ইয়েমেনঃ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ড্রোন বিরোধী প্রতিবাদ

হন্তারক ড্রোন এবং বিচার বহির্ভুত হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে পদযাত্রা ও শোভাযাত্রার আয়োজন করেএনসার কোয়ালিশন নামের একটি সংস্থা।

সংহতি জানিয়ে তারা লিখেনঃ

গত কয়েক বছর ধরে মার্কিন ড্রোন হামলায় ৫,০০০ এরও বেশি শিশুসহ বেসামরিক লোক এই রোবোটিক হত্যাকারী যন্ত্রের শিকারে পরিণত হয়েছে..  এ দেশ দাবি করছে “আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য, এশিয়া ও অন্যান্য স্থান থেকে ড্রোন বহিস্কার করা হোক!”  আমাদের এ দাবিকে বিশ্ববাসীকে জানানোর জন্য শনিবার ১৩ এপ্রিল হোয়াইট হাউজের উদ্দেশে আমাদের পদযাত্রা ও শোভাযাত্রায় অংশ নিন।

তাঁরা টুইট করেনঃ

@এনসারকোয়ালিশনঃ “ সবসময়েই তোমরা ড্রোনের মাধ্যমে কিছু লোককে হত্যা কর, তোমরা ঘৃণার জন্ম দাও। কেন তাঁরা আমাদের ঘৃণা করে? নিজেদের কাজের দিকে তাকিয়ে দেখ!” #এপ্রিল ১৩

@এনসারকোয়ালিশনঃ “ তারা আমাদের নাম ব্যবহার করে হত্যা করে বলেই আমরা আর বসে থাকতে পারি না” #জেনারেলএটমিক্স #স্টপড্রোন #নোড্রোন pic.twitter.com/NekfiHbIm4

নিউ ইয়র্ক থেকে আগত ইয়েমেনি এক্টিভিস্ট সুমের নাসের এবং ওয়াশিংটন ডিসিতে বসবাসকারী রুজ আলওয়াজির দাবি করেন যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী প্রত্যেক ইয়েমেনির উচিত ইয়েমেনে মার্কিন ড্রোন হামলার প্রতিবাদে হোয়াইট হাইজের সামনে সমবেত হওয়া।  মিছিলে অংশ নেওয়া  এক্টিভিস্ট বুশরা আল মাখতারির বকৃতার কিছু অংশ রুজ আলওয়াজির একটি ভিডিওতে আপলোড করেনঃ

তিনি টুইট করেনঃ

@রুজ১২৯: #ড্রোনগুলো আকাশে উড়লেই কিছু মানুষ মারা যায়! একে হত্যা ছাড়া আর কীই বা বলা যেতে পারে।

কোডপিঙ্ক নামের আরেকটি সংগঠন এ মিছিলে অংশগ্রহণ করে।

ওয়াশিঙ্গটনেঃ

Rooj Alwazir standing in front of the White House holding a CODEPINK  banner

রুজ আলওয়াজির হোয়াইট হাউজের সামনে কোডপিঙ্কের ব্যানার ধরে দাঁড়িয়ে আছেন

ড্রোন প্রস্তুতকারী  জেনারেল এটমিক্সের প্রধান কার্যালয়ের দিকে মিছিলটি অগ্রসর হয়। কোডপিঙ্ক টুইট করেঃ

কোডপিঙ্ক: ডিসিতে অবস্থিত জেনারেল এটমিক্সের প্রধান কার্যালয়ের সামনে থেকে এ ছবিটি তোলা #স্টপড্রোনস @বারাকওবামা pic.twitter.com/TVP7MUFRMC

লস এঞ্জেলসেঃ

এল.এ- এর শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারী  টমজিও একটি ছবি টুইট করেনঃ

‏@আইএমটমজিঃ এল এ =-এর #নোড্রোনস শোভাযাত্রা থেকে pic.twitter.com/PyBxaiqn82

BHwfidfCEAAltAQ

আলোকচিত্র সাংবাদিক জেন্না পোপ তাঁর ফেসবুক পাতাব্লগে একাধিক ছবি শেয়ার করেন

এই স্টোরিফাইয়ে আরও অনেক ছবি পাওয়া যাবে।

পাকিস্তান ও ইয়েমেনের অনেক এক্টিভিস্ট তাঁদের দেশে ড্রোন ব্যবহারের প্রকাশ্য বিরোধিতা করেছেন। সম্প্রতি হিউম্যান রাইটস ওয়াচ মার্কিন ড্রোন হামলা ও টার্গেট হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে মানবাধিকার ও নাগরিক অধিকার গ্রুপগুলোর সাথে যৌথপত্র প্রকাশ করেছে।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .