কলম্বিয়া: আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপন

কলম্বিয়াতে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপন একটা রীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর সেটা অনলাইনে প্রতিফলিত হয়েছে নেট-নাগরিকদের (নেটিজেন) বিভিন্ন ওয়েবসাইট, টুইটার এবং ব্লগে, নানা দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে।

এক কলম্বিয়ান নারীর হাসি। ছবি ফ্লিকার ব্যবহারকারী মার্কোভ্জ (সিসি বাই-এনসি-এনডি ২.০)

ডিজিটাল ম্যাগাজিন একুইনোইক্সো অনেকগুলো পোস্টের মাধ্যমে [স্প্যানিশ ভাষায়], এই দিনটির বিশেষ কাভারেজ দিচ্ছে, যার মধ্যে সিলভানা এসকোবারের লেখা গল্প, ড. কমিকের লেখা প্র্রবন্ধ ‘ওমেন ইন “দি সিনেক” (সিনেক এর নারীরা, চলচ্চিত্রকে রূপান্তরিত কমিক) [স্প্যানিশ ভাষায়] এবং ম্যাগডা লিলিয়ানা এসকোবার [স্প্যানিশ], আইজেন হাওয়ার [স্প্যানিশ ভাষায়], ফোক্ভস্ [স্প্যানিশ ভাষায়] ও ফ্যাবিও ভিলেগাস বোতেরোর [স্প্যানিশ ভাষায়] লেখা অন্যান্য পোস্টও রয়েছে।

আন্তর্জাতিক রেডক্রস কমিটির ওয়েবসাইট দক্ষিণ-পশ্চিম কলম্বিয়ার নারিনো এলাকার এক কিষাণীর উপর একটি প্রতিবেদন [স্প্যানিশ] প্রকাশ করেছে:

Su vida se transformó cuando, una noche de un mes de septiembre, varios hombres irrumpieron en su hogar y la violaron: eran miembros de un grupo armado. Su esposo desapareció y Sandra se vio obligada a dejar su casa, su tierra y todo lo que había construido con su familia.

তার জীবন বদলে যায় সেপ্টেম্বরের এক রাতে, যখন একদল সশস্ত্র ব্যক্তি জোরপূর্বক তার বাড়িতে ঢুকে তাকে ধর্ষন করে। তার স্বামী নিখোঁজ হয়ে যায়, আর সান্ড্রা নামের এই মহিলাকে তার বাড়ি, জমি এবং পরিবারের সাথে তৈরী করা সবকিছু ছেড়ে যেতে বাধ্য করা হয়।

ব্লগাররাও আন্তর্জাতিক নারী দিবস স্মরণে সক্রিয়। কার্লোস আর্তুরো গাম্বোয়া তার ব্লগ টিউটর ভার্চুয়াল-এ আভ্যন্তরণীভাবে উদ্বাস্তু হয়ে যাওয়া নারীদের [স্প্যানিশ] সমস্যাটি তুলে ধরেছেন:

Quizás no exista un sujeto en esta dolorosa nación en cuyo epicentro se acumule tanta atrocidad; por eso es inevitable imaginar mujeres valientes abandonando poblados enteros, con sus hijos a cuesta, mientras al mirar hacia atrás el fuego de la barbarie consume sus hogares.

সম্ভবত; এই দুঃখী জাতির ভেতর আর এমন কোন বিষয় নেই যার, ভেতরে এত অত্যাচার জমা হয়েছে; একারণেই, সাহসী মহিলাদের পিছু পিছু তাদের শিশুরাও বর্বরতার আগুন কীভাবে তাদের বাড়ি-ঘর গ্রাস করছে, তা পেছন ফিরে দেখতে দেখতে সমস্ত গ্রাম ছেড়ে চলে যাচ্ছে, এই দৃশ্য কল্পনা করা এখন এক অবশ্যম্ভাবী বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

কার্লোস আর্মান্দো কুয়ের্ভো তার পালসো ডি ওপিনিয়ন ব্লগে “৮ মার্চ , শতাব্দীর মুক্তি ও সমতা” [স্প্যানিশ] শীর্ষক লেখায় পাঠকদের মধ্যপ্রাচ্য ও ল্যাটিন আমেরিকার নারীদের সংগ্রাম ও অর্জনের প্রতিফলন ঘটানোর আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি নারীর শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও রাজনৈতিক অংশগ্রহনের অধিকার ও আইন প্রণয়নের হাল নাগাদ-অবস্থা কি, সে সম্পর্কেও লিখেছেন:

De todas maneras al observar el lejano 1911 y el transcurrir de las décadas hasta llegar a este 2011, son muchos los cambios y avances que el batallar por la emancipación y la igualdad han logrado las mujeres con su ardua y valiente lucha; representadas en Colombia estas conquistas con eventos como el derecho al voto a partir de 1957 y el actual posicionamiento de la mujer en cargos de altísima investidura como la Dirección de la Fiscalía General y la Contraloría General, ya no más restándoles conseguir la presidencia de la república.

যেভাবেই হোক, আমরা সেই দুর অতীতে ১৯১১ সালে [যখন প্রথম আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালিত হয়েছিল] পালন করা এই দিনটিকে পর্যবেক্ষণ করার পর অনেকগুলো দশক পার করে ২০১১-তে এসে দেখছি নারীরা মুক্তি ও সমতার জন্যে সংগ্রামের মাধ্যমে অনেক কিছু অর্জন করেছে। কলম্বিয়াতে নারীদের এই অর্জনগুলোর প্রতিনিধিত্ব করছে ১৯৫৭ সাল থেকে ভোটের অধিকার, মহা বিচারক (প্রসিকিউটর জেনারেল) ও মহা হিসাব নিরীক্ষকের মতো উচ্চ পদাধিকার। এখন তা আর কেবল প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্ট পদের জন্যে অপেক্ষা করছে।

সক্রিয় টুইটার ব্যবহারকারীরা তাদের পক্ষ থেকে জুয়ান গ্যালিয়ানো (@জুয়ানগ্যালিয়ানো৬৬৬), ক্যামিলো আলফ্রেদো (@ক্যালিক্যামস) এবং লুই দানিয়েলের (@লুইদানিয়েলট্যাব) মতো নারীদের অভিবাদন আর স্বীকৃতি দিয়েছেন। লুই দানিয়েল বলেছেন:

Mujeres no solo pueden, estan ya tomando decisiones importantes y fundamentales. En mi Familia, como en la de todos tenemos una Gran Mujer!!

নারীরা শুধু গুরুত্বপূর্ণ ও মৌলিক সিদ্ধান্ত গ্রহনে সক্ষমই নন, তারা তা নিচ্ছেনও। অন্যান্য পরিবারের মতোই আমাদের পরিবারেও একজন মহান নারী রয়েছে!

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .