ইথিওপিয়া; মুসলমানদের বিক্ষোভ আন্দোলন গতি লাভ করছে

সরকারের ধর্মীয় বিষয়ে হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে ইথিওপিয়ার মুসলমান প্রতিবাদ আন্দোলন-এর কার্যক্রমের প্রমাণ তখনই সামনে চলে আসে, যখন মে মাসে মুসলমানরা তাদের আন্দোলনকে অনলাইনে তুলে আনে । আবার যখন তাদের অনলাইন কার্যক্রম বাস্তব জগতে শুরু হয়, তখন ইথিওপিয়ার ফেডারেল পুলিশ আন্দোলকারীদের বিরুদ্ধে শক্তি প্রয়োগ করা শুরু করে।

ইথিওপিয়ার মুসলমান নারীরা। ছবিসুত্র:বয়েজএনবেরির ফ্লিকার পাতা (সিসি বাই-এনসি ২.০)।

স্থানীয় একটিভিস্টদের ফেসবুকের পাতা দিমতাসচিন ইয়াসিমা (আমাদের কণ্ঠকে প্রকাশ করতে দাও) দৃশ্যমান নির্যাতন-এর ঘটনা তুলে ধরেছে, যার মধ্যে জোর করে মুসলমানদের পবিত্র স্থান মসজিদে প্রবেশ করার মত ঘটনা রয়েছে, যা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হয়েছে। ইথিওপিয়ার এক মুসলমান আন্দোলনকারী এবং লেখিকা মেরিয়াম বিনতে ইসলাম তার ফেসবুকের পাতায় এই লেখাটি পোস্ট করেছে:

আর গতকাল আয়ুলিয়ায় তারা এ রকম নির্মমভাবে আমাদের ভ্রাতাদের পিটিয়েছে।

আদ্দিস নিউজ আপডেট @আদ্দিসফোকাস#, ইথিওপিয়ার সরকারে বাহিনী নির্লজ্জভাবে রাজধানী আদ্দিসের একটি মসজিদে রাখা শখানেক পশু (ষাঁড়) জব্দ করে নেয়, যেগুলো সদকা বা দান করার জন্য রাখা হয়েছিল #ইসলাম।

নীচের এই ইউটিউব ভিডিও এপ্রিল ২০১২-এ ইথিওপিয়ার মুসলমানদের বিক্ষোভ প্রদর্শনের দৃশ্য তুলে ধরছে:

যদিও সংবাদ পাওয়া গেছে পুলিশের কর্মকাণ্ড ছিল নির্মম, তবে একটিভিস্টরা বারবার তাদের ফেসবুকের পাতায় অন্য মুসলমানদের উপদেশ প্রদান করছিল যে তারা যেন শান্তি বজায় রাখে। ইথিওপিয়ার মুসলমানদের ফেসবুক পাতায় আহমেদিন জেবেল-এর একটি লেখা তুলে ধরেছে, যার বক্তব্য হচ্ছে (আহমারিক ভাষায়):

ሕዝበ ሙስሊም ሆይ! ሰላማዊና ሕገ መንግሥታዊ መብት የማስከበር እንቅስቃሴያችን ከተጀመረበት ጊዜያት ጀምሮ ላለፉት ስድስት ወራት በሚቻለን ሁሉ ሁከት እንዳይነሳ ጥረናል፡፡ ምክንያቱም ሁከት መነሳቱ መቼም ቢሆን ለኛ አይጠቅመንምና፡፡ የተለያዩ አካላት ሁከት ዉስጥ አስገብተውን ሂደታችንን ለማደናቀፍ የሚቻላቸውን ሁሉ ሞክረዋል፡፡ እየሞከሩም ነው፡፡ መንግሥትም ይሁን የትኛውም ወገን ቢተናኮሰን፣ ቢተኩስ፣ ቢያስር፣ መስጂዶች ቢደፈሩም ምላሻችን የችኮላና ህጋዊ ካልሆነ፣ ይበልጥ አላማቸውን የሚያሳካና ሕዝበ ሙስሊሙን ለአደጋ የሚያጋልጥ ከሆነ ለኛ ዉድቀት እንጂ ድል አይደለም፡፡

গত ছয় মাস আগে আমাদের আন্দোলন শুরু হবার সময় থেকে সকল ইথিওপীয় মুসলমানদের প্রতি আমাদের আহ্বান, আমরা নিজেদের যে কোন ধরনের ধ্বংসাত্মক বিক্ষোভ প্রদর্শন থেকে দুরে রাখব, কারণ তা আমাদের আন্দোলনের উদ্দেশ্যকে নস্যাৎ করে ফেলবে। ভিন্ন ভিন্ন দল তাদের উত্তেজনাকর কাজের মাধ্যমে আমাদের সহিংস কর্মকাণ্ডের দিকে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করছে। এমনকি তারা আমাদের পবিত্র স্থানে হামলা চালিয়েছে, কিন্তু আমরা আমাদের অবস্থানে দৃঢ় থাকব, কারণ আমরা যদি তাদের কৌশলে প্রলুব্ধ হয়ে ফাঁদে পা দেই, তাহলে আমরা হেরে যাব।

এদিকে, আবিয়ে তেকলেমারিয়াম ফেসবুকে লিখেছে:

একটিভিস্টরা দাবী করছে, মুসলমান বিক্ষোভকারীদের উপর দোষ চাপানোর জন্য এইউ-এর সদর দপ্তরের কাছে সরকার উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে একটি ভুয়া হানাহানির ঘটনা সাজিয়েছে:

অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে ইথিওপিয়ার রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় পরিস্থিতি এখন অনিশ্চিয়তার মধ্যে রয়েছে, বিশেষ করে যখন দেশটির প্রধানমন্ত্রী মেলাস জেনাওয়ির অবস্থান এবং তার স্বাস্থ্যে নিয়ে গুজব ছড়িয়ে পড়ে এবং মুসলমানদের আন্দোলন এখন গতিবৃদ্ধি লাভ করছে।

ইথিওপিয়ায়, খ্রিস্টান ধর্মের পরে ইসলাম হচ্ছে দ্বিতীয় বহুল প্রচলিত ধর্ম।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .