ইরান: ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের জেনারেলদের আজকের রাতটি হবে দুঃস্বপ্নের রাত

বিদ্রোহী সেনারা মুয়াম্মার গাদ্দাফির বিরুদ্ধে যে জয় অর্জন করেছে, ইরানের বেশ কিছু সাইবার একটিভিস্ট তা উদযাপন করেছে এবং এই পরিস্থিতিকে ইরান এবং সিরিয়ার সাথে তুলনা করেছে। তারা লিবিয়ার নাগরিকদের সাথে এই বিজয়ের উল্লাস ভাগাভাগি করে নিয়েছে, কিন্তু একই সাথে তারা দেশটির ভবিষ্যৎ নিয়ে তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

২৩ খোদদাদ, ইরানের বিপ্লবী বাহিনীর উচ্চপদস্থ দুই সামরিক কর্মকর্তার সাথে গাদ্দাফির তোলা ছবি প্রকাশ করেছে [ফার্সী ভাষায়] এবং লিখেছে, [ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের] জেনারেলদের আজকের রাতটি হবে দুঃস্বপ্নের রাত, একটি চরম দুঃস্বপ্নের রাত।

হামদেল লিখেছে [ফার্সী]:

এতে কোন সন্দেহ নেই যে, সামনে এক গুরুত্বপুর্ণ সংবাদ আসছে। গাদ্দাফির পতন হয়েছে এবং সম্ভবত [সিরিয়ায়] আসাদ সরকারের অপসারণ ঘটতে যাচ্ছে। এর ফলে অত্র অঞ্চলের স্বৈরশাসকদের রাতের ঘুম হারাম হতে যাচ্ছে। আমার মতে, যে সব দেশের জনতা তাদের শাসকদের চায় না, এবং অনুভব করে যে নিজেদের চাওয়ার বিপরীতে তাদের শাসন করা হচ্ছে, এবং তারা এই ইচ্ছা প্রকাশ করে যে স্বৈরশাসকের ক্ষমতা ত্যাগ করা ব্যতীত কোন বিকল্প নাই, সে ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তাদের সাহায্য করবে।

তিউনিশিয়া অবস্থিত লিবীয় দূতাবাসের সামনে জনতা গাদ্দাফির পতন উদযাপন করছে। ছবি সাঘাইয়ের খালেদের। © ডেমোটিক্সের

ফেসবুকে, ফ্রিডম ম্যাসেঞ্জার বলছে:

গাদ্দাফিকে উৎখাত করা হয়েছে এবং আসাদের পতন ঘটবে। আসুন আমরা [আমাদের সব] স্বৈরশাসকদের আর বিরাম বা সুযোগ নিতে না দেই। আসুন আমরা বৃহস্পতিবার রাতে বাড়ীর ছাদে আল্লাহ আকবার [ আল্লাহ মহান] ধ্বনি প্রদান করি।

ইউনি ইরান লিখেছে [ফার্সী ভাষায়]:

গাদ্দাফি, এক আধা উন্মাদ স্বৈরশাসক, তাকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করা হয়েছে। ধর্মপ্রাণ নয়, এমন একজনের চেয়ে ধর্মীয় পরিচয় যুক্ত এক স্বৈরশাসকে উৎখাত করা অনেক বেশী কঠিন।

আন্দিসে বলছে [ফার্সী ভাষায়]:

লিবীয় নাগরিকের জন্য যে আমি কত খুশি তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। আরেকজন স্বৈরশাসককে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করা হল এবং জনতা স্বাধীনতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, তবে আমি শঙ্কিত যে উগ্র মৌলবাদীরা না আবার ক্ষমতা দখল করে নেয়।

সারয়েশতেমান লিবীয় বিপ্লবের এই ঘটনা উদযাপন করেছে এবং শ্রদ্ধার সাথে কয়েকটি টুইট করেছে, “ আজ লিবীয়া কোথায় আর ইরান কোথায়?”।

আলি 222 লিখেছে [ফার্সী ভাষায়]:

লিবীয়ার জন্য আমি খুশি কিন্তু ভবিষ্যতের কথা ভেবে আমি চিন্তিত। হয়ত তৃতীয় বিশ্বে জন্মগ্রহণ করার মানে হচ্ছে এই ধরনের অনুভূতি আপনাকে ঘিরে রাখবে। আমি আশা করব যে তারা ১৯৭৯ সালে সংঘঠিত ইরানী বিপ্লবের পদাঙ্ক অনুসরণ করবে না।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .