মিশর: যখন ধর্ম আর রাজনীতি একসাথে ঘুমায়

মিশরীয় ব্লগার জেয়নোবিয়া তার সাম্প্রতিক এক লেখায় মিশরের পোপ তৃতীয় শেনুডাকে কড়া ভাবে সমালোচনা করেছেন এই বছরের তার ইস্টার উৎসবে প্রদত্ত ভাষণের জন্য:

আমার এখনো দু:খ আর রাগ হয় যখন ভাবি পোপ শেনুডা এই ইস্টারে কি বলেছেন আর মোবারাকের দীর্ঘ জীবনের প্রার্থনা করেছেন!! আর তার লোকদের সাবধান করে দিয়েছেন ইন্টারনেটে ধ্বংসাত্মক কথা শোনা থেকে বিরত থাকতে কারন তাদের জাহান্নামে পাঠানো হবে!!??

তিনি আরো বলেছেন:

কোন মুসলমান নেতার কাছ থকে এমনটি শোনা অবাস্তব কিছু নয়, আমি দীর্ঘদিন থেকে জানি যে ইমামের মসজিদে দেয়া বক্তৃতা নিরাপত্তা দপ্তর দ্বারা ছাড় দেয়া হয় প্রথমে, তাই তারা কি বলল তাতে আমরা বেশী গুরুত্ব দেই না, আর এটা বলার তো দরকার ই নেই যে ইসলামে ধর্মীয় নেতারা খ্রীষ্ট ধর্মীয় ব্যক্তির সমান ধর্মীয় মর্যাদা পায় না।

কিন্তু পোপ শেনুডার মতো একজন তার অবস্থানে থেকে এই ধরনের ফালতু কথা বলে গেলেন ফেসবুকারদের সম্পর্কে যে তারা জাহান্নামে পুড়বে, তাহলে আমাদের অবশ্যই প্রতিবাদ করা উচিত।

তিনি তার লেখা শেষ করেছেন এই বলে:

আমার মনে হয় না যে পোপ বা আল- আজহার (বিশ্ববিদ্যালয়ের) শেখের এ নিয়ে কোন ওজর থাকতে পারে বরং আমি সাহস করেই বলব যে তাদের প্রেসিডেন্টকে ভয় না পেয়ে প্রভুকে ভয় পাওয়া উচিৎ।

সাইবার এক্টিভিজম, ব্লগিং আর ফেসবুকের ব্যবহার সম্প্রতি মিশরীয় কর্মকতাদের নজরে এসেছে কারন অভিযোগ রয়েছে গত ৬ই এপ্রিল দেশব্যাপী এক ধর্মঘট যা মাহাল্লা শ্রমিকদের বিদ্রোহের সাথে মিলে গিয়েছিল তা অনলাইন থেকে শুরু হয়েছে। বেশ কিছু ব্লগার আর ‘এপ্রিল ৬’ নামে ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতাও ছিলেন ওইদিন আর পরবর্তী কয়েক দিনে কয়েক শত গ্রেপ্তারকৃত কর্মী, রাজনীতিবিদ আর পথিকদের মধ্যে। কিন্তু বাস্তবতা হল যে ফেসবুকের ওই দল ধর্মঘটটি করায় নি বরং শ্রমিকরা বেশী বেতন যার মাধ্যমে তারা ভালোভাবে বাঁচতে পারে তার দাবিতে করেছিল।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .