আরব বিশ্বঃ শান্তিতে ঘুমাও হুইটনি হিউস্টন

সুপারস্টার গায়িকা হুইটনি হিউস্টনের মৃত্যুতে বাকী বিশ্বের মত আরব বিশ্বের নাগরিকরাও শোকার্ত। গায়িকা হুইটনি হিউস্টনকে বেভারলি হিল্টন হোটেলের একটি কামরায় মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়, মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৪৮ বছর। তাঁর এই মৃত্যুতে সামাজিক প্রচার মাধ্যম নানা ধরণের প্রতিক্রিয়ায় ভরে যায়, এর মধ্যে যেমন শোকের এবং হতবাক হয়ে যাবার মত বিষয় রয়েছে, মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে হুইটনির মৃত্যু, ১১ মাস ধরে চলতে থাকা সিরিয়ার ঘটনায় নিহত হাজার হাজার মানুষের চেয়ে এত বেশী প্রচারণা লাভ করে।

সংযুক্ত আরব আমিরাত-এর দুবাই থেকে অফিসিয়াল হার্ভ, ইউটিউবে এই ভিডিওটি উঠিয়ে দিয়েছে, যেটিতে দেখা যাচ্ছে যে দুবাইয়ের ঝর্ণাটি হুইটনি হিউস্টন এর আমি তোমাকে সব সময় ভালবেসে যাব–এর সুরে বাঁধা হয়েছে! গতকাল যখন এটিকে আপলোড করা হয়, তারপর থেকে এখন পর্যন্ত তা ১১৫,৬০০ বার দেখা হয়েছে:

http://www.youtube.com/watch?v=xBquqHc_WHo

এবার টুইটারে ফিরে আসা যাক, মিশরের নাগরিক মারয়া জি এইচ, সিরিয়ার প্রতিদিনের গণহত্যার বিষয়টি সারা বিশ্বে যে ভাবে গ্রহণ করা হচ্ছে, সেটির সাথে হুইটনির মৃত্যুর তুলনা করে টুইট করেন:

@ মারওয়া জি এইচ:সকলেই শোকার্ত এবং হুইটনি হিউস্টন-এর মৃত্যুর বিষয়ে পোস্ট করছে?! #সিরিয়ায় প্রতিদিন প্রায় ১০০ জন ব্যক্তি মারা যাচ্ছে-তাতে কেউ খুব একটা দুঃখিত নয়। হয়ত তারা গান গাইতে আরাম্ভ করবে।

নিশা জান্দ, যে কিনা কায়রোয় বাস করে, সে এতে উত্তর প্রদান করেছে:

@নিশাজান্দ:আপনাদের ধন্যবাদ! হুইটনি হিউস্টন দুই দশক থেকে আত্মহত্যার মত এক প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছিল, যা এখন শেষ হল! এদিকে অন্যরা বেঁচে থাকার জন্য সংগ্রাম করে যাচ্ছে।#সিরিয়া

Singer Whitney Houston performing on Good Morning America, 2009. Image by Flickr user asterix611 (CC BY-SA 2.0).

গায়িকা হুইটনি হিউস্টন ২০০৯ সালে গুড মর্নিং আমেরিকা নামক অনুষ্ঠানে গান গাইছে। ছবি ফ্লিকার ব্যবহারকারী এ্যাসটিক্স ৬১১-এর (সিসি বাই –এসএ ২.০)

এবং ফায়াদ আল কাদি এর সাথে যোগ করেছে:

@এফকায়দি:
হয় আমরা বিশ্বকে সঠিক ভাবে আমাদের তথ্য উপস্থাপন করতে পারছি না, অথবা তা জানানোর ইচ্ছে কারো নেইঃ হুইটনি হিউস্টন–এর জন্য যেখানে লক্ষ লক্ষ শান্তিতে ঘুমাও নামক শোক বার্তা। সেখানে #সিরিয়ার ১০০০ জন মানুষের জন্য সামান্য কয়েকটি শোক বার্তা আসে।

সিরিয়ার নাগিক আমাল হানানো বিষয়টিকে এক ভিন্ন প্রেক্ষাপট থেকে দেখছেন। তিনি হুইটনি হিউস্টনের একটি গানের কয়েকটি লাইন সবার সামনে তুলে ধরছেন:

@আমালহানানো: যাই হোক না কেন, তারা আমার কাছ থেকে যা কিছু নিয়ে যাক না কেন, তারা আমার মর্যাদা আমার কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে যেতে পারবে না। # হোমস, #সিরিয়া# ফেবারেটহুউটনিহিউস্টনসং।

এদিকে ডালিয়া ইজ্জাত প্রশ্ন করেছে:

@ডালিয়া ইজ্জাত_:টুইটারের সচেতনতার নীতির সাথে এর সম্পর্ক কি? জনতা সিরিয়া, গ্রীস অথবা হুইটনি হিউস্টন সম্বন্ধে টুইট করবে কি করবে না, এটা তাদের নিজেদের ব্যাপার।

সবশেষে কাতারের কূটনীতিবিদ এইচ এল খালিফা আমাদের স্মরণ করিয়ে দেন:

@নাসের ইবনে হামেদ :হুইটনি হিউস্টন আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন এবং আমাদের প্রজন্মের কাছে তার যে স্মৃতি তাও চলে গেল। তাঁর এক অসাধারণ কন্ঠ এবং অনুভূতি ছিল, আপনি তাঁর গান শুনলেই তা বুঝতে পারবেন।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .