২০০৪ সালের ভারত মহাসাগর সুনামিতে ক্ষতিগ্রস্তদের মুখগুলো

the three-dimensional terrain of Google Earth, and the testimony of the victim who survived the tsunami disaster, a photo that is collected from immediately after the disaster.

আচেহ সুনামি আর্কাইভ প্রজেক্টের একটি স্ক্রিনশট। এই প্রকল্প পাতাটির মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা সুনামি দুর্গতদের বিভিন্ন গল্প এবং কোন দুর্যোগের পর দুর্গত এলাকার তাৎক্ষনিক ছবি পেতে পাবেন এবং গুগল আর্থের মাধ্যমে সেই ভূখণ্ডের ত্রি মাত্রিক ছবিও দেখতে পাবেন।

 [অন্যকোনভাবে উল্লেখ না করা পর্যন্ত সবগুলো লিংক জাপানি-ভাষার ওয়েবপেজগুলোতে নিয়ে যাবে]

ইন্দোনেশিয়ার সিয়াহ কুয়ালা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনামি এবং দূর্যোগ প্রশমন গবেষণা কেন্দ্রের সহযোগীতায় জাপানের একদল গবেষক ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশের জনগণের বিভিন্ন গল্প এবং ছবি দিয়ে তৈরি একটি বিশাল ডিজিটাল আর্কাইভ প্রকাশ করতে গুগল মানচিত্র ব্যবহার করেছে। ২০০৪ সালে ভারত মহাসাগরে সৃষ্ট ধ্বংসাত্মক ভূমিকম্প এবং সুনামিতে চরমভাবে আক্রান্ত এলাকার অন্যতম হচ্ছে ইন্দোনেশিয়ার এই আচেহ প্রদেশ।

তিনজন প্রফেসর এই আচেহ সুনামি আর্কাইভ প্রকল্পটি তৈরি করেছেন। তারা হলেন হিদেনরি ওতানাভে, হিরোয়ুকি ইয়ামামোতো এবং ইয়োশিমি নিশি। এই তিনজন প্রফেসর এবং তাদের শিক্ষার্থীরা আচেহর ক্ষয়ক্ষতি এবং আরো উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে দ্রুত সামলে ওঠার গল্পগুলোকে ডিজিটাল পদ্ধতিতে আর্কাইভ করে সংরক্ষণ করতে কাজ করছেন।

হিরোয়ুকি ইয়ামামোতো তাঁর আশা ব্যক্ত করে বলেছেন, এখানে এই দূর্যোগ সামলে ওঠা প্রক্রিয়া থেকে প্রত্যেকেই কিছু না কিছু শিখতে পারেঃ 

被災から復興への過程は人類共通の財産です。その過程そのものが他の被災地域にとっても大変参考になる資料ですし、被災地域以外にとっても教育・防災で参考になる点が多くあります。この点で、復興に向けて町が変化すること自体が記録すべきものだと考えます。モニュメントとして一部の象徴的な爪跡などを残す動きはありますが、復興の過程で被災の面影が全く感じられなくなるほど変化するエリアもあります。私たちが継続的に定点調査し、日々の変化を記録しているアチェ津波モバイル博物館のデータをもとに、一般の人に使いやすくデザインされたアチェ津波アーカイブにより、被災地の内と外が繋がり、アチェの経験が人類共通の財産となることを期待します。

এই দূর্যোগ সামলে ওঠা প্রক্রিয়ার একটি বিশ্বজনীন স্বার্থ আছে। অন্যান্য দূর্যোগ আক্রান্ত এলাকার জন্য এটি একটি তথ্য নির্দেশক হিসেবে কাজ করতে  পারে, যা এ ধরণের অন্যান্য এলাকার জন্য বেশ উপকারী। এছাড়াও আক্রান্ত এলাকাগুলোর বাইরেও অন্যান্য এলাকাতে দূর্যোগ প্রতিরোধ শিক্ষা দানেও এটি বেশ উপকারী হবে। এক্ষেত্রে আমরা বিশ্বাস করি, দূর্যোগ সামলে ওঠার ক্ষেত্রে এ এলাকার নানা পরিবর্তন নথিভুক্ত করে রাখা উচিৎ। যদিও ধ্বংসাবশেষের ক্ষয়ক্ষতি সংরক্ষণ করার একটি কার্যক্রম সেখানে রয়েছে, তবুও কিছু কিছু এলাকা পুনর্নিমাণ করার সময় এমন জোরালো পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করেছে যে দূর্যোগ কালীন কোন ক্ষয়ক্ষতি এখন আর খুঁজে পাওয়া যায় না। আচেহ সুনামি ভ্রাম্যমাণ যাদুঘর থেকে পাওয়া তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে আমি এই অঞ্চলটি নিয়ে প্রতিনিয়ত গবেষণা করে যাচ্ছি। আমি আশা করি, আচেহ সুনামি আর্কাইভের জন্য আমাদের কার্যকর ভাবে নকশাকৃত পদ্ধতিটি দূর্যোগ আক্রান্ত এলাকার ভিতরের এবং বাইরের লোকজনের মাঝে সংযোগ করতে সাহায্য করবে। এই পদ্ধতিতে আচেহর অভিজ্ঞতাগুলোকে মানবজাতির সাধারণ সম্পদ হিসেবে শেয়ার করা হবে।

ব্যবহারকারীরা মানচিত্রে কি তথ্য পেতে চায়, তা বেছে নেয়ার সুযোগ আছে। যেমন বিভিন্ন গল্প, ছবি এবং সাহায্যকারী দেশ ইত্যাদি। লোকজনের গোল ছবিগুলোতে ক্লিক করে ব্যবহারকারীরা ইন্দোনেশিয়া এবং জাপান, উভয় দেশের সুনামি আক্রান্ত লোকেদের বিভিন্ন গল্প পড়তে পারবে। বেঁচে যাওয়া লোকেদের এই গল্পগুলো প্রকৃতপক্ষে সংকলন করেছে এবং প্রকাশ করেছে বাদান আরসিপ প্রভিন্সি নানগ্রোয়ে আচেহ দারুস সালাম। এটি হচ্ছে আচেহ এলাকাতে অবস্থিত ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় আর্কাইভের একটি পাঠাগার শাখা। যেহেতু লেখাগুলোর বেশিরভাগই জাপানিজ ভাষায় ভাষান্তর করা হয়েছে, তাই অদূর ভবিষ্যতে এটিকে আরো সমৃদ্ধ করা হবে।

Screenshot of Aceh Tsunami Archive

আচেহ সুনামি আর্কাইভের একটি স্ক্রিনশট যেখানে ইতান মায়াসারি নামের একজনের গল্প বর্ণিত হয়েছে, যিনি ভূমিকম্পের পর খুব দ্রুত বাড়ি নির্মাণ করে তাঁর অচলবস্থা কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছিলেন। 

ইতোমধ্যেই প্রকাশিত পূর্ব জাপান ভূমিকম্প আর্কাইভের [জাপানিজ] একটি অংশ হচ্ছে আচেহ সুনামি আর্কাইভ প্রকল্পটি। তাই উভয় গোষ্ঠীর তথ্য উপাত্ত গুগল মানচিত্রে অঙ্গীভূত করা একটি সাধারণ গ্লোব থেকে দেখা যাবে।

হিদেনোরি ওয়াতানাভে বিভিন্ন ডিজিটাল আর্কাইভ প্রকল্পের বিভিন্ন পর্যায়ে কাজ করেছেন। এগুলোর মধ্যে উপরোক্ত আর্কাইভ ছাড়াও আরো অন্তর্ভূক্ত আছে যেমন, ট্যুভালু ভিজুয়ালাইজেশন প্রকল্প [ইংরেজী], নাগাসাকি [আনবিক বোমা] আর্কাইভ, হিরোশিমা আর্কাইভ এবং ওকিনাওয়াতে অবস্থিত শান্তি শিক্ষণ আর্কাইভ। তিনি লিখেছেনঃ       

現地の学生たちは、口を揃えて「津波の記憶が薄れつつある」と話していました。このことには、日本とインドネシアの国民性の違いもあらわれているかも知れません。しかし学生たちは、未来に記憶をつなぐ研究活動を精力的に続けています。また、被災遺構である発電船や、打ち上げられた船の周りに集って遊ぶ子どもたちなど、津波の記憶が「日常」のなかに定着しつつある例も見受けられました。こうしたバンダアチェの被災状況、そして現状を知ることは、日本の将来を考える手がかりとなるかも知れません。

আচেহর শিক্ষার্থীরা এক বাক্যে বলেছে যে সুনামির স্মৃতিগুলো ধীরে ধীরে ম্লান হয়ে যাচ্ছে। একই দুর্যোগে আক্রান্ত জাপানিজদের ক্ষেত্রে এই চিত্রটি কিছুটা ভিন্ন। এর মাধ্যমেই বিভিন্ন জাতীয়তার বৈশিষ্ট্যের মাঝে ভিন্নতা লক্ষ্য করা যায়। এই শিক্ষার্থীরা এখনো অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে যেন তাদের অভিজ্ঞতাকে ভবিষ্যতের জন্য সংরক্ষণ করে রাখা হয়। আমরা এটাও দেখেছি যে পাওয়ারশিপ এবং আটকে পরা জাহাজের চারপাশে ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা খেলাধুলা করছে। এগুলো এই সুনামিরই যৎকিঞ্চিত অবশিষ্টাংশ। এই দৃশ্যগুলো হচ্ছে প্রতিদিনের জীবনে সুনামির অস্তিত্ব স্মরণ করিয়ে দেয়া স্মৃতির উদাহরণ। এই প্রাকৃতিক দূর্যোগের প্রভাব এবং পরিনামের অবস্থা সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন ধারণা দিতে পারবে, কীভাবে আমরা জাপানের ভবিষ্যত সম্পর্কে চিন্তা করব।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .