বাহরাইনঃ কার্বন মনোক্সাইড- নিরব ঘাতক

গ্যারেজের মধ্যে গাড়ীতে এক দম্পতি বসে আছেন। এয়ার কন্ডিশনার চলছে। তাদের মধ্যে একজন মারা গেল। এই গল্পটি বাহরাইনী ব্লগার ড. হাইতাম সালমান  আমাদেরকে জানাচ্ছেন (আরবী ভাষায়) এবং সাথে সাথে তিনি জানিয়েছেন এটা কি করে হয়েছে আর কি করে তা এড়ানো যায়।

ড. সালমান আমেরিকার মিশিগানে থেকে লিখেছেনঃ

কয়েকদিন আগে সংবাদপত্রে খবর এসেছে যে ২০ বছরের এক যুবক গাড়ীর মধ্যে দম বন্ধ হয়ে মারা আর মেয়েটা কার্বন মনোক্সাইড বিষক্রিয়া থেকে বেচে গেছে। তারা দুইজন একটা বন্ধ গ্যারেজে এয়ার কান্ডিশনার চালিয়ে গাড়ীর মধ্যে বসে ছিল। এটা নিয়ে কেউ চিন্তা করে নি যেহেতু সংবাদপত্রে কেউ এটা নিয়ে লেখেনি যদিও আগে এভাবে লোকে মারা গেছে। এই ধরনের ঘটনার পর কষ্ট, হতাশা, নিরবতা, স্ক্যান্ডাল ইত্যাদি প্রশ্ন মানুষের ভেতরে জাগে এবং ফিসফিস করে এসব নিয়ে গুজব ছড়াতে থাকে।

এই ধরনের ঘটনা যাতে না হয় এই জন্য তিনি মনে করেন যে সচেতনতা বাড়ানো দরকার।

আমার মতে সমাজে বিশেষ করে যুবকদের মধ্যে আমাদের সচেতনতা জাগাতে হবে কার্বন মনোক্সাইড যে নীরব ঘাতক তা সম্বন্ধে। এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যা হেলাফেলা করা উচিত না। যদি আমরা তা করি তাহলে এমন ঘটনা আবার হবে। আমার মনে হয় যে এমন বিষয় ড্রাইভারদের (লাইসেন্সের জন্যে) পরীক্ষার অংশ হওয়া উচিত।

চিকিৎসক হিসাবে ড. সালমান এই বিষাক্ত গ্যাস সম্পর্কে আমাদেরকে তথ্য দিয়েছেন। তিনি বলেনঃ

এই বিষাক্ত গ্যাসের বৈশিষ্ট হলো যে এটা ধীরে ধীরে কোন গন্ধ, স্বাদ ছাড়া বের হয় আর এত কোন অসস্তিও হয়না। এটি রক্তের হিমোগ্লোবিনকে আক্রমন করে শরীরে অক্সিজেন প্রবেশকে থামায়। অক্সিজেনের অভাবে লোকে দ্রুত শ্বাস নিতে থাকে এবং এই গ্যাস শরীরে বেশি পরিমানে প্রবেশ করে। ফলে বিষক্রিয়া আরও বেড়ে যায় আর অক্সিজেনের অভাব আরও বাড়ে। মস্তিষ্কে অক্সিজেনের অভাবে মানুষ জ্ঞান হারায় আর তার ফলে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচার সম্ভাবনা শেষ হয়ে যায়।

- আমিরা আল হুসাইনি

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .