শুভ মানবাধিকার দিবস

আজকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস আর যদিও এটি ভাল একটি উপলক্ষ পৃথিবীর অবস্থার ক্রমাবনতির কথা চিন্তা করার জন্য এবং মন খারাপ করার জন্য কিন্তু আমাদের কিছু মনে রাখার মতো বিজয়ও আছে। সারা বিশ্বের সাধারন কর্মী ও বিপ্লবীরা নতুন নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করছে তাদের কথা বলার জন্য আর সেন্সরশীপ আর নির্যাতনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য।

গতকাল বিভিন্ন মহাদেশ থেকে ৬ জন গ্লোবাল ভয়েসের ব্লগার ডেসমন্ড টুটু, মেরি রবিনসন আর গ্রেসা মাখেল এর সাথে কনফারেন্স কলে অংশগ্রহন করেছেন । এখানে আপনারা এই আলাপচারিতার অডিও রেকর্ডিং শুনতে পাবেন (ধন্যবাদ, প্রীতম রাই)।

নেলসন মেন্ডেলা, অং সাং সু কি এবং (ড: মুহম্মদ ইউনুসসহ) আরো ৮ জন মানবাধিকারের নায়ক সম্প্রতি দি এল্ডার্স নামক একটা নতুন দলে যোগদান করেছেন । তারা বিশ্বের ব্লগার আর নাগরিক মিডিয়ার কর্মীদের আহ্বান করেছেন তাদের কর্মসূচিতে সাহায্য করার জন্য যাতে মানবাধিকার বিষয়টিকে বিশ্বব্যাপী মানুষদের জন্য আরও কার্যকর করা যায় ।

একটি নতুন আন্দোলন

দি এল্ডার্স এর নতুন অনলাইন আন্দোলন , ‘প্রত্যেক মানুষেরই অধিকার আছে‘ চেষ্টা করছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সনদের পক্ষে যতগুলো সম্ভব সই যোগাড় করতে ।

ওপেনডেমক্রাসির মহিলাদের অধিকারের ব্লগ ৫০৫০ এ আমি লিখেছিঃ

… ডেস্মোন্ড টুটু বলেছেন যে তিনি ‘ এক বিলিয়ন’ সই দেখতে চান । আমি ভাবছি যে কয় জনা ওই লেখাটি পড়েছে? এমনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, ইউনিসেফ, অ্যাকশন এইড আর অন্যরা যারা এর সাথে যুক্ত তাদের বিশাল মেইলিং লিস্ট দেখে মনে হয়না প্রথম মিলিয়ন সই পেতে খুব বেশি দেরি হবে। কিন্তু ১ বিলিয়ন সই? কখনো কি এমন করা হয়েছে?

দ্বিতীয় উদ্দেশ্য হচ্ছে বিশ্ব নাগরিক আর কর্মীদের দিয়ে মানবাধিকার লংঘনের ভিডিও উইটনেসের নতুন ওয়েবসাইট দ্যা হাব এ আপলোড করা। আজকে এটি বেটা মোডে শুরু হচ্ছে। এই ধারনা প্রথমে গ্লোবাল ভয়েসের সাথে উইটনেসের একটা যৌথ পাইলট প্রজেক্টে পরীক্ষা করা হয়েছিল।

দ্যা হাবের সামির পাদানিয়া ওই কনফারেন্স কলে ছিল। তিনি দ্যা হাবের ব্লগে লিখেছেন:

… গ্রাসা মাখেল বলেছেন তৃণমূল পর্যায়ের মানবাধিকার সংস্থার কথা। তিনি দ্যা এল্ডার্স এর ‘পৃথিবীর সবার গল্প সবার সামনে আনার দায়িত্ব’ নেবার মনোভাবের কথা জানিয়েছেন। এবং একই সময় তিনি নতুন মিডিয়ার ক্ষমতাকে স্বীকৃতি দিয়েছেন যা কম সময়ে এই কাজ করতে সক্ষম এবং সেজন্যে ব্লগারদের অনুরোধ করেছেন বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার রক্ষার প্রচেষ্টা আর বিজয় এর গল্প তুলে ধরার জন্য।

আর তার পর তিনি হাবের একটা খুব গুরুত্বপূর্ন কাজের কথা বলেছেনঃ ”অভিযানটি বিশ্বব্যাপী ছড়াতে দরকার সেইসব ছোট সংস্থার সাথে এটির সহযোগীতা যাদের নিজেদের সামর্থ বা উপায় নেই বড় কিছু করার বা পরিচিতি পাবার।’

আপনি এল্ডার্সদের কি জিজ্ঞাসা করতেন?

দ্যা এল্ডার্সরা বলেছেন যে তারা ব্লগারদের সাহায্য চান তাদের কর্মসূচী সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আর তারা যে কোন প্রস্তাব সাদরে গ্রহন করবেন। আমরা সব প্রশ্ন করতে পারিনি – যেমন জন কেনেডি, গ্লোবাল ভয়েসের চাইনীজ ভাষার সম্পাদক তার লেখায় চাইনীজ আর ইংরেজিতে এই কনফারেন্স কলের কথা বলেছেন আর ফেসবুকের প্রায় ১৫০ জন বন্ধুর কাছেও ( কতজন এল্ডার্স ফেসবুকে আছেন, তিনি জিজ্ঞেস করেছেন)।

আবারও বলছি, কিন্তু আপনি তাদের কি জিজ্ঞাসা করতেন? বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার পূন:ব্যক্তকরন একটি ইন্টারনেট পিটিশনের মাধ্যমে তুলে ধরার জন্য যে আলোচনা, সেখানে কি করে বেশি ইন্টারনেট সুবিধা আর কথা বলার সুযোগ – এই নিয়ে কথা হয়? আমি যেখানে আছি সেখানে এটি একটা অবাস্তব ব্যাপার হতে পারে- কখন শেষ বার ১৯৮০ এর পরে জন্মানো কোন উত্তর আমেরিকান অনলাইন পিটিশনে সই করেছে আর তা মেনে চলার চেষ্টা করেছে? ফেসবুক ব্যবহারকারী হিসাবে আমি প্রতি মাসে সম্ভবত ১ ডজন পিটিশনে দ্রুত সই করি।

আমার মনে হয় এমন সময় গ্লোবাল ভয়েসেস অনলাইনে থাকা আন্তর্জাতিক পরিপ্রেক্ষিতগুলো সামনে আসে। নেলসন মেন্ডেলার মতো একজন বৃদ্ধ মুক্তিযোদ্ধার কাছে প্রাক – কমিউনিস্ট আর ৯/১১ এর পরের সময়ে আন্তর্জাতিক বিষয়সমুহ কি হতে পারে? তার কি কোন ব্লগ আছে? তাদের পরে এই সংগ্রাম চালানোর মতো কেউ কি আছেন? বর্তমান কাঠামো আর নেটওয়ার্কের সমস্যা কি যে এদের তাদের বুদ্ধি ব্যবহার করতে হবে তারা যা ঠিক মনে করে তা করে যাওয়ার জন্য?

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .