তিউনিশিয়া: সাইবার প্রতিবাদকারী জোওহারি ইয়াহইয়াওয়ি-এর প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন

"National Day for Internet Freedom" Photo by inf0mag.blogspot.com

জাতীয় ইন্টারনেট স্বাধীনতা দিবস। ছবি ইনফোমাগ.ব্লগস্পট.কম-এর

আজ জোওহারি ইয়াহইয়াওয়ির সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী, তিনি হচ্ছে তিউনিশিয়ার প্রথম সাইবার একটিভিস্ট, যিনি জিনে এল আবেদিন বেন আলীর শাসনামলে কারারুদ্ধ হন। নিজস্ব ওয়েব সাইট তিউনেজিনে [ফরাসী ভাষায়], ইয়াহইয়াওয়ি, বেন আলির দূর্নীতিপরায়ণ এবং স্বৈরতান্ত্রিক সরকারের সমালোচনা করেছিল।

ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক জরিপে, ইয়াহইয়াওয়ির একবার প্রশ্ন করেছিল

আপনার মতে তিউনিশিয়া আসলে কি, একটা প্রজাতন্ত্র, একটি রাজ্য, একটি চিড়িয়াখানা, একটি বন্দীশালা অথবা কিছুই না?

যদিও সে ছদ্মনাম এত্তিউনিশি (ইংরাজিতে যার অর্থ তিউনিশিয়ান) ব্যবহার করেছিল, তারপরেও তিউনিশীয় সরকার তার পরিচয় বের করে ফেলে এবং তাকে কারাগারে প্রেরণ করে। ৪ জুন,২০০০-এ তাকে গ্রেফতার করা হয় এবং এক বছর পর, তিউনিশিয়ার এক আদালত “মিথ্যা তথ্য প্রকাশ” “ইন্টারনেট সংযোগের যথাযথ ব্যবহার না করা’ এবং “ এক মালিকের কাছ থেকে জিনিস চুরির” দায়ে তাকে দুই বছরের কারাদণ্ড প্রদান করে।

২০০৩ সালের নভেম্বর মাসে আন্তর্জাতিক চাপের কারণে সরকার শর্ত সাপেক্ষে তাকে মুক্তি প্রদান করে। ইয়াহইয়াওয়িকে ১৮ মাস কারাগারে কাটাতে হয়, যে সময়টায় তার উপর অত্যাচার এবং তাকে শারীরিক এবং মৌখিক উভয় ভাবে তাকে নির্যাতন করা হয়। আর তার ফলে তার ভয়াবহ বেশ কিছু শারিরীক সমস্যা, যেমন কিডনি সংক্রান্ত সমস্যা দেখা দেয়।২০০৫ সালের ১৩ মার্চ তারিখে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

ইন্টারনেটের স্বাধীনতার জন্য লড়াইয়ের কারণে ইয়াহইয়াওয়ি অজস্র আন্তর্জাতিক পুরস্কার লাভ করেছেন। “ইন্টারনেটে তথ্য স্বাধীনতায় অবদান রাখার জন্য” রিপোটার্স উইদাউট বর্ডার তাকে “সাইবার লিবার্টি” নামক পুরস্কারে ভূষিত করে।
তার স্মরণে এবং সাইরাব কার্যক্রমে অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ ও আরো গণতান্ত্রিক এক তিউনিশিয়ার জন্য তার জীবন উৎসর্গের জন্য, এখন ১৩ মার্চ তারিখটিকে তিউনিশিয়ায় ইন্টারনেট স্বাধীনতা দিবস হিসেবে গণ্য করা হয়।

ব্লগার কামেল মাহদাউয়ি, ইয়াহইয়াওয়ি এর প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করেছেন [ফারসী ভাষায়] তিনি বলেছেন:

Je prie pour que Dieu nous pardonne de n’avoir pas entendu suffisamment Zouhair, Bouazizi, et les martyrs de tout lieu et tout temps.

Hommage à Zouhair Yahyaoui dit Ettounsi de Tunezine.

Hommage pour son combat pour la liberté sur Internet et pour la dignité.

Il nous a quittés le dimanche 13 mars 2005.

পরম করুণাময়ের কাছে আমি ক্ষমা প্রার্থনা করেছি যেন তিনি আমাদের ক্ষমা করে দেন, কারণ আমরা জোওহারি, বোয়াজিজি, সকল সময় সকল স্থানে যে সমস্ত ব্যক্তি শহীদ হয়েছে তাদের কথা শুনিনি। তিউনিজনের জোওহারি ওরফে এত্তিউনিসের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করছি।

ইন্টারনেটে স্বাধীনতা এবং মর্যাদার লড়াইয়ের জন্য তার প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করছি।

তিনি রোববার, ১৩ মার্চ ২০০৫-এ আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন।

মার্চের ১৩ তারিখ ও ইয়াহইয়াওয়ির প্রতি উৎসর্গকৃত একটি ব্লগ মার্চ ১৩, নেট স্বাধীনতার জন্য জোওহারি ইয়াহইয়াওয়ি দিবস, -এর লেখক লিখেছে [ফরাসী ভাষায়]:

Zouhair Yahyaoui était un de ces nombreux jeunes diplômés tunisiens qui ont violemment et douloureusement subi les conséquences de la dictature de Ben Ali dès leur entrée dans l'âge adulte.

Sa liberté, il a voulu la prendre, sans attendre que les conditions soient favorables, ou plus faciles, sans attendre que ce soit ” le meilleur moment ” (…)Sur son site, sur ses forums, il dénonce infatigablement les atteintes aux droits de l'Homme, les procès injustes, il y soutient les opposants au régime.

জোওহারি হচ্ছেন সেই সব শিক্ষিত তরুণদের একজন, যারা নির্মম এবং বেদনাদায়ক ভাবে, প্রাপ্তবয়স্ক হবার সাথে সাথে বেন আলীর স্বৈরশাসনের ঘটনা প্রভাবে নিষ্পেষিত হয়েছে। সে তার স্বাধীনতাকে গ্রহণ করেছে, এমনকি সে “উপযুক্ত সময়ের” জন্য অপেক্ষা করেনি। তার ওয়েবসাইট এবং ফোরাম-এর মধ্যে দিয়ে সে নিরলসভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন, অন্যায় বিচারের বিরুদ্ধে নিন্দা জানিয়ে গেছে, এবং শাসক বিরোধীদের প্রতি সমর্থন প্রদর্শন করে গেছে ।

@পাইলন, একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন করেছেন, যারা ইয়াহইয়াওয়ির ক্ষতি করেছিল, তাদের কি এর জন্য জবাব দিতে হয়েছে, ভদ্রমহিলা টুইট করেছেন [ফারসী ভাষায়]:

Je suppose que les juges, procureurs et policiers qui ont detruit la vie de Zouhair Yahyaoui sont sous les verrous ?

আমি জানতে চাই, যে সমস্ত বিচারক, আইনজীবী এবং পুলিশ কর্মকর্তা, ইয়াহইয়াওয়ির জীবন ধ্বংস করেছে, তারা কি এখন কারাগারে?

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .