সিরিয়াঃ লেবানিজ সীমান্ত আর টয়লেট শিষ্টাচার

সিরিয়ান ব্লগাররা এই সপ্তাহে আলোচনা করেছেন সিরিয়া-লেবানিজ সীমান্তে সিরিয়ান কর্মী আর তাদের পরিবারের ক্রমশ: খারাপ অবস্থা, সিরিয়াকে গোলান হাইট ফেরত দেয়ার জন্য ইজরাইলকে আহ্বান, চেক মেশিন গান আর টয়লেট শিষ্টাচার নিয়ে ।

ডিসেন্টারিং ডামাস্কাস এর গোলানিয়া সিরিয়া-লেবানিজ সীমান্তে সিরিয়ান কর্মী আর তাদের পরিবারের জীবনযাত্রার মান ক্রমশ: খারাপ অবস্থার দিকে যাওয়া নিয়ে তার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছেন:

ভেতরের ভীড়ের কারনে কঠোর পরিশ্রম করা লেবানিজ অফিসারদের গরম লাগছিল আর তারা রেগে যাচ্ছিল বাচ্চাদের চিৎকারে।

: বাচ্চা নিয়ে যারা আছে তারা বেরিয়ে যাও!

বেরিয়ে আসলে কোথায় যাবে? সামনের হলে অপেক্ষা করবে নাকি ঘন্টার পর ঘন্টা গ্রীষ্মের সূর্যের নীচে থাকবে?

এর পর আমি দেখলাম লেবানিজ অফিসাররা সিরিয়ান কর্মীদের লাইন থেকে টেনে বের করে দিচ্ছে বাইরে। একজন চিৎকার করলোঃ

: আমি এই লাইনে ১টা থেকে দাঁড়িয়ে আছি।

পাচটার সময় তাকে বের করে দেয়া হল।

দ্যা সিরিয়া নিউজ ওয়ার এর সাশা সিরিয়ার গোলান হাইট ফেরত পাওয়ার প্রচারনা নিয়ে লিখেছেন ( ইজরায়েল ১৯৬৭ থেকে এটা অধিগ্রহন করে আছে)।

সিরিয়ান গোলান হাইটে একটা গ্রীষ্মকালীন ক্যাম্প খোলা হয়েছে যা ইজরায়েলী বাহিনীর আওতায় আছে।

সিরিয়ার পক্ষে স্লোগান দিয়ে তারা তাদের জমি সিরিয়াকে ফেরত দেয়ার জন্য ইজরায়েলী সরকারকে আহবান করছে।

দ্যা দামাসিন ব্লগের আইমান মজা করে প্রত্যেক সিরিয়ান ছাত্রের একই ধরনের এক অভিজ্ঞতার কথা বলেছেন। তার মিলিটারি শিক্ষা ক্লাসে শেষ মৌখিক পরিক্ষা ছিল চেক মেশিনগানের উপর:

: এটা কি?

: আমি জানি না।

: ঠিক আছে, এটা কি?

: ঠিক আছে, এটা কি করে?

: আমি জানি না।

: এটাতো তুমি নিশ্চয় জানো?

: সত্যি, না।

(বিরক্ত হয়ে সে বন্দুকের বুলেট ক্লিপ আমার মুখের কাছে ধরলো।)

: দেখো, এটা বুলেট ক্লিপ। আমি তোমাকে জিজ্ঞেস করবো এটা কি, তুমি যদি না বলতে পারো তাহলে তুমি পরীক্ষায় ফেল করবে।

: জি, স্যার

: এটা কি?

: বুলেট ক্লিপ।

: তুমি এবার যেতে পারো।

সর্বশেষে বর্ণনা করছি ওয়াসিমের বিপদের কথা দিয়ে। প্রত্যেকবার সে দ্বন্দ্বের মধ্যে পড়ে পশ্চিমাদের ব্যাখ্যা করতে গিয়ে যে কেন ওদের টয়লেটে জগ/বোতল থাকে আর কেন ওদের টয়লেট ব্যবহার করার পর ধোয়ার অভ্যাস।

শোনার পরে তারা যে অবাক হয় আর ভীত হয়ে পরে তা দেখে আমারই অবাক লাগে, কিন্তু এটাতো বেশি সাস্থ্যসম্মত কাজ নাকি আমি সাংস্কৃতিকভাবে অন্ধ? আমি এটা বলছি কারন পশ্চিমে যাওয়ার পর আমার বেশিরভাগ বন্ধু এই অবস্থার মধ্যে পড়েছে। আমি আমি আফ্রিকান আর এশিয়ান বন্ধুদের কাছ থেকে শুনেছি যে এটি তাদেরও অভ্যাস। তাহলে কেন ইউরোপ আর আমেরিকার বেশিরভাগ মানুষ যাদের সাথে আমার দেখা হয়েছে এই ব্যাপারটা বুঝতে চায়না? যে দেশে টয়লেট আর শারীরিক ব্যাপার নিয়ে ঠাট্টা করা যায় সেখানে ব্যাপারটা এড়িয়ে যাওয়া আমি বুঝতে পারিনা।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .