উগান্ডাঃ দারিদ্র আর প্যারিস হিল্টন

বুধবার কাম্পালায় পাবলিক পোভার্টি ফোরামে একজন ব্লগার তুমউইজুকু জিজ্ঞেস করেছেন, ”তারা কি দারিদ্রের সংঙ্গা পাল্টিয়েছে? তারা কি মানসিক দারিদ্রের কথা বলেছে? নাকি তারা অনুষ্ঠানটিকে দেখা সাক্ষাত করার মাধ্যম আর কাজ থেকে ছুটি পাওয়ার সুযোগ হিসাবে দেখেছে, যেখানে দিন শেষে তারা আয়োজকদের টেবিলে ছুটে গেছে তাদের ভাতা নিতে। ৫০,০০০ অংশগ্রহনকারীর ভাতা?”

এই পোস্টটির ব্যাপারে বিচিত্র ধরনের মন্তব্য হয়েছে যেমন রাগান্বিত “সংসদ জ্বালিয়ে দাও” থেকে “মানসিক দারিদ্র? কি ধরনের মন?”। মাগুলা রুপকভাবে বলেছেন, ”আমাদের দরকার স্থিরভাবে বসে বোনোর সমাধানের জন্যে অপেক্ষা করা।”

এক মহাদেশ দূরে রিজল্ভ উগান্ডার ঊর্ধতন গবেষক পিটার কুয়ারান্টো একটা কঠিন প্রশ্ন জিজ্ঞেস করেছেনঃ

প্রায় তিন বছর ধরে উত্তর উগান্ডার সঙ্কট নিরশনের জন্য তিনি পশিমা বিশ্বের সরকারদের সাহায্য প্রার্থনা করছেন। কাম্পালায় সাহায্য এসেছে কিন্তু এ সমস্যা সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ঔদাসিন্যের জন্য দুই দশক ধরে যুদ্ধ চলছে। এখন ওয়াশিংটন, লন্ডন আর ব্রাসেলস সহ সব জায়গায় নেতারা এই দ্বন্দ্ব শেষ করার কথা বলছে।

তারপরও অগ্রাধিকার বিচক্ষনতার প্রমান করে না। অনেক পশ্চিমা অফিসার মরিয়া হয়ে সামরিক ভীতি দেখাচ্ছে যা চলমান শান্তি প্রক্রিয়াকে বিঘ্নিত করছে। এর ফলে আমার মতো কর্মীদের মনে হয় যে আমাদের চেষ্টা কি অসফল হল?

এর মধ্যে ডানিয়েল কালিনাকি উগান্ডার সাংবাদিক আর আফ্রিকা এলমানাক এর প্রতিষ্ঠাতা টিমোথি কাল্যেগিরার কঠোর সমালোচনা করেছেন জাতীয়ভাবে প্রকাশিত ডেইলি মনিটরকে তার ব্যক্তিগত মতামত প্রকাশের মাধ্যম হিসাবে ব্যবহার করার জন্য। ডানিয়েল মনে করে টিমোথির মতাদর্শ উগান্ডানদের ‘ধ্বংস আর বিচ্যুত’ করবে:

আমাদের অনেকের মতো টিমের কিছু পাগলামীর মূহুর্ত আছে। পার্থক্য হলো যে আমরা অনলাইনে পাগলামী করি আর সে জাতীয় পত্রিকায়। সে বলেছে যে উগান্ডানরা বিদেশে মাস্টার্স ডিগ্রির জন্য যে যায় তা অকাজের আর দেশে এসে দেশ পরিবর্তনের জন্য দেখাবার মতো তাদের কাছে কিছু থাকে না। এটা একটি বিপদজনক সরলীকরন আর ডাহা মিথ্যা কথা আর এই জন্য এটি অনাবৃত করা দরকার। টিমের পশ্চিমে উচ্চ শিক্ষা গ্রহনের ব্যাপারে মনে হয় সমস্যা আছে। সে এর আগে সেই সব উগান্ডান্দের যারা বিদেশে প্রশিক্ষনের জন্য যায় তাদের নীচু করে দেখিয়েছিল, কিন্তু এই সব লোকেরাই বাচ্চাদের স্কুলে রাখে আর টেবিলে খাওয়া পৌঁছে দেয়।

শেষে রাফসিজিল আর এক ধরনের ব্যাপার নিয়ে চিন্তিত; প্যারিস হিল্টন আফ্রিকায় আসছে:

তিনি ই অনলাইনে বলেছেন,”ওই এলাকায় এতো অভাব, তাই আমার মনে হয় যে আমি যদি ওখানে যাই তাহলে মানুষ সাহায্যের জন্য কি করতে পারে সে ব্যাপারে তারা আরো বেশি সজাগ হবে।”

আর একটা সুত্র বলেছে যে কিগালিতে যাওয়ার আগে হিল্টন উগান্ডাতে লুকিয়ে আসবে।

আমি জানি না উগান্ডাররা এই সুন্দরী সম্বন্ধে কি ভাববে যে তার যৌন টেপ, পার্টি আর একটা জেল মেয়াদের জন্য বেশি পরিচিত।

হয়তোবা জেল তাকে শুধরিয়েছে আর তাই সে বেশি দাতব্য কাজে যোগদান করছে।

“ যে সব দেশে দারিদ্র আর শিশুদের নিয়ে সমস্যা আছে সেই ধরনের দেশে আমি যেতে চাই। আমি জানি আমি সম্পৃক্ত হয়ে এই সব ব্যাপারে জনগনের মধ্যে সাড়া জাগাতে পারবো,” সম্প্রতি জেল থেকে ছাড়া পেয়ে সে বলেছে। এখন উগান্দা আর রুয়ান্ডার মানুষদের গর্বিত হওয়া উচিত যে সে প্রথমে তাদের কথা চিন্তা করেছে।

- রেবেকা হিকক

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .