লিবিয়াঃ সূফীদের এলাকায় সালাফিস্টদের লড়াই

লিবিয়ার সূফী ধর্মীয় তীর্থস্থান ও এলাকাসমূহে সালাফিস্টরা হামলা করছে। এই অতি-রক্ষণশীল ইসলামিকরা উত্তর-পশ্চিমে জিলতেন শহর, মিসরাতা শহর ও রাজধানী ত্রিপোলিতে প্রধান সুফী এলাকা ও গ্রন্থাগারগুলোতে আক্রমণ করেছে। ইউনেস্কো কর্তৃক নিন্দিত এই হামলা, লিবিয়ানদের ক্ষুব্ধ করেছে।

জাতিসংঘ সংবাদ মাধ্যম অনুসারেঃ

এই জায়গাগুলো ইসলামের কিছু বিষয়ের ভিন্ন মতাবলম্বী সূফীদের তীর্থস্থান।

ফেসবুকে, আলোকচিত্রী আবদুল্লাহ দোমা বেনগাজিতে সুফীদের মসজিদ ও এলাকায় সমাধিস্থলগুলোতে হামলার প্রতিবাদে একটি মিছিলের ছবি প্রকাশ করেছেন।

নিচের ছবিটিতে [ar] চিহ্নগুলোর অর্থ:

ধ্বংস ও উৎপাটন নয়; বই পোড়ানো নয়; চরমপন্থা নয়, সৌদি ফতোয়া নয় [ধর্মীয় নির্দেশ]।

দ্বিতীয় চিহ্নের মানে হলঃ

ওয়াহাবি মতবাদ নয়। এটি লিবিয়া এবং আফগানিস্তান নয়

Benghazi protestors angry at the desecration of tombs

বেনগাজিতে সমাধিস্থল অপবিত্রকরণে বিক্ষোভকারীরা ক্ষুব্ধ। ফেসবুক পাতায় ছবিটি আবদুল্লাহ দোমার সৌজন্যে

অপর এক ছবিতে [নিচে ছাপানো] একই মিছিল থেকে, এক মহিলাকে একটি ব্যানার ধরে থাকতে দেখা যাচ্ছে যাতে বলা হয়েছেঃ

মৃত ও জীবিতদের একা ছেড়ে দাও!

A woman protestor in Ben Ghazi holding a sign which reads Leave the dead and the living alone!

এক মহিলার হাতে একটি ব্যানার যাতে বলা হয়েছে মৃত ও জীবিতদের একা ছেড়ে দাও!

ইউটিউবে কালাম রিসার্চ এই ক্ষতির উপর তথ্যচিত্র নিয়ে অনেকগুলো ভিডিও প্রকাশ করেন। এর মধ্যে এই ভিডিওতে [ব্যবহারকারী কর্তৃক অন্য সাইটে ভিডিও এমবেডিং নিষিদ্ধ], জিলতেনে সাইদি আবদুসসালাম মসজিদ ধ্বংসের ছবি, ২০১২ এর ২৪ আগস্ট প্রকাশিত হয়।

ভিডিওটিতে পুরো মসজিদ ধ্বংস দেখানো হয় যার মধ্যে এর সম্মুখভাগ, এবং ভেতর থেকে এর স্তম্ভ ও গম্বুজের ক্ষতিসাধন হয়েছে। মসজিদটি ১৫ শতকের এক সূফী সাধক চিরনিদ্রার স্থান এবং এর একটি ঐতিহাসিক গ্রন্থাগার ছিল যাতে অনেক অমূল্য বই ছিল, যা গ্রন্থাগারে হামলাকারীদের আগুন লাগানোর ফলে ধ্বংস হয়ে গেছে।

আরেকটি ভিডিওতে, ত্রিপোলির সা’ত সড়কে সাইদি আল মাকারির সমাধিস্থল ধ্বংসের দৃশ্য দেখানো হয়েছে। এই ফুটেজটিও ২৪ আগস্ট ধারণ করা হয়েছে।

তৃতীয় আরেকটি ভিডিওতে জাইয়াত ব্লাতের ধ্বংস বিস্তারিত দেখানো হয়েছে, এটিও জিলতেনে।

এবং আরেকটি ভিডিওতে ভিডিওতে ত্রিপোলির সা’ত সড়কে তুরস্ক সাম্রাজ্যবাদেরঃ ইউসুফ পাশা কারামালির পরিবারের সমাধিস্থল ধ্বংসের দৃশ্য দেখানো হয়েছে।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .