ফ্রান্স: সাপ্তাহিক পত্রিকা বহুবিবাহ করা অভিবাসী পরিবারের রুপকথার গল্প শোনাচ্ছে

লে পোঁয়া, ফ্রান্সের একটি সাপ্তাহিক পত্রিকা। পত্রিকাটি এক নতুন “জোরালো চাপ প্রয়োগের মত ঘটনার” শিকার যা কিনা, অভিবাসী সম্প্রদায়ের যে ছবি আঁকা হয়, তার বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছে। সংক্ষিপ্ত এক প্রবন্ধ যার শিরোনাম “লে পোঁয়া, আঁ ম্যাগাজা আন্গাজ”-তে (লে পোয়া, একটি একটিভিস্ট পত্রিকা) এই কাণ্ড করা হয়েছে। ব্লগের নাম লঅউফোস্কো (নিয়মের লঙ্ঘনকে হিসেব করা) ব্যাখ্যা করছে [ফরাসী]:

সকলে আমরা মূল বিষয়টির মধ্যে প্রবেশ করি। বিষয়টি লে পোঁয়া পত্রিকার ১৮৯৫ সংখ্যাকে নিয়ে, যার প্রচ্ছদ কাহিনীর শিরোনাম “যে বিষয়ের কথা আমরা বলতে পারি না”। এটি এমন এক প্রবন্ধ যা তার প্রকাশক মন্ডলীর পরিচালক (পাবলিকেশন ডিরেক্টর) ফ্রাঞ্জ-অলিভার গিয়েসবের্ট লিখেছেন। একই সাথে বলা যায় তিনি ফ্রান্সের সবেচেয়ে সাহসী সংবাদিক। এই সংবাদের শিরোনাম “এক স্বামী, আর তার তিন স্ত্রীর কথা”। এই প্রবন্ধ সেই সমস্ত ফরাসী বহুবিবাহকারী ব্যক্তিদের এক অর্থে সমালোচনা করা হয়েছে, যাদের সরকারি সাহায্যে প্রাপ্তি দৃষ্টিকটু রকমের বেড়ে গেছে।

ব্লগ লে স্ক্যান ডে লা ডিভার্সিটে (বহুবিধ বিষয়ের উপর চালানো জরিপ) [৪] বলেই চলেছে [ফরাসী ভাষায়]:

তবে পরে আবিষ্কার হয় যে প্রবন্ধের মূল কাহিনী এক অভিযুক্ত বহুবিবাহকারীর স্ত্রীর স্বাক্ষ্যে লেখা হয়েছে, বাস্তবতার ভিত্তিতে তৈরি নয়।। লে পোঁয়া যে সব তথ্য পেয়েছ তা মালি থেকে আগত এক ফরাসী নাগরিকের তৃতীয় স্ত্রী ৩২ বছর বয়স্ক বিনতুর। উক্ত ভদ্রলোকের আটটি সন্তান। এর মধ্যে একজন খারাপ পথে পা বাড়িয়েছে। তবে ঘটনা হচ্ছে সাক্ষাৎকার গ্রহণকারী সাংবাদিকের সাথে কখনোই বিনতুর সাক্ষাৎ ঘটেনি, যার কোন অস্তিত্ব নেই। কেন নেই?

সিসিএম এক পদ্ধতির কথা উন্মোচন করেছে যা ফরাসী সাংবাদিকরা ব্যবহার করে। তারা বিদেশ থেকে ফ্রান্সে আসা অভিবাসীর সন্তান, যারা ফরাসী নাগরিক, তাদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করে। বেশ সংযত পরিবেশে তারা এই সাক্ষাৎকার গ্রহণ করে। কারন তাদের অনেকেই উপশহরে বাস করে [ফরাসী ভাষায়]। এখানে প্রবন্ধটির শিরোনাম হচ্ছে, উপশহরে সাংবাদিক এবং যুদ্ধের সংবাদদাতা-“একই রকম যুদ্ধক্ষেত্রে তারা কাজ করে”? [ফরাসী ভাষায়]। সাংবাদিকটি সংবাদ সংগ্রহের জন্য “ফিক্সার” বা অন্য এক ব্যক্তিকে আহ্বান জানায়। কারণ অনেক লোকের জন্য উপশহরে গিয়ে সংবাদ সংগ্রহ করা, যেন বাগদাদে বিশেষ অভিযানে সংবাদ সংগ্রহ করার মত:

লে পোঁয়া এ রকম কোন নিদিষ্ট ব্যক্তি বা “ফিক্সার”-এর কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছে, যা আসলে বানানো সংবাদ? এই পদটি সাধারণত “অনুবাদকারী সহযোগীর” ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়, যারা আসলে ইরাক এবং সাধারণত যুদ্ধ ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের সাহায্য করে থাকে। যেমনটা ব্যাখ্যা করেন মার্ক এপস্টেইন, যিনি ২০০৫ সালে ল’এক্সপ্রেস নামক পত্রিকার সংবাদে এই সমস্ত ছায়া মানব ও মানবীর উপর সংবাদ প্রকাশ করেন

একটি পোস্টের শিরোনাম “সংবাদকে বিকৃত করা এবং বিকৃত সংবাদপত্র” ( দি ম্যানিপুলেশন এন্ড মনিপুলেটেড প্রেস-এ ব্লগ ডেস পেটিট রেইনে সংবাদপত্র প্রকাশ করেছে যে [ফরাসী ভাষায়]:

আরেট সুর ইমেজ নামক প্রকাশিত একটি নিউজ সাইটে একটি সুন্দর বর্ণনা রয়েছে: কি ভাবে একজন “ফিক্সার” (যে সমস্ত সাংবাদিক যদি কোন একটি এলাকাকে বিপজ্জনক মনে করে এবং সেখানে সে প্রবেশ করতে চায়, তাহলে সেখানকার যে ব্যক্তির কাছ খেকে সাহায্য নেয়) একজন সাংবাদিকের কাছে সংবাদ প্রকাশ করার ক্ষেত্রে কৌশলের আশ্রয় নিয়েছে, খুবই শ্রদ্ধেয় এক সাপ্তাহিক লে পোঁয়ার সাংবাদিকের কাছে সংবাদ প্রদানের ক্ষেত্রে এই কৌশলের আশ্রয় নিয়েছে। এই পত্রিকা উপশহরের বহুবিবাহের উপর সংবাদ প্রকাশ করতে চেয়েছিল যা খুবই রসালো এক বিষয়। এটি সেই সমস্ত মানুষদের নিন্দা জানানোর জন্য তৈরি করা হয়, যারা অন্য দেশ থেকে এদেশে এসেছে। এখানে “ফিক্সারটি” ছিল এক তরুণ এবং বেহায়া। তার নাম আবদেল। এখানে সে এই সম্প্রদায়ের নেতিবাচক একটা ছবি তৈরি করার চেষ্টা করে, প্রচার মাধ্যমে যেমনটা প্রচারিত হয়, সেখানে সে ভাব করে যেন সে আসলে একজন বহু বিবাহকারীর স্ত্রী। সকলেরই ভিডিওটি দেখা উচিত। এটা এক ঐতিহাসিক ভিডিও।

এখানে কি ভাবে সাংবাদিক @সি ভিডিওটি ও প্রবন্ধটিকে টুইটারে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে:

dan_asi « Le Point piégé : la femme du polygame s'appelait… Abdel (article + vidéo). http://fwd4.me/gz4 #exclu 🙂 »

ডনস_আসি: লে পোঁয়া ধোকা খেয়েছে: বহুবিবাহকারীর স্ত্রীর নাম .. আবদেল, প্রবন্ধ এবং ভিডিও এইচটিটিপি://এফডাব্লিউ৪.মি/জে৪# বিশেষ এক ভিডিও।


Le Point en flagrant délit de bidonnage – @si
ছবিটি উঠিয়ে দিয়েছেএএসআই. – সম্প্রতি প্রকাশিত ভিডিও সংবাদটি দেখুন
সমাজবিজ্ঞানী এরিক ফাসিন এই ভূয়া সংবাদের বিষয়টি প্রবন্ধের মূল হিসেবে ব্যবহার করেছেন।“ বহুবিবাহ: লে পোয়া এন্ড দি সোশিয়েটেল মিডিয়া ফেব্রিকেশন অফ মোরাল প্যানিক (লে পোঁয়া এবং সামাজিক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে তৈরি করা প্রচারণা মাধ্যমের নৈতিক আতঙ্ক, এক সাজানো ঘটনা) [ফরাসী ভাষায়]; এখানে দেখাচ্ছে যে. কি ভাবে সাংবাদিক এবং অনেক ফরাসী সমাজের অন্যরা বিশ্বাস করে, উপশহরে বাস করা অনেক পরিবারে বহু বিবাহের চর্চা রয়েছে:

বাস্তবতা হচ্ছে কেবল এই বিষয়ে কেবল একটি সঠিকভাবে যাচাই করা সংখ্যা রয়েছে: একটি যাচাই করা নমুনায় দেখা যাচ্ছে যে ৪৪৩৯ জন কিশোর কিশোরীর মধ্যে ৬৫ জন বহুবিবাহ করা পরিবারের সন্তান, অন্য ভাবে দেখতে গেলে বহুবিবাহের পরিমাণ ১.৫ শতাংশ।

সেনেগালে বহুবিবাহ বিষয়ে একটি প্রবন্ধে [ফরাসী ভাষায়] আমরা নীচের তথ্যসমূহ পেয়েছি । (ফ্রান্সের অনেক নাগরিক সেনেগাল থেকে এসেছে):

সেনেগালের পরিসংখ্যান এবং জনসংখ্যা বিভাগ [২০] পরিচালিত ২০০৪ সালের এক জরিপে দেখা যাচ্ছে, ২০০২ সালে রাজধানী ডাকারের ৬.৬ শতাংশ মহিলা এমন স্বামীকে বিয়ে করেছে যাদের কয়েকটি স্ত্রী রয়েছে। গ্রামীণ এলাকায় এই সংখ্যাটি দ্বিগুণ।

ফাসিন বলেই চলেছে:

“আজ, বিতর্কটি একটি রুপ ধারণ করেছে… বহুবিবাহ পরিবারের ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে এই যে এগুলো সমস্যার সৃষ্টি করে”

সেনেগালের সমাজে বহুবিবাহের প্রভাব খুব সমান্য এবং এখানে নানা ধরনের সুযোগ রয়েছে। ব্লগ চেজ গ্যাংগোয়াস মন্তব্য বিভাগ সেনেগালের বহুবিবাহের প্রভাবের উপর একটি বিস্তারিত বর্ণনার বিনিময় করেছে [ফরাসী ভাষায়]:.

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .