কলম্বিয়া: একটি প্রতিযোগীতা মাল্টিমিডিয়া নতুন নাগরিক সাংবাদিকের উদ্ভব ঘটাচ্ছে

অনলাইন টুলস এর মাধ্যমে অজানা কলম্বিয়াকে উপস্থাপন করতে পারলে হয়ত আপনিও যেতে পারবেন গুগলপ্লেক্সে, যদি আপনার কাজটি “বেস্ট টোল্ড প্লেস ইন কলম্বিয়া” প্রতিযোগীতায় সেরা নির্বাচিত হয়। এই লেখার প্রায় সব কটি লিন্কই আপনাকে হয়ত স্প্যানিশভাষী সাইটে নিয়ে যাবে যদি না অন্য কিছু উল্লেখ থাকে। কলম্বিয়ার সেমানা পাবলিকেশনস গুগল এর সাথে জাতীয়তা ভেদে সবার জন্যে উন্মুক্ত একটি প্রতিযোগীতার আয়োজন করেছে। এই প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণ করার জন্যে আপনি পৃথিবীর সবাইকে কলম্বিয়ার এমন একটি সুন্দর জায়গাকে উপস্থাপন করবেন যা হয়ত কম লোকেই জানে। শর্ত হচ্ছে এই উপস্থাপনায় পিকাসা, ইউটিউব, গুগল ম্যাপস, গুগল আর্থ, স্কেচআপ, পেজ ক্রিয়েটর, অথবা প্যানোরামিও এই গুগল টুলগুলোর যে কোন দুটি ব্যবহার করতে হবে এবং সমস্ত গবেষণা ও উপস্থাপনা ব্লগারে হোস্ট করা একটি ব্লগে লিপিবদ্ধ করতে হবে।

পুরস্কার ঘোষণার আগে বেশ কয়েকটি মনোনীত উপস্থাপনা সম্পর্কে বিচারকদের কাছে জানতে চাওয়া হবে। যে সমস্ত মানদণ্ড গুলো বিবেচনায় আনা হবে সেগুলো হচ্ছে বিষয়বস্তুর মান, প্রতিযোগী(দে)র উদ্ভাবন শক্তি, গল্পের প্রাসঙ্গিকতা, ব্যবহৃত টুলগুলোর সদ্ব্যব্হার, বিভিন্ন ওয়েব রিসোর্সের প্রয়োগ এবং পাঠকদের মতামত ও আগ্রহ।

এই প্রতিযোগীতার বিস্তারিত নিয়মাবলী এবং তথ্য পাওয়া যাবে কলম্বিয়া অঁ এল মাপা ওয়েবসাইটে। যদিও প্রতিযোগীতার পুরস্কার হচ্ছে ক্যালিফোর্নিয়ায় গুগল প্লেক্সে ভ্রমনের সুযোগ, বিজয়ী(রা) তাদের ব্যবহৃত টুলগুলোর নির্মাতাদের সাথে দেখা করারও সুযোগ পাবেন। আরও একটি সুন্দর প্রস্তাব রয়েছে উদ্যোক্তাদের কাছে। যদি কোন কারনে কলম্বিয়ান (বা বিশ্বের যে কোন স্থানের) বিজয়ী আমেরিকার ভিসা পেতে ব্যর্থ হয় তাহলে তাকে বা তাদেরকে আর্জেন্টিনার গুগল অফিসে নিয়ে যাওয়া হবে। আর্জেন্টিনায় ভিসা পাওয়া অনেক সহজ বিশেষ করে কলম্বিয়ানদের তো ভিসাই লাগে না।

কলম্বিয়া: এখানে আসতে একমাত্র ভয় হয়ত এখানে থেকে যেতে ইচ্ছা করবে

ছবি: লুজার সৌজন্যে

যদিও ওয়েবসাইটটি জানিয়েছে যে ভোটদান চলবে ৩১শে মার্চ থেকে ৬ মে পর্যন্ত আপনারা এখন থেকেই প্রতিযোগীদের কাজ দেখতে পারবেন (৭০টির মত) এবং ভোট প্রদান করতে পারবেন। একটি উপস্থাপনা আমার বেশ ভাল লেগেছে যার নাম হচ্ছে চোকোআন্ডো। এর লেখক হোসে আলেয়ান্দ্রো গন্জালেজ ভার্গাস, ইউটিউবে যিনি বার্সেলোম্বিয়া নামে পরিচিত, হৃদয় দিয়ে উপকূলীয় প্রদেশ চোকোর জীবনযাত্রা তুলে ধরার কাজটি করেছেন। তার ব্লগ নাটিভোস (যা অর্ধেক দিনপন্জী, অর্ধেক ভ্রমনকাহিনী) এ সেখানকার বিভিন্ন গল্প বলেছেন তিনি, ভিডিওতে নানা লোকের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন, চোকো প্রদেশের স্থানীয়দের সাথে কথা বলেছেন এবং তার বিভিন্ন অভিজ্ঞতা লিপিবদ্ধ করেছেন। চোকোর স্থানীয় প্রশাসন শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় সরকার দ্বারাই অবহেলিত নয়, সশস্ত্র সন্ত্রাস, বন্যা, খরা, এবং স্থানীয় আদিবাসী ও আফ্রিকান জনসংখ্যার দারিদ্রতা দ্বারা জর্জরিত। উইকিপিডিয়ায় বর্ণিত আছে: “যদিও চোকোর ভূ বৈচিত্র বেশ উল্লেখযোগ্য; অনন্য ইকোসিস্টেম এবং প্রাকৃতিক সম্পদ থাকা সত্বেও কলম্বিয়ার এই অন্চলে জীবন যাত্রার মান খুব খারাপ।”

তিনি চোকোর অন্যান্য ধনাত্মক বিষয় নিয়ে আলাপ করেছেন, এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, উল্লেখযোগ্য স্থান, মানুষ ও অন্যান্য বিভিন্ন গল্প নিয়ে।

নিন্মের ভিডওতে চোকোর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং এর অধিবাসীদের দেখানো হয়েছে যারা বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত থেকেও হাসতে ভুলে না। এটির শিরোনাম উরীব, কাস্তানো, মারুলান্ডা, বুশ এবং এটি কলম্বিয়ার নীতি নির্ধারকদের কাছে একটি আবেদন প্রচার করছে যে এই অন্চলের লোকদের ঠিক মত দেখভাল যেন তারা করে। এবং অবশ্যই বার্সেলোম্বিয়ার ইউটিউব চ্যানেল দেখতে ভুলবেন না যেখানে নিন্মেরটি ছাড়াও অন্যান্য ভিডিও রয়েছে যা কলম্বিয়া জুড়ে তোলা হয়েছে।

আরেকটি প্রতিযোগী ব্লগ হচ্ছে ভিক্টর সোলানোর ব্লগ যা রাইজিং ভয়েসেসের অনুদান প্রাপ্ত একটি প্রকল্প সান জাভিয়ের লা লোমা, মেডেলিনের হাইপারবাররিও নিয়ে লিখেছে। তার লেখার নাম হচ্ছে ‘লা লোমা তোকা এল সিয়েলো’ যার মানে হচ্ছে ‘লা লোমা আকাশ ছুঁয়ে যাচ্ছে'।

আপনারা প্রতিযোগীতার সমস্ত লেখা এখানে দেখতে পাবেন এবং তাদের ভোট দিতে পারবেন।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .