কুয়েত: সংবিধান সম্পর্কে নাগরিক শিক্ষনের জন্য ভিডিও প্রচারণা

সাউত আল- কুয়েত গ্রুপের লোগো

কুয়েতি সংবিধানের ৪৯ তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে একদল সক্রিয়তাবাদী সংবিধানের বিভিন্ন অনুচ্ছেদ সমূহ মনে করিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করে। তাদ্রাই [আরবি](আপনি জানেন কি?)  থীমের আওতায় সউত আল- কুয়েত (কুয়েতের কণ্ঠস্বর) নামের সংগঠন কয়েক মিনিটের ছয়টি ভিডিও তৈরি করে। ওই ছয়টি ভিডিওতে তাঁরা সংবিধানের নির্বাচিত ছয়টি অনুচ্ছেদ নাগরিকদের কাছে ব্যখ্যা করেন।

কয়েক বছর আগে  কতিপয় উদারপন্থী তরুন সক্রিয়তাবাদী মিলে সউত আল- কুয়েত গঠন করে। এ সংগঠনের উদেশ্য হল গণতন্ত্র ও নাগরিক অধিকার সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করা। এ গ্রুপটি নিয়মিত ভাবে সমবেত হয় এবং বড় পরিসরে শ্রোতা পাওয়া এবং গণতন্ত্র, সংবিধান ও নাগরিক অধিকার বিষয়ে শিক্ষিত করার জন্য তাঁরা সামাজিক প্রচার মাধ্যমগুলোর সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করে। তাঁদের কাজকর্ম আগের চাইতে বর্তমানে অনেক গুরুত্বের দাবি রাখে কেননা  সংসদে প্রধানমন্ত্রীর সাথে সংসদের সংঘর্ষ বর্তমানে কুয়েতি রাজনৈতিক বলয়ে উত্তাপ ছড়াচ্ছে।

১১/১১/২০১১ তারিখে কুয়েত তাঁর  সংবিধান প্রণয়নের ৪৯ তম বর্ষ পূর্তি উদযাপন করেছে। সংবিধান প্রণয়নের ক্ষেত্রে  কুয়েত হল পারস্য অঞ্চলের প্রথম রাষ্ট্র, জিসিসিভুক্ত রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে সর্বপ্রথম ১৯৬৩ সালে কুয়েতে সংসদ প্রতিষ্ঠিত হয়।

সংবিধান দিবস উদযাপন উপলক্ষে  সউত আল-কুয়েত দল নিজেদের মত করে নিচের ভিডিও তৈরি করে ইউটিউবে আপলোড করে।

প্রথম ভিডিওটিতে অনুচ্ছেদ ২৯ ব্যাখ্যা করা হয়েছে, অনুচ্ছেদ ২৯-এ বলা হয়েছে: “জাতি, বর্ণ, ভাষা ও ধর্ম নির্বিশেষে মানব মর্যাদা, গণ অধিকার ও আইনের শাসনের ক্ষেত্রে  সকল মানুষ সমান।”

দ্বিতীয় ভিডিওটিতে অনুচ্ছেদ ১৭ ব্যাখ্যা করা হয়েছে: “ গণ সম্পত্তি অলঙ্ঘনীয় এবং এর রক্ষার দায়িত্ব প্রতিটি সাধারণ নাগরিকের।”

তৃতীয়টি ৩৩ অনুচ্ছেদ সংক্রান্ত। সেখানে বলা হয়েছে: “ শাস্তি হল ব্যক্তিগত। ” তাঁরা ব্যাখ্যা করেছেন এভাবে: “ যদি আপনি জানেন যে আপনার প্রতিবেশী একজন চোর,তবে সে ক্ষেত্রে বাবার অপরাধের জন্য ছেলেকে শাস্তি দেওয়া যাবেনা।”

চতুর্থ ভিডিওতে অনুচ্ছেদ ৩৫ বর্ণনা করা হয়েছে। বলা হয়েছে: “বিশ্বাসের স্বাধীনতা চূড়ান্ত। গণ নীতি ও নৈতিকতার সাথে  সাংঘর্ষিক না হলে প্রতিষ্ঠিত নিয়মাচারের ভিত্তিতে ধর্ম পালনের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে রাষ্ট্র রক্ষা করবে।”

পঞ্চম ভিডিও অনুচ্ছেদ ৪৪ সংক্রান্ত। সেখানে বলা হয়েছে: “ অনুমতি ও পূর্ব ঘোষণা ব্যতিরেকে প্রত্যেক ব্যক্তির  গোপনীয় জমায়েতের অধিকার আছে, এধরনের ব্যক্তিগত জমায়েতের ক্ষেত্রে পুলিশের উপস্থিতির বাধ্য-বাধকতা নেই।  শর্ত ও সুনির্দিষ্ট আইনের বাধ্য-বাধকতা পালন সাপেক্ষে গণ জমায়েত, বিক্ষোভ এবং সমাবেশ করা যাবে।”

সর্বশেষ ভিডিওটি অনুচ্ছেদ ৪৮ সংক্রান্ত। সেখানে বলা হয়েছে: “ স্বল্প আয়ের মানুষের জীবনযাত্রার ন্যূনতম মান বজায় রাখার ক্ষেত্রে আয়কর রেয়াত দিয়ে বাকীদের জন্য ট্যাক্স ও পাবলিক ফি প্রদান আইন অনুযায়ী প্রতিটি নাগরিকের কর্তব্য।”

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .