মিশর: চাইনিজ সামগ্রী

আপনারা নিশ্চয়ই চায়নার অর্থনীতির কথা জানেন যা পৃথিবীর অন্যতম বৃহৎ অর্থনীতি। তাদের বার্ষিক জিডিপি বৃদ্ধির হার হচ্ছে অবিশ্বাস্য ১০% এবং এর জন্যেই মিশরের বাজারে চায়নার জিনিষপত্রের ছড়াছড়ি দেখা যায়। যেই বিষয়টি মনে রাখার মতো সেটি হচ্ছে চাইনিজরা দোকান ছাড়াও ব্যাক্তিগতভাবে বিক্রির উপরও নির্ভর করে থাকে। মিশরের অনেক বাড়িতেই চাইনিজ বিক্রেতা আসলে বেশীরভাগই মহিলা বিক্রেতার আগমন লক্ষ্য করা যায় তাদের ভোগ্যপণ্য বিক্রয়ের জন্যে।

তায়ারা ওয়ারা একটি পোস্টে লিখেছেন এরকম একজন চাইনিজ মহিলার সাথে তার স্বাক্ষাতের ঘটনাটি:

দরজায় কড়া নাড়ার শব্দ হলো।

সে আমাকে ভাঙ্গা আরবীতে বলল “আপনি চাইনিজ কিছূ কিনবেন কি না?”

আমি সাধারণত: তাদের না বলে দরজা বন্ধ করে দেই। কিন্তু এবার আমার বাড়ী ভর্তি লোক ছিল বলে সাহস করে তাকে ভেতরে আসতে বললাম। সে মেছেতে তার ঝোলা রেখে তার সমস্ত জিনিষ আমাকে দেখাতে থাকলো। ঠেবল ক্লথ, কাপড় এবং কসমেটিক্স। আমি তার দিকে তাকিয়ে ছিলাম – আমার মনের ভেতরে অনেক প্রশ্ন। তার জিনিষগুলোর ব্যপারে নয় কারন ওসব আমাদের জানা যেই দিন থেকে ওরা জিনিষের পরিবর্তে নিজেদেরই এদেশে রপ্তানী করে এনেছে । কিন্তু কি কারনে সে এই কাজটি করছে? কেন সে এই সুদুরে উটের কুঁজের মত এই ব্যাগ কাঁধে ঝুলিয়ে ফেরী করে ফিরছে? আমি তার লক্ষ্য, স্বপ্ন এবং তার ক্ষুদ্রকায় বরের ব্যাপারে কৌতুহলী হলাম।

সে তার পরে লিখছে:

আমি এই লোকেদের (চাইনিজ) ব্যাপারে অভিভুত যদিও তাদের এই বিভিন্ন কোয়ালিটির জিনিষের ব্যাপারটি আমার পছন্দ হয় না.. সত্যিই সবচেয়ে বাজে মানের জিনিষই তারা আমাদের কাছে রপ্তানী করে। এই সব ছোট চোখ যখনই আমি দেখি আমার মনে হয় আমার সামনে পিঁপড়ার একদল সৈন্য যারা যে কোন কিছূই করতে সক্ষম।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .