কুয়েতে রমজান মাস পালন

রমজান মাস, খাবারদাবার এবং কেনাকাটা ছিল কুয়েতী ব্লগারদের মধ্যে সর্বাধিক উচ্চারিত বিষয়গুলো।

শুরু করছি হিলালিয়ার আমেরকে দিয়ে যিনি নামাজের ঠিক পুর্বে একটি মসজিদের (দুটি) ভেতরকার ছবি পোস্ট করেছেন:

“এটি খুবই সুন্দর ছবি আমের, বিশেষ করে আমাদের জন্যে যারা নামাজের সময় এর ভেতরকার সৌন্দর্য দেখতে পারি না,”মন্তব্য করছেন ইন্তিক্সপাত্র কুয়েত বসবাসকারী এক বিদেশি।

এরজুলি তার গতানুগতিক রোজার একটি দিনের বর্ণনা করেছেন:

রোজা শরীরের পাচনতন্ত্রকে শক্তিশালী করে। এটি ভাল। আমার কাছে রোজার দিনের যে জিনিষটি ভাল লাগে তা হচ্ছে বাসায় ঢোকার সময় ইফতারীর খাবারের চেনা গন্ধ কেমন মৌ মৌ করে। এটি কখনও বদলায়নি এবং আমার মনে হয় বদলাবেও না।

এক্সজম্বি নিক নিয়ে ব্লগ করেন কুয়েতের একজন উদীয়মানতরুন চলচিত্র পরিচালক। তার ব্লগ এক্সজম্বিইজমে তার নতুন পরিকল্পনা সম্পর্কে জানাচ্ছেন:

“আপনাদের মধ্য কেউ কেউ হয়ত জানেন যে আমি কুয়েতী ব্লগার এবং ব্লগোস্ফিয়ার নিয়ে একটি কাজ করছি। আমার এ নিয়ে তথ্য সংগ্রহের কাজ অতিসত্বর শেষ হবে এবং আমি ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেয়া শুরু করব।”

ফ্রান্কোম, সম্প্রতি টিপু সুলতান সেন্টারে (কুয়েতে একটি হাইপার মার্কেট) গিয়েছিলেন এবং তার অনুভুতির কথা লিখেছেন:

আমি সুলতান সেন্টারের কাছে ছিলাম। আমার দরকার ছিল টুথপেস্ট এবং কিছু চকলেট ও ক্যান্ডি কিন্তু আমি কি কিনে ফিরলাম?

…কেক, রুটি, ফলের রস, এমনকি বিভিন্ন ধরনের সস। কর্মচারী ও ক্রেতার ভীড়ে মার্কেটটি রমরমা ছিল, কেউ ভীড় করে ছিল দুগ্ধজাত পন্যের কাউন্টারে আর কেউ ছিল মাংস ও মাংসজাত পন্যের কাউন্টারে। সবকিছুই তাজা এবং বেকারী থেকে সুগন্ধ আসছিল। এবং সবকিছুই খুব গোছানো ছিল।

…এমনকি শ্যাম্পুও দেখতে বেশ লাগছিল। রোজার মাসে সুলতান সেন্টারে আসাটা একটি অপরাধ। আমার মনে হচ্ছিল আমি রোজাটা ভেঙে ফেলি।

আনাফিলিবিনি বলছেন রোজার সময় তিনি কুয়েতের কোন বিষয়গুলি পছন্দ করেন এবং তার কয়েকটির একটি তালিকা দিয়েছেন:

১) গাড়ী থেকে গরীব লোকদের খাবার ও টাকাপয়সা বিলানোর চিত্র

২) কাজ করার সময় দুই ঘন্টা কম

ইন্তিক্সপাত্র চিন্তা করছেন রোজার সময়ে কেনাকাটার সঠিক সময় কোনটি তা নিয়ে:

অবশেষে, আজ সকালে আমি কিছু কেনাকাটা করতে পারলাম। আমরা খুবই মরিয়া কারন বাসায় ডিম ও পেঁয়াজ নেই এবং দুধও কমে এসেছে। আমি বৃহস্পতিবার, রোজার প্রথম দিন কেনাকাটা করতে পেরেছিলাম। তারপর থেকে দুবার, শুক্রবার চার্চের পরে এবং শনিবার দুপুর দুটোর দিকে। উভয় সময়ই পার্কিং লটে ভীড় দেখে দোকানে ঢোকার সাহস আমার হয়নি। এটি সুলতান সেন্টার এবং কো-অপ দু জায়গার জন্যেই প্রযোজ্য।

এবং সর্বশেষে আইও৮১ এর কায়েস জানাচ্ছেন কিভাবে একটি দোকান কোনাফাকে (একটি আরব মুখরোচক খাবার) বদলে ফেলেছে:

আমি চিন্তা করতে লাগলাম কি করে একটি সাধারন আরবী মিস্টি কোনাফার বিজ্ঞাপন স্যাটেলাইট টিভিতে প্রচারিত হচ্ছে? কেন আরও কোনাফা বিক্রীরত দোকান এটি করতে পারল না? কেন একটি সাধারন মিস্টি নিয়ে এত মাতামাতি হবে?

- আব্দুল্লাতিফ আল ওমর

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .