টুইটার, টিভি এবং রাস্তায় গাজার সঙ্গে সংহতি প্রকাশে ত্রিনিদাদবাসী

Trinidad and Tobago Muslims gather in the Queen's Park Savannah on 1st August, 2014 in support of the people of Gaza.

গাজাবাসীদের সমর্থনে ত্রিনিদাদ এন্ড টোবাকোর মুসলিমরা কুইন্স পার্কে ১ আগস্ট, ২০১৪ তারিখে সমেবত হন। ত্রিনিদাদ এন্ড টোবাকো মুসলিম ফেসবুক পাতায় ছবিটি পোস্ট করা হয়েছে। 

গাজার মানুষের প্রতি সমর্থন জানিয়ে বিশ্ব জুড়ে চলমান অবিরত বিক্ষোভের অংশ হিসেবে ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর ক্যারিবিয়ান নেট নাগরিকরাও ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে তাদের সংহতি প্রকাশ করেছেন। সমর্থন, বিতৃষ্ণা, ভীতি এবং ভয়াবহ বার্তা উদ্বিগ্ন ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর নাগরিকরা টুইটারে প্রকাশ করেছেন।

তাদের মধ্যে অভিজ্ঞ সাংবাদিক ইরা মাথুর লক্ষ্য করেছেন, গত ১ আগস্ট, ২০১৪ তারিখের যুদ্ধবিরতি ভেস্তে যাওয়া যেন ‘জাতিগত নির্মূল’ নামের আইনের মত দেখায়:

শব্দটি আমার কাছে জাতিগত নির্মূলের মত শোনাচ্ছে

ইসরাইল গত ৮ জুলাই তারিখ থেকে ৪০ কিলোমিটার দীর্ঘ উপকূলীয় স্ট্রিপে ব্যাপক আক্রমণ চালিয়ে আসছে, যার ফলে অন্তত ১,৮৬৫ জন নিহত এবং ৬,৭৮০ জনেরও অধিক মানুষ আহত হয়েছেন। স্কুল, খেলার মাঠ, হাসপাতাল, আশ্রয়কেন্দ্র এবং শরণার্থী শিবিরে ইসরাইল বোমাবর্ষণ করেছে। গাজায় নিহত চার জনের মধ্যে তিন জনই বেসামরিক নাগরিক।

ইসরাইল বলছে, তাঁদের আক্রমণ হামাসকে লক্ষ্য করে। কারণ, ইসরাইলের সীমান্ত জুড়ে তাঁরা শত শত রকেট হামলা করেছে। হামাস হচ্ছে একটি দল, যারা ২০০৭ সাল থেকে গাজা শাসন করে আসছে। তাঁদের উপর ইসরায়েলের সাত বছর অবরোধ রয়েছে। আক্রমণ শুরু করার পর থেকে, ইসরাইলের তিন বেসামরিক নাগরিক রকেট হামলায় নিহত হয়েছে এবং ৬৪ জন ইসরায়েলি সৈন্য গাজায় যুদ্ধে নিহত হয়েছে।

গত ২ আগস্ট তারিখে উইকিলিকস একটি নথি প্রকাশ করেছে, যেখানে বলা হয়েছে, ইসরাইল ইচ্ছাকৃতভাবে গাজায় “ইসরায়েলের উপর হামলাকারী যেকোনো গ্রামে অসামঞ্জস্য শক্তি” ব্যবহার করছে এবং ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ “মানবিক সঙ্কট এড়িয়ে গাজার অর্থনীতি সামঞ্জস্যপূর্ণ সর্বনিম্ন পর্যায়ে রাখার মনস্থ করেছে।”

অনেকেই অনুরূপ মনোভাব ব্যক্ত করেছেন। লেখক ডিলান কেরিগান ইসরায়েলের পক্ষে পক্ষপাত মিডিয়া কভারেজের বিষয়ে পোস্ট করেছেন:

ওহ। মিডিয়া একজন বন্দী ইসরায়েলি সৈন্যের জন্য পাগল হয়ে গেছে। এই প্রতারণা মনকে কষ্ট দেয়। পশ্চিমা সংবাদ পত্রে শুধু ইসরায়েলিদের বেঁচে থাকাটাই প্রাধান্য পেয়েছে। 

ইসরাইল ও হামাস গত ১ আগস্ট তারিখে একটি ৭২ ঘন্টার মানবিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে, যাতে গাজাবাসীরা তাদের মৃতদের কবর দিতে, আহতদের যত্ন নিতে এবং খাদ্য সরবরাহ পুনরায় পূর্ণ করতে পারে।  কিন্তু, ৯০ মিনিট পরেই রাফা শহরে গোলাবর্ষণে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করা হয়। সেই হামলায় ডজনখানেক ফিলিস্তিনি নিহত এবং আরও শত শত আহত হয়।

ইসরাইল এবং মার্কিনরা যুদ্ধবিরতি ভঙ্গের জন্য যুদ্ধবিরতির পর একজন সৈনিককে ধরে নেবার দায়ে হামাসকেই দায়ী করেছে, কিন্তু ৪৮ ঘন্টা পরে দেখা যায় সৈনিকটি বন্দী ছিল না এবং প্রকৃতপক্ষে যুদ্ধ নিহত ছিল। হামাস জঙ্গি উইং বলছে, পরে নয়, তাঁরা যুদ্ধবিরতির আগে রাফা শহরে ইস্রায়েলের সৈন্যদের সঙ্গে যুদ্ধে জড়িত ছিল।

আরেকটি পোস্টার গাজার শিশুদের ক্রমাগত হত্যাকাণ্ডের প্রতি জোরালো দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চেয়েছে:

পুরোটাই হাস্যকর “@Joey7Bartonঃ গাজায় গড়ে প্রতি ঘন্টায় একটি করে নিরীহ শিশু নিহত হয়। কিভাবে এটি চলতে পারে? #গাজায়শিশুহত্যাবন্ধকর”

১ আগস্ট তারিখে উদ্বিগ্ন নাগরিকরা ফিলিস্তিনি জনগণের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে একটি শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মঞ্চস্থ করেছেন:

গাজায় সংঘাতের বিরুদ্ধে সংহতি জানিয়ে মুসলিম ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট নাগরিকরা কিউপিএস এর চারিদিকে পদযাত্রা করেছে। #ফ্রিপ্যালেস্টাইন 

ইসলামী সম্প্রচার নেটওয়ার্কের একজন স্থানীয় ঘোষক, ত্রাণ প্রচেষ্টায় সাহায্যের জন্য ২৭ জুলাই তারিখে ‘গাজার জন্য টেলিথন’ আয়োজন করেন। 

Screenshot Of IBN TV8 Telethon for Gaza on 27 ly, 2014. Photo by Jason Nathu with permission.

২৭ জুলাই, ২০১৪ তারিখে আইবিএন টিভি৮ এ গাজার জন্য টেলিথন। ছবিঃ জেসন নাথু। 

এই সমস্যা তুলে ধরতে গত কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ফেসবুকে বিভিন্ন স্থানীয় পাতা খোলা হয়। সংঘাতে হতাহতের ছবি পোস্ট করেছে “ত্রিনিদাদ মুসলিম – ফ্রি গাজা” এবং মানবতার জন্য যুক্ত কণ্ঠ স্থানীয় সংহতি প্রচেষ্টার হালনাগাদ নেট নাগরিকদের জানিয়ে আসছে।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .