ্রহী হতে পারে, বছরের পর বছর ধরে কারা তাদের সাহায্য করেছে, তাদের অর্থনৈতিক ও লজিস্টিক সহায়তাকারী চক্রটা দেখতে কেমন এবং নির্যাতিতদের ভাগ্যে আসলে কি ঘটেছিল। মায়ামীর একটা জেলের প্রকোষ্ঠে খুব অপ্রতুল সুবিধার মধ্যে বাস করে তারা চাইবে না তাদের সাহায্যকারীদের রক্ষা করতে। প্রশ্ন হচ্ছে আগ্রহীরা এসব তথ্য ব্যক্ত করতে পারবে কিনা। রাষ্ট্রপতি উরাইব এবং তার সরকার এজন্য অবশ্যই অভিযুক্ত হবে। কলম্বিয়ার তদন্তকারীদের অবশ্যই সম্পূর্ণ ও স্বাধীণভাবে “সত্যের সন্ধ্যনে” আধা-সামরিক নেতাদের জেরা করার অধিকার দিতে হবে।

ইসাকসনের মতে, যদি তদন্তকারীদের বন্দীদের সাথে কথা বলার অধিকার থাকে, তবে সেটা নির্যাতিতদের জন্য একটা বিজয় হিসাবে চিহ্নিত হবে। যদি তাদের সে অধিকার না থাকে, তবে তা “ কলম্বিয়াতে আধা-সামরিকতন্ত্র সম্ভব বানানো রাজনীতিবিদ, অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী ব্যক্তিবর্গ, সামরিক কর্মকর্তাদের জন্য একটা বিয়োগান্তক বিজয় হবে”।

রাজনৈতিক ব্লগ কলম্বিয়া হউ [স্প্যানিসে] দু সেন্ট যোগ করেছেঃ

Lo que ocurre es que una vez ante los fiscales gringos podrán negociar todo. En realidad en Colombia no les esperaban penas muy altas, por lo que en el país del norte la situación no será muy diferente, aunque es posible que allí consigan algún tipo de amparo frente a la Corte Penal Internacional. Es un buen plus. Más impunidad frente a los delitos de lesa humanidad. Más legalización de las fortunas. Más residencia legal y cambio de identidad. No suena mal.

যুক্তরাষ্ট্র্রের এটর্নীদের মুখোমুখি হলে তারা সব কিছুই সমাঝোতা করতে পারবে। প্রকৃতপক্ষে কলম্বিয়াতে তাদের কঠোর সাজা হবে না, তবে উত্তরাঞ্চলের দেশগুলোতে তাদের যে ভিন্ন কিছু হবে, তা নয়। সম্ভবত আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত থেকে তারা কিছু নিরাপত্তা পাবে। এটা একটা ভাল সুবিধা। এর ফলে মানবতার বিরুদ্ধে কৃত অপরাধের দন্ড থেকে অব্যাহতি প্রাপ্তির সুযোগ মেলবে। তাদের অদৃষ্টকে আরো বৈধতা প্রদান করা যাবে। বাসিন্দা হিসাবে বৈধতা প্রদানের সাথে সাথে আত্মপরিচয়ের পরিবর্তনের সুযোগ পাওয়া যাবে। শুনতে খারাপ লাগছে না।

হস্তান্তরের পরপরই জানা গেছে যে আধা-সামরিক নেতাদের কিছু ব্যক্তিগত কম্পিউটার ও সিম কার্ড কলম্বিয়ার কর্তৃপক্ষ যথাযথভাবে উদ্ধার করে নি [স্প্যানিসে]। এখনও তাদের আত্মীয়স্বজন সে সমস্ত হার্ডওয়ার ব্যবহার করতে পারছে [স্প্যানিসে]টিএনেন নুইভো [স্প্যানিসে] এবং রিকার্ডো বুইট্রাগো কনসুইগ্রা [স্প্যানিসে] এই বিষয়টা তুলে ধরেছেন।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .