জিভি অভিব্যক্তিঃ সামাজিক গণমাধ্যম এবং ভারতের আম আদমি পার্টির দ্রুত উত্থান

দুর্নীতি বিরোধী যোদ্ধা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের নেতৃত্বে আম আদমি পার্টি (এএপি) অথবা জন সাধারণের দল – ভারতের মূলধারার দলগুলোকে প্রতিদ্বন্দ্বিতার চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে।  

সাম্প্রতিক দিল্লি বিধানসভা ভোটে এএপি বড় জয় পেয়েছে এবং কংগ্রেস পার্টির সঙ্গে যৌথভাবে দিল্লির সরকার গঠন করেছে। এই সরকারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। 

গল্প১ঃ #এএপি এর বিজয় বৃহত্তর সামাজিক পরিবর্তনেরই একটি প্রতীক। ভারতীয়রা যে আজ জবাবদিহিতা দাবি করে এর মাধ্যমে সেটাই প্রতিফলিত হয়েছে।  

ভারতের রাজনীতিতে দুই পক্ষের আধিপত্য: কংগ্রেস দলটি তার জোট সঙ্গীদের নিয়ে পরপর দুই মেয়াদে সরকার গঠন করেছে এবং দলটি মূলত: গ্রামীণ ভোটারদের উপর নির্ভরশীল; এবং গত ২০০৪ সালে শেষবারের মত ক্ষমতায় ছিল ভারতীয় জনতা পার্টি, যা মূলত: একটি হিন্দু জাতীয়তাবাদী দল। এএপি কি আগামী মে মাসের আসন্ন নির্বাচনে ভারতের দীর্ঘকালস্থায়ী এই দুই পক্ষের রাজনীতিকে ব্যাহত করতে পারবে?

এএপি’র এই দ্রুত উত্থানের ক্ষেত্রে সামাজিক মিডিয়ার ভূমিকা নিয়ে এই শুক্রবার আমি জিভি লেখক চিরাগ সুতার এবং মানসী গোপালকৃষ্ণের সাথে আলোচনা করেছি।

চিরাগ (@সুতারসিভি) মূলত ভারতীয়, কিন্তু রটারডামের ইরাস্মুস বিশ্ববিদ্যালয়ে মিডিয়া স্টাডিজ বিষয়ে মাস্টারস ডিগ্রি সম্পন্ন করে এখন তিনি নেদারল্যান্ডে বসবাস করছেন। তিনি ভারতে একজন মিডিয়া সাংবাদিক হিসাবে তিন বছর কাজ করেছেন।

মানসী গোপালকৃষ্ণ জার্মানির বন ভিত্তিক আন্তর্জাতিক সম্প্রচারক ডয়েচ ভেলেতে ফ্রিল্যান্সার সাংবাদিক হিসেবে কাজ করেন। তিনি www.womentalkonline.com ব্লগটিতে লিখেন এবং সম্পাদনা করেন। পাশাপাশি ডয়েচ ভেলে’র হিন্দি সংস্করণের জন্যও কাজ করছেন। 

ছবিঃ ভোটে জয়লাভের পর নয়া দিল্লির এএপি’র সদর দপ্তরের বাইরে উদযাপন। ছবিঃ লুইস দউসে। কপিরাইট ডেমোটিক্স (৮/১২/২০১৩)।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .