আমাদের প্রকল্পগুলো

গ্লোবাল ভয়েসেস তার সম্প্রদায়ের সৃজনশীলতা এবং উদ্ভাবনের প্রতি সাড়া দেয় এবং তার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেয়। আমরা বিভিন্ন প্রকল্প বিকাশের নানারকমের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছি, সেগুলোর কয়েকটি নিজেরাই আলাদা আলাদা সম্প্রদায়ের সফল ওয়েবসাইটে পরিণত হয়েছে।

বর্তমান প্রকল্পগুলো

Advocacy

গ্লোবাল ভয়েসেস এডভোকেসির মাধ্যমে আমরা উন্নয়নশীল বিশ্ব জুড়ে ব্লগার এবং অনলাইন এক্টিভিস্টদের অনলাইনে মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং তথ্যে মুক্ত প্রবেশাধিকার সুরক্ষার জন্যে নিবেদিত একটি বিশ্বব্যাপী সেন্সরশীপ-বিরোধী নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে চাই। সফ্টওয়্যার ডেভেলপার, এক্টিভিস্ট এবং ব্লগারদের সঙ্গে একসাথে কাজ করে নেটওয়ার্কটি ইন্টারনেটের উপর আমাদের অধিকার সুরক্ষার জন্যে নতুন এবং আরও যথাযথ সরঞ্জাম তৈরীর ইচ্ছা পোষণ করে। হিসাম আলমিরাত হচ্ছেন এর পরিচালক।

Rising Voices

২০০৭ সালের মে মাসে নাইট সংবাদ চ্যালেঞ্জ পুরস্কার এর সহায়তায় চালু – রাইজিং ভয়েসেস (উঠতি কণ্ঠস্বর) কম প্রতিনিধিত্বশীল সম্প্রদায়গুলোকে ক্ষুদ্র-অনুদান প্রদানের মাধ্যমে অনলাইনে তাদের কণ্ঠ শোনাতে সাহায্য করে। তারা এই সহায়তা দিয়ে নতুন প্রকল্প গ্রহণের মাধ্যমে অংশগ্রহণভিত্তিক মিডিয়া টিউটোরিয়ালের সিরিজ তৈরী করে; এবং উৎসাহী মিডিয়া এক্টিভিস্টদের একটি নাগরিক নেটওয়ার্ক চর্চার মাধ্যমে ক্ষমতায়নের চেষ্টা করে। এডি আভিলা হলেন এর পরিচালক।

২০০৬ সালে ভারতের দিল্লিতে আমাদের শীর্ষসম্মেলনে গ্লোবাল ভয়েসেস এবং ভাষার উপর একটি কর্মশালা এবং পথিকৃৎ পর্টনয় কর্তৃক চীনা গ্লোবাল ভয়েসেসের সফলতায় অনুপ্রাণিত হয়ে ফরাসিভাষী ব্লগারদের একটি দল ফরাসি ভাষায় গ্লোবাল ভয়েসেস শুরু করে। সারাবিশ্ব থেকে প্রায় ১০০ জন স্বেচ্ছাসেবক অনুবাদক যোগ দিয়ে বর্তমানে ৩০টির বেশি ভাষায় স্বাধীন ওয়েবসাইট হিসেবে গ্লোবাল ভয়েসেসকে প্রতিনিধিত্ব করছে। লিঙ্গুয়া দেখুন!

Global Voices Books

গ্লোবাল ভয়েসেস আর্কাইভ একটি গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক সম্পদ যার বহুল প্রচার দরকার। গ্লোবাল ভয়েসেস প্রকাশনা বিভিন্ন বিষয়ে ইলেক্ট্রনিক বই সংযোজন ও প্রকাশ করে। এটি ক্রিয়েটিভ কমন্স লাইসেন্স এর আওতায় বিভিন্ন ফরম্যাটে সেগুলো উপস্থাপন করে। বেরনার্ডো পারেল্লা এই প্রকল্পকে চালনা করেন। এটি ২০১২ সালে গ্লোবাল ভয়েসেস উদ্ভাবন পুরস্কার পেয়েছে।

Technology for Transparency Network - Tracking Civic Engagement Technology Worldwide

স্বচ্ছতার জন্যে প্রযুক্তি নেটওয়ার্ক লাতিন আমেরিকা, সাব-সাহারান আফ্রিকা, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া, দক্ষিণ এশিয়ার নাগরিক প্রবৃত্তি, চীন, মধ্য ও পূর্ব ইউরোপে স্বচ্ছতা, সরকারের জবাবদিহিতা এবং নাগরিক অংশগ্রহণ বাড়ানো বিভিন্ন অনলাইন প্রযুক্তি প্রকল্পের বর্তমান অবস্থা আরো ভালোভাবে বুঝতে পারার জন্যে একটি অংশগ্রহণমূলক গবেষণা এবং মানচিত্রায়ন প্রকল্প। প্রকল্পটিতে যৌথভাবে অর্থায়ন করেছে ওপেন সোসাইটি ইন্সটিটিউটের তথ্য কর্মসূচী এবং ওমিদিয়ার নেটওয়ার্কের মিডিয়া, বাজার এবং স্বচ্ছতা উদ্যোগ এবং এর লক্ষ্য হলো উভয় কর্মসূচীর স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, এবং নাগরিক প্রবৃত্তিমূলক ভবিষ্যত বিনিয়োগ সম্পর্কে অবহিত করা।

RuNet Echo

আরইউনেট ইকো ওপেন সোসাইটি ইন্সটিটিউটের অর্থায়িত গ্লোবাল ভয়েসেসের একটি প্রকল্প। এই প্রকল্পের প্রধান উদ্দেশ্য হলো রাশিয়ার ইন্টারনেট (আরইউনেট) এবং এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অনলাইন সম্প্রদায় সম্পর্কিত জ্ঞানকে বিস্তৃত এবং গভীর করা। আমাদের লক্ষ্য রাশিয়ার ইন্টারনেট সম্পর্কে ব্যাপক এবং মূল্যবান তথ্যের শীর্ষস্থানীয় উৎস হওয়া। আরইউনেট ইকো দেখুন!

বিগত প্রকল্পগুলো

Voices without Votes, Americans vote, the world speaks

২০০৮ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের সময় রয়টার্স মার্কিন রাজনীতি এবং পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ে বিশ্বের অনলাইন কথোপকথন অনুসরণ করার জন্যে গ্লোবাল ভয়েসেসকে ভয়েসেস উইদাউট ভোট (ভোটবিহীন কণ্ঠ) নামের একটি ওয়েবসাইট তৈরির জন্যে নিযুক্ত করে। ওয়েবসাইটটির সম্পাদক ছিলেন আমিরা আল হুসাইনি এবং গ্লোবাল ভয়েসেসের লেখক এবং সম্পাদকেরা সবাই ২০০৯-এর জানুয়ারিতে বারাক ওবামার অভিষেক পর্যন্ত ৮ মাস এতে অবদান রাখেন।

WITNESS Hub Pilot

২০০৬-২০০৭ সাল থেকে গ্লোবাল ভয়েসেস এবং মানবাধিকার ভিডিও প্রতিষ্ঠান উইটনেস [স্বাক্ষ্য-প্রমাণ] সারাবিশ্বের মানবাধিকার বিষয়ক নাগরিক ভিডিও পর্যবেক্ষণের একটি পাইলট প্রকল্পে একসঙ্গে কাজ করছে। প্রচেষ্টাটির নেতৃত্বে রয়েছেন সামির পাদানিয়া এবং ২০০৭ সালে এটি এক বিশ্ব মিডিয়া পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ নতুন মিডিয়া প্রকল্প হিসেবে জয়ী হয়। ২০০৮ সালে উইটনেস একটি সম্প্রদায়গত ফোরাম চালু করে যেখানে জনগণকে নিজে নিজে মানবাধিকার ভিডিও আপলোড করার সুযোগ দিয়ে তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইটের কেন্দ্রীয় অংশ হিসেবে দি হাব তৈরী করে।

উইটনেস হাব দেখুন।