গল্পগুলো আরও জানুন ফরাসী মাস জানুয়ারি, 2010
আরব বিশ্ব: বহুবিবাহের উপরে লেখা আলোড়ন সৃষ্টি করেছে
সৌদি সাংবাদিক নাদিন আল-বেদাইর মিশরীয় এক সংবাদপত্রে ‘আমি আর আমার চার স্বামী’ নামক এক বিতর্কিত প্রতিবেদন লিখে আরব এবং মুসলমান ব্লগ জগৎে সাড়া ফেলে দিয়েছেন। তবে অনেকে আবার তার লেখাকে সমর্থন করেছেন।
তিউনিশিয়া: এবার তারা এরাবিকা বন্ধ করে দিয়েছে!
তিউনিশিয়ার ব্লগার ফাতমা এরাবিকা। দুই মাস আগে তাকে একবার গ্রেফতার করা হয়েছিল। গত সপ্তাহে তিনি আবার ব্লগ করার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি তার নতুন ব্লগে একটি মাত্র লেখা পোস্ট করেন। কর্তৃপক্ষ দ্রুততার সাথে তার ব্লগ বন্ধ করে দেয়। তিউনিশিয়ার ব্লগাররা তার ব্লগ এবং সাথে অন্য ব্লগ বন্ধ করে দেবার ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে।
মরোক্কো: ব্লগিং সম্বন্ধে ব্লগ করা
মরোক্কোর নাগরিকরাও যথারীতি ব্লগ করেন, তবে এবার তারা কেবল ব্লগিং নিয়ে ব্লগ করেছে। এ বছর মরোক্কোয় দু'টি প্রতিযোগিতার কথা ব্লগস্ফেয়ারে ঘোষণা করা হয়েছে। তৃতীয় মারক বার্ষিক ব্লগ পুরস্কার প্রতিযোগিতায় (থার্ড এনুয়াল মারক ব্লগ এ্যাওয়ার্ড)। একই সাথে একেবার নতুন প্রতিযোগিতা ‘মরোক্কোর সেরা ব্লগ পুরস্কার’ (বেস্ট অফ মরোক্কো ব্লগ এ্যাওয়ার্ড অথবা বম্বিজ)।
আলজেরিয়া: স্বায়ত্তশাসনের জন্য আদিবাসীদের প্রতিবাদযাত্রা
আলজেরিয়ার আদিবাসী কাবিলি সম্প্রদায়ের লোকেরা কেন্দ্রের কাছ থেকে আরো স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে রাস্তায় বিক্ষোভ করেছে। সরকার এই বিষয়ে প্রচার মাধ্যমে এক অন্ধকার অবস্থার সৃষ্টি করে রেখেছে। এই আন্দোলনের সমর্থকরা ঘটনাটি ইন্টারনেটে তুলে ধরেছে।
তিউনিশিয়া: ব্লগাররা ছাত্রদের জেলে পাঠানোর বিরুদ্ধে
সম্প্রতি তিউনিশিয়ায় একদল ছাত্রের বিচার করা হয়। বিচার শেষে তাদের শাস্তি হিসেবে বিভিন্ন মেয়াদের জেল প্রদান করা হয়। এর মধ্য ছয়মাস থেকে তিন বছরের জেলও রয়েছে। এই সমস্ত ছাত্রদের অপরাধ তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক ব্যবস্থা নিয়ে এক জায়গায় বসে থেকে আন্দোলন করেছিল। হলে মেয়েদের অধিকার আদায়ের জন্য তাদের এই আন্দোলনের ফলে তাদের উপর এত বড় শাস্তি নেমে এল। এই ঘটনায়, ব্লগাররা দ্রুত তাদের সমর্থনে এক আন্দোলন শুরু করে। এই আন্দোলনে তারা শাস্তি পাওয়া ছাত্রদের মুক্তি দাবি করে। বিস্তারিত লিখেছেন লিনা বেন মেন্নি।
কঙ্গো ডে: রিপাবলিক : উপেক্ষার ঝুঁকি
কঙ্গোব্লগ এক বিস্ময়কর স্থান। এখানকার প্রতিটি পোস্ট নিজেকে আলাদাভাবে উল্লেখ করার দাবি রাখে, তবে এখানে কিছু পোস্ট রয়েছে যা জানুয়ারি,২০১০-এ পোস্ট করা হয়েছে।
হাইতি: বিখ্যাত অনেক হাইতিবাসীকে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে
যদিও দেশের অভ্যন্তরে এবং বিদেশের সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু রাখা হাইতির জন্য এই মুহূর্তে এক বিশাল সমস্যা এবং বেশীরভাগ লোক কোন নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে সংবাদ পাচ্ছে না- যদি তারা সংবাদ সংগ্রহের কোন সুযোগ পায়- সে ক্ষেত্রে তারা আত্মীয় এবং বন্ধুদের খোঁজ নিচ্ছে। এখন সেখানে কিছুকিছু সংবাদ পাওয়া যাচ্ছে, তবে কৌতূহলজনক বিষয় হল, বেশীরভাগ সংবাদ আসছে হাইতির বাইরে অবস্থান করা ব্লগারদের কাছ থেকে। এই সব সংবাদের মধ্যে রয়েছে বিখ্যাত ব্যক্তিদের সম্বন্ধে সংবাদ, যাদের অনেক নিখোঁজ রয়েছে অথবা ইতোমধ্যে তাদের অনেককে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে।
হাইতি: ভূমিকম্পের অভিজ্ঞতা
যতদুর জানা যায় হাইতির ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতির ভয়ংকর পরিসংখ্যানের উপর মনোযোগ প্রদান করা শুরু হয়েছে, কিন্তু খুব সামান্য কয়েকটি নাম এই তালিকায় যুক্ত হয়েছে। যে সমস্ত ব্যক্তিরা এই ভূমিকম্পের হাত থেকে বেঁচে গেছেন তাদের কয়েকজন অনলাইনে তাদের অভিজ্ঞতা জানাচ্ছে।
হাইতি: ল কাপ হাইতিয়ান কিছু সংবাদ প্রেরণ করেছে
১৩ জানুয়ারি বুধবার, দিনটি ছিল হাইতিতে ৭.০ মাত্রায় আঘাত হানা ভূমিকম্পের পরের দিন। এই ভূমিকম্প হাইতিতে এক অবর্ণনীয় পরিস্থিতির সৃষ্টি করে এবং দেশটির যোগাযোগ ব্যবস্থা পুনরায় ঠিক করার ক্ষেত্রে এক পাহাড় প্রমাণ প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। তবে এখনো ব্লগাররা সংবাদ প্রদান করার চেষ্টা করে যাচ্ছে........
তিউনিশিয়া: হাইতির ভূমিকম্পে তিউনিশিয়ার কূটনীতিবীদ মারা গেছেন
হেদি আন্নাবি ৬৬ বছর বয়স্ক তিউনিশিয়ার কূটনীতিবিদ এবং হাইতিতে জাতি সংঘ প্রধানের বিশেষ দূত (মিনুসথা)। হাইতির ভয়াবহ ভূমিকম্পে যারা নিহত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে, তাদের মধ্যে তিনিও রয়েছেন। তাকে হারিয়ে তিউনিশিয়ার ব্লগাররা শোক প্রকাশ করছে।