প্যালেস্টাইনঃ শান্তি, যুদ্ধ আর রামাল্লাহ

মিনহোয়াইল ইন প্যালেস্টাইন এন্ড ইরাক প্রশ্ন করছেন “আপনি কি কখনও এমন কিছু পড়েছেন, যাতে ভয়ানক একটি ধাক্কা খেয়েছেন?” অবশ্যই, আমরা মনে হয় সবাই হয়ত এমন কিছু পড়েছি। এখন প্রশ্ন কোন লেখাটি এই ব্লগারকে বাকরুদ্ধ করেছে? এটা আসলে ইন্টারন্যাশনাল হেরাল্ড ট্রিবিউনে প্রকাশিত একটি লেখা যেখানে রামাল্লাহকে সিয়াটলের সাথে তুলনা করা হয়েছে। ওই ব্লগার মন্তব্য করেছেনঃ

রামাল্লাহকে কি প্যালেস্টাইনের এক টুকরো বেহেস্ত বলে মনে হয়না? আসলেই। চোখ বন্ধ করলে চেকপয়ন্টগুলোকে প্রায় উপেক্ষা করা যায় ।

রামাল্লাহ

কিন্তু যেখানে রামাল্লাহ কারো কারো জন্য বেহেস্ত কিন্তু গাজা এমন একেবারেই না। গাজা থেকে একজন ব্লগার জানিয়েছেনঃ

গত সপ্তাহে আমার পাড়ায় হঠাৎ একটি ইসরায়লি হামলা হয় যাতে ২৫ বছরের কম বয়সের ১১ জন শহিদ হয় ….. তরুণ যারা এখনো জীবন শুরু করেনি, কিন্তু ….

ওই ব্লগার আরো যোগ করছেন যে:

“এইসব হচ্ছে যখন আমরা লড়াই করছি …. কে ফাতাহ আর কে হামাস, এখনও আঙুল তুলে দোষ দেয়ার জন্য লোক খুজছি… শুধুই এদিক ওদিক দোষ চাপানোর চেষ্টা করছি…. এই মুহূর্তে আমার ভিতরে কি হচ্ছে তা বোঝার চেষ্টা করছি … কিন্তু আমার যন্ত্রনাদায়ক মাথায় পাগলামি ছাড়া আর কিছু আসছে না, শুধুই পাগলামি।”

রামাল্লাহের আর একজন ব্লগার অরেঞ্জেস এন্ড অলিভস বলেছেন কি করে হামাস আমেরিকাকেও ছাড়িয়ে গেছে:

মধ্য প্রাচ্যের আরেক দিক, গাজার দিকে নজর দাও। বাগদাদ এর পতনের পর হামাস ক্ষমতা দখল করে নেয় ৪ বছর আগে। এর পর হামাস কি করল? অবশ্যই একজিকিঊটিভ ফোর্স এর মত ছোট বাহিনী দিয়ে ২০ লাখ হতদরিদ্র লোককে শাসন করা যায় না। হামাস এখন সেই নিরপত্তা বাহিনীকে নিয়ন্ত্রন করে যা ফাতাহর ছিল। তারা পূর্বের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন নেতাদের তাড়িয়ে দিয়ে নিচের লোকদের পদোন্নতি করে এই সংস্থাগুলো চালাচ্ছে। যার জন্য সংস্থাগুলো এমন লোক দিয়ে চলছে যারা বরাবরই এখানে কাজ করত। ফলে এদের এই সংস্থা, এর কাজ আর দায়িত্ব নিতে শিখতে হয়নি, তারা শুধু নিজেদের কাজ করে গেছে।

তাই আমার মনে হয় যে হামাস আমেরিকার থেকেও চালাক যদিও ওদের মত মন্দ।

আই স’ ইট ইন প্যালেস্টাইন ২০০০ সাল থেকে নিহত ৯৪৩ ফিলিস্তিনি আর ১১৮ ইস্রায়েলি শিশুদের জন্য শোক করছেন

বুধবার আমরা লিক্কুদ পাটির একটা কনফেরেন্স (যারা ইস্রায়েলি দখল চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে) ১০৬৩ ফিলিস্তিনি আর ইস্রায়েলি শিশুদের সবার নাম পড়েছি যারা ২০০০ সাল থেকে এই পর্যন্ত মারা গেছে।

ওই ব্লগার আরো বলেছেনঃ

আমার জন্য এটা সহজ ছিল সালেভেট আর খালেদের মতন নাম উচ্চারনের জটিল কাজে ডুবে থাকায়। আমার সমস্ত মনযোগ দিয়ে আমি অজানা এবং কঠিন সব নাম পড়ছিলাম। কিন্তু তার পরেই আমি আমার খুব পরিচিত কিছু নাম পেলাম – ফাদি, জামিল, বাসসেম, হুদা, মোহাম্মেদ, রাছেল। আমি তখন আমার চেনা এই নামের বাচ্চাদের কথা চিন্তা করতে বাধ্য হই এবং ভাবি তারা ঠিক আছে কিনা।

সাথে সাথে এ প্রশ্নও করি:

“আর কত বছর? আর কত শিশু?”

একটা ভাল সুরে শেষ করার জন্য আমরা একজন ফিলিস্তিনি গৃহবধুর লেখা সম্বন্ধে বলব। প্যালেস্টাইনের শান্তির মূল গুরুত্বপুর্ন বিষয় হল স্বাধীনতার ধারনা আর এর সীমাঃ

স্বাধীনতা মানুষকে সে যা চায় তা করার সুযোগ দেয়, যদি তা অন্যের ক্ষতি সাধন না করে এবং সত্যের প্রতি অনুরক্ত থাকে। স্বাধীনতা যা ধর্মীয় চিন্তা-চেতনাকে স্বীকার করে না আর যা সদগুন ও সদাচারণের ভিত্তি হিসাবে কাজ করে না তা ক্রমেই অশান্ত হয়ে মানবতার পথ থেকে সরে যায়।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .