সৌদি আরবঃ একটি মানবাধিকার স্বাক্ষরের জন্য কারাগারে ৩৬ দিন

বিক্ষোভে সৌদি আরব এর কঠোর দমন অভিযানের বিপরীতে অনেকেই এখন ভিন্নমত পোষণ করছেন। তাঁরা চান বিক্ষোভ প্রতিরোধে নতুন পদ্ধতির পরীক্ষা শুরু হোক। একটি সার্বজনীন অনশন ধর্মঘট একটি উদাহারন হতে পারে বলে আমরা বলেছি। সৌদি টুইটার ব্যবহারকারী মোহাম্মদ আল-অলায়ান টুইটের পরম্পরায় তার গাড়ীতে “নির্বিচারে আটক বন্ধ কর” নামের একটি মানবাধিকার স্বাক্ষর লিখার ব্যাপারে তার নিজের গল্প বলেছেনঃ

@2wordsprisoner: في يوم الأحد 16-12-2012 القي القبض علي من قبل شرطة الطوارئ اثناء عودتي من العمل بسبب وجود عبارة لا للاعتقالات التعسفية
@2wordsprisoner: مكتوبة على زجاج سيارتي الخلفي, ثم تم تسليمي الى شرطة المنار بعد تصوير السيارة,ثم بدأ التحقيق معي احد العسكر والضابط المناوب وقد انكرت انني
@2wordsprisoner: من قام بكتابة العبارة وقلت انني وجدتها مكتوبه فجر يوم السبت اثناء خروجي للعمل ولم اتمكن من إزالتها لإنها كتبت بإستخدام بخاخ بوية صعب
@2wordsprisoner: الإزالة,وقد بصمت على هذه الاقوال, ثم طلبت من الضابط ان يسمح لي بالخروج حتى لو خروج بكفالة لأنني لم ارتكب جرم او مخالفة فرفض ذلك وقال
@2wordsprisoner:انني موقوف لديهم للتحقيق,ثم طلب مني خفير التوقيف أن اسلم جوالي ومفاتيحي لكي ادخل التوقيف,ثم اقتادني الى التوقيف الجماعي فرفضت الدخول بحجة
@2wordsprisoner:ان المكان مزدحم جدا جدا ولامكان لي والوضع الإنساني سيئ للغاية, فقال العسكري: اقول ادخل بلا وضع انساني بلا خرابيط, فرفضت ثم اقتادني إلى
@2wordsprisoner:زنزانة انفرادي متسخة ومليئة بالحشرات بسبب وجود حمام بداخلها به تسريبات وأوساخ أجلكم الله فرفضت الدخول, ثم اقتادني إلى الممر وقال إنه
@2wordsprisoner: لم يتبقى مكان غير الممر لكي تنام فيه,فقلت ان حال الممر افضل من حال التوقيف والزنزانه, وبالفعل جعلني أنام في الممر بعد أن وضع القيد بقدمي
@2wordsprisoner:وربط القيد بباب حديدي, ونمت وقدمي مقيدة بالباب حتى الفجر, ثم تم ادخالي للتوقيف الجماعي بعد الفجر, وفي الصباح استدعيت للذهاب الى هيئة

গত রবিবার, ১৬ ই ডিসেম্বর ২০১২ তারিখে, কাজ থেকে ফেরার পথে জরুরী বাহিনী আমাকে গ্রেফতার করে। কারণ আমার গাড়ীর পিছন কাচে লিখা ছিল “নির্বিচারে আটক বন্ধ কর”। আমার গাড়ির ছবি নেওয়ার পরে আল-মানার পুলিশের [স্টেশন] কাছে আমাকে স্থানান্তর করা হয়। একজন পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে এবং আমি এর দায়িত্ব অস্বীকার করেছি। কাজে যাবার সময় ভোরবেলা আমি লেখাটি দেখতে পেয়েছি বলে তাদের জানিয়েছি। লিখার কালি অমুছনযোগ্য ছিল বলে আমি এটা মুছে ফেলতে পারি নি। আমি আঙুলের ছাপের মাধ্যমে আমার বিবৃতির সত্যতা সমর্থন করেছি। যেহেতু আমি কোনো অপরাধ করিনি এবং কোনো আইনও লঙ্ঘন করিনি, সেহেতু আমাকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য পুলিশকে বলেছি। কিন্তু তাঁরা তা প্রত্যাখ্যান করেছে এবং বলেছে, আমাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। একজন পুলিশ আমার মোবাইল ফোন এবং চাবিগুলো নিয়ে নেন। তারপর আমাকে অমানবিক অবস্থায় একটি খুবই জনাকীর্ণ ক্ষুদ্র কারাগার কক্ষে ঢুকিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। পুলিশ লোকটি আমাকে মানবতার সম্পর্কে কথা বলা বন্ধ করতে এবং ভেতরে ঢুকতে বলেছিলো। কিন্তু আমি তা করতে অস্বীকার করেছি। তারপর সে আমাকে একটি নির্জন কারাবাস সেলে নিয়ে যায়। কিন্তু সেটি ছিল খোলা এবং ময়লাতে পূর্ণ। তাই আমি সেখানে যাওয়াটাও প্রত্যাখ্যান করেছি। এরপর সে আমাকে একটি হল ঘরে নিয়ে যায় এবং বলে, এটা ছাড়া আর কোন জায়গা ফাঁকা নেই। তবে এবারের জায়গাটা ছিল আগেরগুলোর তুলনায় ভালো। সেখানে একটি লোহার দরজার সাথে সে আমাকে বেঁধে রাখে এবং ভোরের দিকে একটি সাধারণ সেলে নিয়ে যায় […]

আল-অলায়ান অব্যাহত ভাবে আরও যেসব জিজ্ঞাসাবাদের সম্মুখীন হয়েছেন তা রিপোর্ট করেছেন। যেমন, তিনি সৌদি রাজনৈতিক ও নাগরিক অধিকার এসোসিয়েশন এর (এসিপিআরএ) সহ প্রতিষ্ঠাতার (এ সম্পর্কে আমাদের একটি বিশেষ কাভারেজ আছে!) দুই জনসমাগমে অংশগ্রহণ করেছিলেন কিনা । এসিপিআরএ তার গ্রেপ্তারের বিষয়টি খুঁজে বের করে এবং তাকে সাহায্য করার জন্য একটি স্বেচ্ছাসেবক আইনজীবীর সহায়তা চায়।

আল-অলায়ানকে অবশেষে আদালতে পাঠানো হয়এবং সেখানেও অব্যাহত ভাবে তিনি তাঁর দায়িত্ব অস্বীকার করেন। ৩৬ দিন পর বিচারক এই শর্তে তার মুক্তির আদেশ জারি করেন যে পরবর্তীতে আরও সেশন ডাকলে তাঁকে উপস্থিত থাকতে হবে।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .