অপমানকারীদের প্রতি কুয়েতের আমীরের ক্ষমা প্রদর্শন

কুয়েতের আমীর আজ (৩০ জুলাই) তাদের প্রতি এক ক্ষমা প্রদর্শন জারি করেছে, যারা তাকে অপমান করেছিল, আর এদের অনেকে অনলাইনে আমীরকে অপমান করার দায়ে কারাদণ্ড ভোগ করছে। নেট নাগরিকরা শেখ সাবাহ আল আহমেদ আল সাবাহ-এর মনোভাবের বিষয়ে মন্তব্য করেছে।

টুইটারে অনেকে এই ঘটনাকে স্বাগত জানিয়েছে অন্যদিকে অনেকে সংশয়ে রয়েছে এবং অভিযুক্ত এবং কারাদণ্ডাদেশ প্রাপ্তদের পক্ষে যুক্তি প্রদর্শন করছে, যাদেরকে এক থেকে ১১ বছরের মত কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। কুয়েতের আইনে লেজ ম্যাজেস্টিক নামক আমীরকে রক্ষা করার আইন নিষিদ্ধ যেহেতু আমীরের অবস্থান “ লঙ্ঘন করা যায় না”।

মোহাম্মদ জাবের আল এনজি এই ঘটনাকে স্বাগত জানিয়ে বলছেন [আরবী ভাষায়]:

আমি বিশ্বাস করি যে আমীরের এই ক্ষমা প্রদর্শনের মধ্যে দিয়ে, সকলে অতীতের অনেক কিছু ভুলে যাবে এবং নতুন করে সবকিছু শুরু করবে, যা কিনা উপদেশ এবং আলোচনার মধ্যে দিয়ে শান্ত হবে।

তারিক আল কিন্দারি এর সাথে যোগ করেছে:

কারারুদ্ধ তরুণদের আমীর ক্ষমা করে দেওয়ার পর, জাতীয় ঐক্য, রাজনৈতিক সংস্কার এবং যা অনুসরণ করা হচ্ছিল, তা ফিরিয়ে আনার জন্য আমি এক রাজনৈতিক উদ্যোগ আশা করছি।

এবং ড. হুসাইন বিন হাদবা টুইট করেছে:

আমি আশা করি যে আজকের এই ক্ষমা প্রদর্শনের মধ্যে দিয়ে কোন কারণ ছাড়াই শাসকদের অপমান করার এই সংস্কৃতির ইতি ঘটবে, আর আমরা অপমান ও মুখ খারাপ করে কোন কিছুর সমাধান করা এড়িয়ে চলব।

এর জবাবে মুসায়েদ আল মুসায়েলেম টুইট করেছে:

তারা এমন কিছু করেনি যে তাদের ক্ষমা করতে হবে

খালেদ আল বারাক এর সাথে যোগ করেছে:

এই সব তরুণেরা এমন কোন অন্যায় করেনি যে তাদের ক্ষমা করা হবে বা তাদের ক্ষমা চাইতে হবে। ক্ষমা যদি কারো চাইতে হয়, তাহলে কর্তৃপক্ষের ক্ষমা চাওয়া উচিত, যারা সংবিধান লঙ্ঘন করেছে।

আর খালেদ আল তাওয়ারি এর জবাব প্রদান করেছেন:

যারা ক্ষমা করার বিপক্ষে তাদের জন্য এক সহজ সমাধান, তাদের যা ইচ্ছা তা তারা করুক এবং জেলে যাক, আর তারপর ক্ষমা প্রদর্শনকে প্রত্যাখান করুক। সাহসী হোন এবং নিজের মূল্যবোধ আঁকড়ে থাকুন এবং ১৪০ অক্ষরে সাহস প্রদর্শন করুন!

যাদের ক্ষমা করা হয়েছে [সংবাদ অনুসারে ১০ জনকে], তাদের কারাদণ্ডের কারণ হচ্ছে টুইট করা, আর মধ্যে দিয়ে তারা আমীরকে অপমান করেছে বলে সংবাদ রয়েছে। গত মাসে অন্য অভিযোগের সাথে টুইটারে আমীরকে অপমান করার অভিযোগে কুয়েতের এক শিক্ষিকাকে ১১ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। এটা এখনো পরিষ্কার নয় যে, ক্ষমা করে দেওয়া কারাবন্দীদের মাঝে উক্ত শিক্ষিকা রয়েছে কি না।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মতে অক্টোবর ২০১২ থেকে এ পর্যন্ত আমীরকে অপমান করার দায়ে অনলাইন একটিভিস্ট সহ অন্তত ৩৫ জন কুয়েতি নাগরিকের বিচার করা হয়েছে।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .