গল্পগুলো আরও জানুন তাজা খবর মাস জানুয়ারি, 2011
লেবানন: মিশরের সমর্থনে বিক্ষোভ
লেবাননের রাজধানী বৈরুতে, মিশরীয় দূতাবাসের কাছেই মিশরের বিক্ষোভ প্রতিবাদের প্রতি সমর্থন জানিয়ে এক বিক্ষোভ প্রদর্শনের আয়োজন করা হয়। যখন মিশরীয় নাগরিকরা রাষ্ট্রপতি হোসনি মুবারকের ৩০ বছরের শাসনের বিরুদ্ধে ক্রমাগত বিক্ষোভ প্রদর্শন করে যাচ্ছে, তখন সারা বিশ্ব থেকে একই ধরনের বিক্ষোভ প্রদর্শনের খবর আসছে।
মিশর: নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে নাগরিকদের তোলা ভিডিও প্রকাশ করা সম্ভব হয়েছে
মিশরে চলতে থাকা বিক্ষোভের প্রেক্ষাপটে ইন্টারনেট এবং মোবাইল ফোন সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, যার কারণে মিশরের নাগরিকদের পক্ষে সেখানে আসলে কি ঘটছে তা বাকি বিশ্বকে জানানো কঠিন হয়ে পড়েছে, তারপরেও কয়েকজন নাগরিক তাদের ভিডিও প্রকাশ করতে সক্ষম হয়েছে।
মিশর: সামরিক বাহিনী কি জনতার পক্ষে?
আজ সারা দেশ জুড়ে এক ব্যাপক বিক্ষোভে অনুষ্ঠিত হয়েছে, সেই কারণে রাতের বেলা সান্ধ্য আইন জারীর বিষয়টি প্রয়োগের জন্য সামরিক বাহিনীকে তলব করা হয়েছে। টুইটারে এই সংবাদটি বিস্ময়ের সাথে গ্রহণ করা হয়, সংবাদে প্রকাশ যে সামরিক বাহিনী জনতার পক্ষাবলম্বন করেছিল। সারা দেশ থেকে পাঠানো টুইটারে মধ্যে নির্বাচিত কয়েকটি অংশ এই প্রবন্ধে তুলে ধরা হয়েছে।
মিশর: বিপ্লবের দিনকে টুইট বার্তায় জানানো
ছোট সমাবেশের রিপোর্ট থেকে মিশরের বিভিন্ন শহরে হাজার হাজার বিক্ষোভকারীর মিছিল সম্পর্কে প্রতিক্রিয়াতে টুইটার রয়েছে সরব। ২৫শে জানুয়ারীর এই দেশব্যাপী ‘বিপ্লবের দিন’ পুলিশ দিবসের সাথে একই দিনে পড়েছে আর বিভিন্ন ক্ষেত্রের আর বিভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের মানুষ একত্র হয়েছে প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারকের ৩০ বছরের শাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করার জন্য।
মিশর: বিক্ষুব্ধ এক দিনের পরে, নেমে আসা রাত
মিশরে রাতের আকাশ যত বিস্তৃত হচ্ছে, ততই কায়রো এবং দেশটির বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদ চলছেই। বিক্ষোভের মতই পুলিশের আক্রমণ বেড়ে চলছে। কিন্তু সেই সাথে স্থানীয় বাসিন্দা এবং ব্যবসায়ীদের দয়ালু মনোভাবও ক্রমশ বিস্তৃত হচ্ছে। কিন্তু আগামীকাল পর্যন্ত বিক্ষোভ প্রদর্শন চালানো সম্ভব হবে কি না, তা এখনো দেখার বাকি রয়েছে।
মিশর: ছবিতে ২৫ জানুয়ারির বিক্ষোভ
একটি ছবি হাজার টুইটের চেয়ে বেশি কথা বলে, বিশেষ করে যখন মিশরে দেশটির আজকের চলমান বিক্ষোভের তথ্য যাতে প্রকাশ না হয়, তার জন্য টুইটার বন্ধ করে রাখা হয়।
আরব বিশ্ব: অন্যের অনুকরণে একই ভাবে স্বেচ্ছায় জীবন ত্যাগের ঘটনাকে উৎসাহ প্রদান করা উচিত নয়
তিউনিশিয়ার নাগরিক মোহম্মেদ বোয়াজিজি বেকারত্বের প্রতিবাদে গায়ে আগুন জ্বালিয়ে যে প্রতিবাদের সূচনা করছিল, এক মাসেরও কম সময়ে সেই আন্দোলন, দেশটির শাসক জিনে আলি আবিদিনের ২৩ বছরের শাসনের পতন ঘটায়। এর পর থেকে মৌরিতানিয়া, আলজেরিয়া ও মিশরে বেকারত্ব, জীবনযাত্রার ব্যয়ের ঊর্ধ্বগতি, দুর্নীতি এবং অন্যান্য অন্যায়ের প্রতিবাদে ১০ জন নাগরিক স্বেচ্ছায় প্রাণত্যাগ করে।
তিউনিশিয়া: তালার এক প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনা
তিউনিশিয়ার ব্লগ খায়াল ওয়া লায়াল (ঘোড়া এবং রাত্রি) তালার এক রমণীর লেখা চিঠি পোস্ট করেছে (আরবী ভাষায়)। এই চিঠিতে তারা এই কয়দিন যে ভয়ঙ্কর কিছু ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছে, তার কিছু বর্ণনা রয়েছে।
সৌদি আরব: তিউনিশিয়া থেকে পালিয়ে যাওয়া প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি সৌদি আরবে আশ্রয় গ্রহণ করেছে
যখন এই সংবাদ ছড়িয়ে পড়ে যে, পালিয়ে যাওয়া তিউনিশিয়ার প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি জিনে এল আবেদিন বেন আলি সৌদি আরব এসে পৌঁছেছে, সৌদি টুইটার ব্যবহারকারীরা এই বিষয়ে তাদের চিন্তা প্রকাশ করার জন্য এই প্লাটফর্ম ব্যবহার করছে।
লেবানন: এগারো জন মন্ত্রীর পদত্যাগ, সরকারের পতন
আজ সন্ধ্যায় আরব বিশ্ব থেকে আরো বড় খবর এসেছে। লেবাননের মন্ত্রীসভার ১১ জন সদস্য আজ পদত্যাগ করেছে। এর মধ্য দিয়ে লেবানন সরকারের পতন ঘটেছে। মন্ত্রীসভার সদস্য, সকল সদস্য অথবা হিজবুল্লার সহযোগিরা, লেবাননের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রফিক হারিরির হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গঠিত জাতিসংঘ তদন্ত কমিটির প্রদান করা অনুসন্ধানের উপর উত্তপ্ত আলোচনার পর পদত্যাগ করে।