সৌদি ব্লগারকে ১০ বছরের জেল এবং ১০০০ বেত্রাঘাতের আদেশ প্রদান করা হয়েছে

৭ মে তারিখে জেদ্দার অপরাধ আদালত “ইসলামকে অপমান” করার অভিযোগে দেশটির ব্লগার রাইফ বাদাোয়াইকে দশ বছরের কারাদণ্ড এবং একহাজার বেত্রাঘাতের আদেশ প্রদান করে। তিনি ২০০৮ সালে “সৌদি আরবের উদারনৈতিকেরা” নামক এক অনলাইন ফোরাম চালু করেন, যেখানে রক্ষণশীল রাজ্যে ধর্মের ভূমিকা নিয়ে বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

৩২ বছরের রাইফকে একই সাথে এক মিলিয়ন রিয়াল (প্রায় ২৬৬, ৬০০ মার্কিন ডলার) জরিমানা করা হয়েছে।

এই রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন করা যাবে। তবে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের সংবাদ অনুসারে একটি মানবাধিকার পর্যবেক্ষক সংস্থা প্রতিষ্ঠার দায়ে বাদোয়াই-এর আইনজীবী ওয়ালেদ আবু আল খায়েরকে কারাগারে নিক্ষেপ করা হয়েছে।

Raif
বাদোয়াইকে জুন ২০১২-এ গ্রেফতার করা হয় এবং জুলাই ২০১৩ তার বিচার শুরু হয়, তাকে প্রথমে ছয় বছরের কারাদণ্ড এবং ৬০০ বার বেত্রাঘাত করার আদেশ প্রদান করা হয়। ডিসেম্বর ২০১৩-এ এক আপীল আদালত প্রাথমিক এই রায়ের আদেশ বাতিল করে এবং এই মামলার শুনানি জেদ্দার অপরাধ আদালতে হস্তান্তর করে।

মানবাধিকার এবং রাইফ বাদোয়াই-এর জন্য এক বেদনার দিন।

যে সৌদি আরব, ব্রিটেনের এক বন্ধু রাষ্ট্র এবং সে দেশ এখান থেকে সবচেয়ে বেশী সমরাস্ত্র ক্রয় করে, সে দেশটি ব্লগার রাইফ বাদোয়াইকে দশ বছরের কারাদণ্ড এবং ১০০০ বার বেত্রাঘাতের আদেশ প্রদান করেছে।

নিজের ওয়েবসাইটে,বাদোয়াই এবং অন্য সব প্রদায়ক সৌদি ধর্মীয় কর্তৃপক্ষের সমালোচনা করে লেখা পোস্ট করে এবং ৭ মে তারিখকে সৌদি উদারতা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে।

এমন এক ফোরামের জন্য কারাগারে পাঠানো, বিশেষ করে যে ফোরামে অনুষ্ঠিত বিতর্ক এবং আলোচকের নিজেদের যুক্তি উপস্থাপনকে সবাই স্বাগত জানিয়েছে। কখন কারাগার তার চরিত্র বদলাবে?

রাইফ দ্বৈত অবস্থান নিয়ে চলা এক সমাজের সমালোচনা করেছিল এবং সে মানবতার আহ্বান এবং অন্যের মতের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছিল। যদি তা এক অপরাধ হয়, তাহলে আমি নিজেকে এক অপরাধী হিসেবে ঘোষণা করলাম।

এর আগে সরকারি আইনজীবীরা বাদোয়াইকে স্বধর্ম ত্যাগী হিসেবে অভিযুক্ত করে, সৌদি আরবে এটা এমন এক অভিযোগ যার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .