আফগানিস্তানের কথোপকথন: শিক্ষা, সঙীত, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং স্বাধীনতা

সান লীফ আফগানিস্তানের শিক্ষাব্যবস্থার দুরবস্থার কথা জানাচ্ছেন। এই ব্লগার বলছেন, এশিয়ার অন্যান্য দেশের শিক্ষাব্যবস্থার সাথে তুলনা করলে আফগান শিক্ষাব্যবস্থা খুবই করুন। নীচের পরিসংখানই বলে দেয় যে অনেক পথ অতক্রম করা বাকী। স্বল্পকালীন শিক্ষাপ্রকল্পগুলোর জন্যে অর্থসংস্থান এবং এগুলো বাস্তবায়ন করা নিয়েই সমস্যা বেশী। দেখা যায় ওগুলো মাঝপথেই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে এবং হাজারো শিশুদের স্বপ্ন ভঙ করে তাদের অশিক্ষা, উপেক্ষা এবং অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এই ব্লগার তার যুক্তির স্বপক্ষে এই পরিসংখানগুলো দিয়েছেন: ৫৪ লাখেরও বেশী শিশুরা স্কুলে ভর্তি হয়েছে যার মধ্যে ৩৫% মেয়েশিশু। ৫ বছর আগে এই সংখ্যা ১০ লাখের বেশী ছিল না এবং মেয়ে শিশুর সংখ্যা ছিল নগন্য। কিন্তু বর্তমান অবস্থায় স্কুলে পাঠরত শিশুদের মধ্যে অর্ধেকই স্কুল ছেড়ে দেবে। ফলে আবার লিঙ এবং প্রদেশগত বৈষম্যর জন্ম নেবে।

আফগানিস্তানের ক্যাট স্টিভেন্স :

সান লীফ আরও লিখেছেন একজন জনপ্রিয় আফগান গায়ক (ফারহাদ দারিয়া) সম্পর্কে যিনি অফগানিস্তানের ক্যাট স্টিভেন্স (ইউসুফ ইসলাম) নামে পরিচিত। এই শিল্পী সম্পর্কে তিনি বলছেন- আপনি গানের কথা জানেন বা না জানেন, এর সুর আপনাকে দুর কোন দেশে নিয়ে যাবে।

সুন্দর প্রকৃতি, ভয়ানক রাস্তা:

অন্নে পার্ল বামিয়ানের সুন্দর প্রকৃতির মধ্যিখানে তার যাত্রার কথা লিখেছেন এবং তিনি এর ঝুঁকির কথাও লিখেছেন। আফগানিস্তানের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কথা বলতে প্রথমেই যে স্থানটির কথা আসে সেটি হচ্ছে বন্দ-এ-আমির। কোহা-এ-বাবা পাহাড়ের মাঝখানে এই পরিচিত হ্রদগুলি আফগানিস্তানের গুটি কয়েক পর্যটন আকর্ষনের মধ্যে অন্যতম। হাজরো স্থানীয়রা পরিবার সহ এই হ্রদ দর্শনে আসেন দুর পথ পাড়ি দিয়ে। কাবুল থেকে এখানে আসতে প্রায় দেড় দিন লাগে। কিন্তু এ স্থানে এখনও অনেক লুক্কয়িত ল্যন্ডমাইন রয়েছে। তিন বছর আগে মুল রাস্তার কাছে একটি মিনিবাস মাইন দ্বারা বিস্ফোরিত হয়েছিল। ১৩জন ঘটনাস্থলেই মারা যান।

বাকস্বাধীনতা সংক্রান্ত প্রশংসা:

ফ্রি কিবোর্ড, একজন ইরানিয়ান ব্লগার (ফার্সীতে) তার আফগানিস্তান ভ্রমন সম্পর্কে লিখছেন। তিনি আফগানিস্তান এবং ইরানের মধ্যে বাকস্বাধীনতার তুলনা করেছেন। ইসলামী দেশ ইরানের মত ইসলামী দেশ অফগানিস্তানে সংবাদপত্র, ম্যাগাজিন, ইন্টারনেট এবং বইপত্রের প্রকাশে তেমন কোন বাধা নেই। আপনি যেমন ইচ্ছা তেমন ছাপাতে পারেন। উন্নত দেশগুলোর মতই আপনার ইন্টারনেট সাইট রাখাতে এবং তাতে ইচ্ছামত প্রকাশে কোন বিধিনিষেধ নেই। তবে কোন কোন ক্ষেত্রে চরমপন্থীরা আপনাকে হয়ত ভীতি প্রদর্শন করতে পারে।

এই ব্লগার বলছেন, যখন তিনি আফগানিস্থানে ছিলেন, তখন তার এক বন্ধু কাবুল এক্সপ্রস শুরু করেছিলেন এখন এটির প্রায় ৪০০০ পাঠক রয়েছে। তিনি বলছেন ইন্টারনেট স্বাধীন তবে খুব কম লোকই এটি ব্যবহার করে।

-হামিদ তেহরানী

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .