বারমুডা: হারিক্যান ইগোরের সাথে যুদ্ধ

তার সব থেকে জনপ্রিয় নামের উৎসের প্রতি বিশ্বস্ত থেকে হ্যারিকেন ইগোর এই পর্যন্ত আটলান্টিক হ্যারিকেন মৌসুম ২০১০ এর সব থেকে বড় ঝড় হয়েছে এবং বারমুডার ছোট দ্বীপটাকে তছনছ করে দিয়ে এটি নিউফাউন্ডল্যান্ডের দিকে এগিয়েছে। এই ধ্বংসযজ্ঞের মধ্যে মাত্র কয়েকজন বারমুডার ব্লগার খবর প্রকাশ করতে সমর্থ হয়েছেন…

ঝড় আসার আগে, ব্রিজব্লগ দ্বীপের একটা সৈকতের ভিডিও পোস্ট করেন, যেখানে লক্ষ করেন যে দ্বীপে মনে হচ্ছে ঝড়ে ছিন্নবিচ্ছিন্ন হচ্ছে ‘যাকে দেখে মনে হচ্ছিল বেশ বড় ধরনের আঘাত':

আমি ফেসবুক আর টুইটারে পোস্ট করব (@গবার) যতক্ষণ বিদ্যুত থাকে।

তিনি বেশ কয়েকটি অনলাইন সূত্রের লিঙ্ক দিয়েছেন যা ইগোরের অগ্রগতি দেখিয়েছে।

বারমুডা ব্লগ ঢেউ এর বিশালত্ব দেখে অবাক হয়েছেন যা এই হ্যারিকেনের ভূমিতে এসে পৌঁছানোর ৬০ ঘন্টা আগেই হচ্ছে

আবহাওয়া লাগাতার খারাপ হয়েছে, যা ব্রিজব্লগের ভিডিও থেকে দেখা গেছে, এবং যিনি জানিয়েছেন:

আজ সকালে কুকুরকে নিয়ে বেড়াতে যাওয়ার সময়ে কিছুটা উড়ে গেছি। বাতাস এখন আঞ্চলিক ঝড়ের পর্যায়ে, যা এই চিত্র থেকে দেখা যাচ্ছে – সল্ট কেটেল ফেরি স্টপ থেকে ধারন করা, হ্যামিল্টন হারবার থেকে শহরের দিকে দেখা যাচ্ছে।

টুইটার কার্যকর একটি প্লাটফর্ম ছিল, যা সাধারণত এই সকল ক্ষেত্রে হয়ে থাকে, যার মাধ্যমে তথ্য পাওয়া গেছে। পলিটিকস.বিএম এটাকে লাগাতার ব্যবহার করেছেন:

ভাববেন না কোন হ্যারিকেনের জন্য আমি এতো আগে থেকে কখনো তৈরি ছিলাম। আমি কুকুরকে গোসলও করিয়েছি

বাতাসের গতি আর লক্ষ্য গিলবার্ট হিলের দিকে http://bit.ly/97Xhs6

বিদ্যুত চলে গিয়ে অল্প চাঁদের আলো আসছে। ধন্যবাদ #ইগোর

আমার সামনের দরজা যদি কথা বলতে পারতো তারা ‘উফ’ বলত। ঝড়ের চোখের কোনে এখন।

পশ্চিমে এখনো আওয়াজ হচ্ছে। মনে হচ্ছে না স্মিথস আর ডেভের ওখানে কোন ছাদে ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ের কোন্দ্র দীর্ঘ সময় নিয়েছে এখান দিয়ে যেতে।

শন আর সু আরো তথ্য দিয়েছেন, যেহেতু তারা দ্বীপের বাইরে ছিল:

এখন হয়তো হারিক্যান ইগোর বারমুডাকে আক্রমণ করছে, বোকা বাতাস, প্রচন্ড বৃষ্টি আর ঝামেলা দিয়ে। শেষের খবর ছিল যে অর্ধেকের বেশী দ্বীপে কোন বিদ্যুত নেই, চারিদিকে গাছ পড়ে গেছে, অনেক বন্যা, আর এখনো ২৪ ঘন্টা ব্যাপী উচ্চ বাতাস আর মূলত খারাপ আবহাওয়া বরাতে আছে ঝড় শেষ না হওয়া পর্যন্ত।

এই সপ্তাহে আমরা ভাবছি যে ওখানে ঝড় আসার সময়ে থাকলে আমরা কি করতাম। এটা সম্পূর্ন ধ্বংসের ভয় না। বারমুডার ঘর আর ছাঁদ খুব শক্তিশালী আর বিপুল ক্ষতির সম্ভাবনা কম। কিন্তু উচ্চ তাপ, পানি আর বিদ্যুতের অভাব জীবন দুর্বিসহ করে তুলবে। ফাবিয়ান ঝড়ের সময়ে পূবের কোনার সাথে দ্বীপের সব থেকে বড় অংশকে সংযুক্ত করা রাস্তা আর সব থেকে জরুরি বিমানবন্দর জলে ধুয়ে গেছে। এর মানে বিদ্যুত ছাড়া অনেক দিন আটক থাকতে হতে পারে।

এখনো আমাদের অনেক বন্ধু ওখানে আছেন আর তারা ঝড়কে নিবিড় পর্যবেক্ষন করছে আর আশা করছে বড় কোন ঘটনা ছাড়া যাতে এটা পার হয়ে যায়। রয়েলগ্যাজেট ভালো কাজ করছে সকল জিনিষের লাইভ ব্লগিং করে কিন্তু অবশেষে তারা অফলাইন হয়ে গেছে আর তাই আমাদের অপেক্ষা করে দেখতে হবে কাল তাদের কি খবর হয়।

ইগোরের পরে দ্বীপটিতে কি পরিমানে ক্ষতি হবে তার হিসাব করার সময় এখনো হয়নি, কিন্তু ব্রিজব্লগ উজ্জ্বল দিকটা দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যেখানে পোস্ট করেছে হারিকেনের ব্যাপারে মজার আর ভালোবাসার (আর হ্যাঁ ঘৃণার) ১০টি জিনিষ। তালিকার উপরে আছে মনে হচ্ছে এটা শেষ হয়ে যাচ্ছে এই সম্ভাবনা…অন্তত এখনের জন্য।

এই পোস্টে ব্যবহৃত “নাসার স্যাটেলাইট থেকে হ্যারিকেন ইগরকে দেখা যাচ্ছে” শিরোনামে থাম্বনেইল চিত্রটি নাসা গডার্ড ছবি ও ভিডিওর সৌজন্যে এবং একটি ক্রিয়েটিভ কমন্স লাইসেন্সের আওতায় ব্যবহৃত.

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .