কোরিয়া: চপস্টিক্স ব্যবহার…বেশ জটিল…

বুদাপেস্টে ২০০৮ সালের গ্লোবাল ভয়েসেস সম্মিলনের এর সময় পূর্ব এশিয়া সম্পাদকদের সাথে যখন আমি এক রাতে খেতে গেলাম আমরা সবাই মিলে চপস্টিক্স এর ভিন্নতা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা করেছিলাম। কেন কোরিয়া লোহার চপস্টিক ব্যবহার করে আর অন্যান্য দেশ কাঠ দিয়ে তৈরিটি ব্যবহার করে? দেশে ফেরার পর আমি খুঁজতে শুরু করলাম কোন ব্লগার চপস্টিক্স নিয়ে লিখেছে কি না। আমি কিছু মজার লেখা এখানে উদ্ধৃত করছি।

젓가락의 유래
젓가락을 처음 쓴 나라는 중국이라는 데는 이견이 없습니다. 어 떤 중국학자들은 젓가락이 처음 사용된 것은 음식을 먹기 위한 것이 아니라 요리를 하기 위한 목적이었을 것이라고 생각합니다. 초기의 젓가락은 썩기 쉬운 나무나 대나무로 만들었던 것 같습니다. 바로 그것이 젓가락이 처음 사용된 때가 언제인지를 정확하게 말하는 것이 거의 불가능한 한 가지 이유입니다.[…] 이렇게 젓가락의 유래는 대나무로부터 시작되었으며 젓가락은 세계에서 15억명 이상이 쓰지만 한, 중, 일 세 나라가 젓가락인구의 80%이상을 차지한다 합니다. 같은 젓가락 문화권이라도 상대적으로 덜 미끄러운 나무젓가락을 쓰는 중국과 일본과는 달리 한국은 쇠젓가락을 써 왔습니다.

চপস্টিক্স এর উৎপত্তি

এটা নিয়ে মনে হয় বিতর্কের অবকাশ নেই যে চীন সর্বপ্রথম চপস্টিক্স ব্যবহার করে। অনেক চীনা বুদ্ধিজীবী ব্যাখ্যা করেন যে চপস্টিক্স প্রথম দিকে রান্নার জন্যে ব্যবহৃত হত, খাবার জন্যে না। […] আগের দিনে, চপস্টিক্স বাঁশ অথবা এমন সব গাছের কাঠ দিয়ে তৈরি হত যা সহজে পচে যেত। তাই এটি ঠিক কখন থেকে ব্যবহার হওয়া শুরু করে তা বলাটা একটু কঠিন। […] চপস্টিক্স প্রথমদিকে বাঁশ দিয়ে বানানো হত আর এখন এটি সারা বিশ্বে ১.৫ বিলিয়ন লোক ব্যবহার করে। চীন, কোরিয়া এবং জাপান এই তিনটি দেশে চপস্টিক্স ব্যবহার করা এই সমস্ত লোকের ৮০% বসবাস করে। চীন এবং জাপান খুব মসৃণ নয় এমন চপস্টিক্স ব্যবহার করে আর কোরিয়া লোহার চপস্টিক্স ব্যবহার করে।

কোরিয়ায় চপস্টিক্স ব্যবহার হচ্ছে যেন ছেলেবেলার বেড়ে ওঠার অংশ। একজন নেট নাগরিক কোরিয়ার সমাজে চপস্টিক্স এর মানে কি তা সবাইকে জানাচ্ছেন।

대학교때 여자후배 둘에게 밥을 사주고 있었습니다. 선배에게 빌붙기하는 여자후배의 귀여움에 넘어간것이죠. 그떄 유부국수인가를 먹는데 두 여자후배 모두 젓가락질을 못하더군요. 그 크로스로 하는 젓가락질 아무도 가르쳐주지 않으면 크로스로 하게 되는데 두 후배모두 젓가락질을 제대로 안배웠거나 배우다가 포기했구나 하는 생각이 들더군요. 그러면서 제 어렸을떄 풍경이 떠 오르구요. 한 7실인가 8살로 기억되는데 외가댁에 갔다가 엄청 혼났습니다. 다 큰녀석이 젓가락질 못한다구요. 삼촌3명에게 둘러 쌓여서 개인레슨까지 받았습니다. 그러나 그렇게 쉽게 젓가락질을 배웠다면 누구나 다했겠지요. 포크질이나 숟가락질을 누가 가르쳐주지 않아도 한번보고 따라할수 있지만 젓가락은 그런 수준의 스킬을 요구하는게 아닙니다.

그렇게 1주일동안 혹독하게 젓가락질 수업을 받았습니다. 나중에 스트레스로 밥도 먹기 싫더군요. 제가 손이 남들보다 좀 작아서 악력이 상당이 약합니다. 뭐 손으로 하는것은 무조건 남들보다 못합니다. 그래서 그런지 정말 잘 배워지지가 않더군요. 하다하다 삼촌들이 포기했습니다. 그리고 집에 와서 혼자 해봤지만 잘 안되더군요. 그래도 계속 노력을 했습니다. 노력을 하면 되긴 되는데 제대로 삼지법으로 되는건 아니고 비슷하게 되더군요. 언뜻 보면 제대로 하는 것이지만 자세히 보면 약간 다릅니다. 그 모습을 다시 외가댁에 가서 보여줬더니 그냥 통과 시키더군요.

그 이후로 계속 그렇게 살고 있습니다. 위의 사진처럼 삼지법도 이제 할수 있습니다. 어렵지 않더군요. 하지만 습관이란것이 무서워서 그냥 약간틀린 모습으로 살고 있습니다. 플래쉬백되었던 기억을 다시 주머니에 넣고 앞에 있는 여자후배들의 크로스 젓가락질을 보면서 이 후배들은 어려서 부모님들이 회초리들고 안가르쳤겠구나 하는 생각이 들더군요. 어느정도 방임을 하거나 자유로운 집안분위기에서 살았겠구나 하는 생각이 들구요. 뭐 별것도 아닌것 가지고 생각의 가지를 펼친것은 있습니다. 회사생활할때도 젓가락질 못하는 신입여자직원을 봤을때도 물끄러미 쳐다본적이 있습니다. 어느누구하나 젓가락질을 가지고 뭐라고 하지는 않습니다. 하지만 나이들어서 젓가락질 못하다니 하는 시선은 있는듯 합니다. 그런것을 가지고 말하기는 그렇고 그냥 속으로만 판단하는 단계이죠.[…]

혹시 주변에서 젓가락질 못하는 분들을 보면 어떤 생각이 드나요? 나이들어서 젓가락질도 못하나~~ 하는 생각을 하시나요. 아니면 뭐 어때 자기가 편한대로 먹음되지라고 생각이 드나요.

젓가락질 참 오묘한 스킬입니다.

আমি কলেজের দুই বান্ধবীর জন্যে খাবার কিনছিলাম। তারা যেহেতু আমার ছোট, আমি খাবার কিনে দিতে মনস্থ করলাম। আমরা নুডলস খাচ্ছিলাম। তারা দুজনই চপস্টিক্স ব্যবহার করায় অপটু ছিল। তাদের চপস্টিক্স নাড়ানো দেখে মনে হচ্ছিল যে তারা শেখেনি কিভাবে চপস্টিক্স ব্যবহার করতে হয়। মনে হয় তারা শেখার চেষ্টা করে ছেড়ে দিয়েছিল। আমি আমার শৈশব নিয়ে চিন্তা করছিলাম। আমি যখন ৭ কি ৮ বছরের ছিলাম আমি আমার নানার বাড়িতে বকা খেয়েছিলাম। তারা আমাকে বকেছিল চপস্টিক্স ঠিকমত ব্যবহার করতে না পারার জন্যে। আমাকে এরপর তিন মামার কাছ থেকে শিখতে হয়েছিল। কিন্তু যদি তা সহজই হত, আমাকে এত কষ্ট করতে হত না। আপনারা না শিখেই কাঁটাচামচ বা চামচ দিয়ে খেতে পারবেন, কিন্তু চপস্টিক্স দিয়ে খেতে আপনাকে তা জানতে হবে।

আমাকে সপ্তাহখানেক ধরে শিখতে হয়েছিল কিভাবে ঠিকমত চপস্টিক্স ব্যবহার করতে হয়। এই নিয়ে উদ্বেগের জন্যে আমি তখন খেতে চাইতাম না। আমার হাত অন্যান্যদের থেকে ছোট ছিল এবং আমার আঙ্গুলে পর্যাপ্ত জোর ছিলনা। তাই আমি হাতের দ্বারা কিছু করায় তেমন ভাল না। শেষের দিকে মামারা হাল ছেড়ে দিয়েছিল। নানা বাড়ি থেকে বাসায় ফেরার পর আমি নিজে নিজেই অনুশীলন করতাম। অবশেষে আমি পারলাম যদিও তখনও সেটা নিখুঁত ছিল না। আপনি যদি দুর থেকে দেখেন সেটাকে ঠিকই মনে হবে। কিন্তু কাছে থেকে দেখলে বুঝতে পারবেন, কিছু সমস্যা আছে। যাই হোক, এর পরের বার যখন আমি নানা বাড়ি গিয়ে দেখালাম আমার চপস্টিক্স ব্যবহার তখন আমি পাশ করলাম।

সেই সময় থেকে আমি চপস্টিক্স দিয়েই খাই। আমি ছবিতে দেখান ভাবেই ব্যবহার করতে পারি। এটি কঠিন নয়। কিন্তু এর অভ্যাসটি ভয়ঙ্কর। আমি এখনও একটু ভুল অভ্যাসে আছি। মনে হচ্ছে যে আমার দুই বান্ধবী যখন ছোট ছিল তখন তার বাবা-মা জোর করে তাদের শেখায় নি। তাদের বাবা-মা নিশ্চয়ই তাদের অব্যাহতি দিয়েছে ভাল মত চপস্টিক্স ব্যবহার শেখা থেকে। আমি মনে হয় অনেক বেশী চিন্তা করি। যখন আমি আমার কর্মক্ষেত্রে থাকি, আমি কিছু সময় আমার সহকর্মীদের চপস্টিক্স ব্যবহার দেখি যারা এটি ভাল পারে না। তাদের কেউ কিছু বলে না। তবে অবশ্যই, অনেকে তাদের দিকে তাকায় যেমনটি ঠিকমত চপস্টিক্স না ব্যবহার করলে অনেক বয়স্কদের দিকে লোকে তাকায়। এই সব সময়ে আমরা নিজেরা চিন্তা করি, কথা না বলে। […]

আপনার কি মনে হয় যখন আপনি আপনার আশে পাশে দেখেন যে অনেকে চপস্টিক্স ব্যবহার ভাল পারে না। আপনি কি মনে করেন না যে এত বয়স হয়ে গেল তবুও তারা পারে না? অথবা আপনি কি চিন্তা করেন যে তারা যা খুশি তাই করুক?

কিভাবে ঠিকমত চপস্টিক্স ব্যবহার করতে হয়…এটি একটি সুক্ষ দক্ষতা।

কোরিয়া, চিন, ও জাপানের চপস্টিক্স ব্যবহারের মধ্যে পার্থক্য কি? এবং এই কলা শিখতে সবচেয়ে ভাল উপায় কি?

[…]사실 아시아의 15억 인구가 바로 이 젓가락을 사용하지만 각각의 사용처와 기교는 서로 다르다. 젓가락의 종주국을 대표하는 한국, 중국, 일본의 젓가락질을 간단히 비교해 보면 다음과 같다.

중국 한국 일본
길이 대 중 소
재질 나무 쇠 나무

중국의 젓가락이 가장 긴 이유는 중국의 음식 문화에 있다. 중국의 음식 문화는 기름에 튀긴 것이 많은데 일단 음식을 기름에 튀기고 튀긴 음식을 먹기에는 짧은 젓가락 보다는 긴 젓가락이 유리하기 때문이다. 또 젓가락의 재질은 튀김에 사용하다 보니 나무 재질이 많다. 참고로 우리나라에서도 튀김용 젓가락은 나무 재질의 긴 젓가락을 주로 사용한다. 일본은 우리와 비슷한 밥상 문화가 발달한 국가이지만 해양 국가로 생선류를 자주 먹으며, 밥을 들고 먹는 특성때문에 젓가락의 길이는 우리보다 짧다. 또 밥을 들고 떠먹는 습성때문에 우리와는 달리 숟가락을 사용하지 않고 젓가락만 사용하는 문화로 정착되었다. […]우리의 젓가락은 대부분 쇠로 만든다. 나무 젓가락의 명칭이 와리바시라는 일본 말로 불린 것을 보면 우리문화에는 아예 나무 젓가락이 없는 듯하다. 쇠로 만든 젓가락과 나무 젓가락의 가장 큰 차이는 쇠로 만든 젓가락이 나무 젓가락에 비해 사용하기 더 어렵다는 점이다. 쇠로 만든 젓가락은 표면이 매끄럽기 때문에 젓가락으로 다른 것을 집으려고 하면 잘 집어지지 않는다. 상당수는 금방 미끄러진다.

따라서 한국의 젓가락이 사용하기 가장 힘들다. 사실 젓가락으로 콩 하나 하나를 집어서 먹는 묘기는 다른 어떤 나라 사람들도 할 수 없다. 따라서 우리나라에서는 젓가락질을 하는 방법이 따로 있고 아이들에게 밥상 머리에서 가르치는 것이 젓가락질이다. 우리나라 사람들이 젓가락질을 잘하는 이유는 간단하다. 그 역시 음식 문화에 있다. […]
우리나라는 반찬을 거의 대부분 젓가락으로 먹는다. 매끈 매끈한 콩 자반도 젓가락으로 먹고, 무르디 무른 묵도 젓가락으로 먹는다. 어른들은 싫어하지만 밥도 젓가락으로 먹을 수 있으며 물에 말은 밥도 젓가락으로 먹을 수 있다. 공중에 떠있는 콩 자반을 젓가락으로 매가 참새를 후려치듯 후려쳐서 뺏았가는 것도 가능하다. 이처럼 우리는 젓가락을 이용해서 다른 사람과 오늘도 경쟁하며 음식을 먹는다.

남은 이야기 필자는 젓가락질을 아주 못했다. 사실 젓가락질은 쉬운 작업이 아니다. 젓가락질은 엄지, 검지, 중지의 절묘한 상호작용이 있어야 가능한데 이런 절묘함은 쉽게 익힐 수 있는 것이 아니기 때문이다. 젓가락질이 좋아진 것은 중학교 3학년 때이다. 당시 필자의 제안으로 7명이 시작한 도시락 까먹기가 그 시발이었다. 보통 도시락은 점심시간에 먹는다. 그런데 한참때라 점심 시간까지 기다리지 못하고 중간에 까먹는 때도 많았는데 이렇게 먹으면 학교를 파하기 전에 배가 고프다는 점이 문제였다. 그래서 도시락 까먹기 계를 조직했다. 총 7명이 참여한다. 아침에 오면 누구의 도시락을 먼저 까먹을지를 가위, 바위, 보로 정한다. 그리고 수업을 시작히기 전에 꼴지의 도시락을 7명이 동시에 까먹는다. 2교시에는 또 다른 녀석의 도시락을 까먹는다. 이런 방법으로 7교시까지 도시락을 까먹는 방법이었다. 당연한 얘기지만 도시락 하나를 7명이 까먹기 때문에 경쟁이 아주 치열했다. 젓가락질을 두번 하기도 힘들며, 채가는 것도 가능하고 흘린 것을 주워먹는 것도 가능하기 때문에 젓가락질을 잘하느냐 못하느냐는 생사와 직결된 문제였다. 직접 제안을 했지만 젓가락질을 잘 하지 못하다 보니 아주 불리했다. 며칠은 쫄쫄 굶고 손으로 떠 먹었다. 그러나 손으로 떠 먹는 것을 금지하는 법안이 상정된 뒤 손으로 떠 먹는 것도 힘들어 졌다. 결국 다른 녀석에게 젓가락질 하는 방법을 배웠다. 그리고 중학교 3학년이라는 어린 나이에 밥의 전쟁에 뛰어 들었다. 이때 이후 젓가락질 솜씨는 아주 늘었다.

[…]১.৫ বিলিয়ন লোক চপস্টিক্স ব্যবহার করে, কিন্তু কিভাবে তারা ব্যবহার করে সেটি কিন্তু ভিন্ন। আমি চীন, কোরিয়া এবং জাপান এই তিনটি দেশের মধ্যে তুলনা করছি, যাদের চপস্টিক্স এর প্রতিনিধিত্বকারী দেশ হিসেবে বলা হয়।

চীন: এর দৈর্ঘ লম্বা আর কাঠ দিয়ে তৈরি।
কোরিয়া: এর দৈর্ঘ মাঝারি আর লোহা দিয়ে তৈরি।
জাপান: এর দৈর্ঘ ছোট আর কাঠ দিয়ে তৈরি।

চীনের চপস্টিক্সগুলো সবচেয়ে লম্বা হয় তাদের খাবারের বৈচিত্র্যের জন্যে। চীনা খাবার সাধারণত ভাজা হয়। এইসব খাবার রান্না ও খাওয়ার জন্যে লম্বা চপস্টিক্স ছোট চপস্টিক্স এর চেয়ে ভাল হয় এবং কাঠের তৈরিটা ভাল হয়। এখানে উল্লেখ্য যে ভাজা খাবারের জন্যে কোরিয়াতেও কাঠের চপস্টিক্স ব্যবহার করা হয়। জাপানের রয়েছে কোরিয়ার মত খাবার, তবে তারা সমুদ্র দিয়ে পরিবেষ্টিত তাই মাছ বেশী খায়। খাবার সময় তারা বাটি তাদের মুখের কাছে তুলে ধরে এবং তাই জাপানীদের চপস্টিক্স ছোট। এ ছাড়া চামচ ব্যবহার করার বদলে তারা বেশীরভাগই চপস্টিক্স ব্যবহার করে। [..] কোরিয়ান চপস্টিক্স লোহার তৈরি। কোরিয়ায় কাটের চপস্টিক্সকে ওয়ারিবাসী (জাপানী শব্দ) বলা হয় কারন তারা কাঠের চপস্টিক্স ব্যবহার করে না। লোহার আর কাঠের চপস্টিক্স এর মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে লোহার চপস্টিক্স ব্যবহার করা বেশী কঠিন। তাদের গাত্র পিচ্ছিল এবং তাই যখন আপনি তা দিয়ে কোন খাবার তুলতে যাবেন সেটি ধরতে কষ্ট হবে। অনেক খাবারই পিছলিয়ে পড়ে যায়।

কোরিয়ার চপস্টিক্স ব্যবহার তাই এত সহজ না। একটি লম্বা সিম লোহার চপস্টিক্স দিয়ে তোলা অনেকেই পারে না। তাই আমরা খাবার সময় চপস্টিক্স ব্যবহার করা শিখি। আমরা কেন এতে পারঙ্গম তা অতি সহজ ব্যাপার। এটি কোরিয়ার খাবার থেকে শেখা। আমরা যখন অল্প পরিমাণে খাবার খাই আমরা সাধারণত: চপস্টিক্স ব্যবহার করি। তেলতেলে সিম আর নরম তফু (সিমের দই) খাবার সময় আমরা সবাই চপস্টিক্স ব্যবহার করি। যদিও বড়রা এটি বারণ করে, আমরা পানিতে চুবানো ভাত খাই এবং তাও চপস্টিক্স দিয়ে। আমরা অন্যের চপস্টিক্স থেকে সিম তুলে আনতে পারি নিজের চপস্টিক্স দিয়ে। চপস্টিক্স দিয়ে আমরা অন্যের সাথে প্রতিযোগিতা করে খাবার খেতে পারি।

আমি সত্যিই চপস্টিক্স ব্যবহারে অপটু ছিলাম। সত্যি বলতে কি, চপস্টিক্স ব্যবহার করা আপাত:দৃষ্টিতে সহজ নয়। এর জন্যে দরকার বুড়ো আঙ্গুল, মধ্যমা আর তর্জনীর মধ্যে পরিকল্পিত নড়াচড়া। আমি আমার কলেজের উচ্চমাধ্যমিকের তৃতীয় বর্ষে এসে চপস্টিক্স সাচ্ছন্দ্যে ব্যবহার শুরু করি। এটি ছিল সাত বন্ধুর সাথে লাঞ্চ বক্সের খাবার খাওয়ার মাধ্যমে। অবশ্যই লাঞ্চ বক্স তো দুপুরেই খাবার জন্যে। কিন্তু আমরা মধ্যাহ্ন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে পারতাম না এবং তার আগেই তা খেয়ে ফেলতাম। কিন্তু সমস্যা ছিল যদি আমরা তাড়াতাড়ি খেয়ে ফেলতাম, তাহলে আমরা ক্লাস শেষ হবার পূর্বেই ক্ষুধার্ত হয়ে যেতাম। তাই আমরা সাত বন্ধু মিলে একসাথে লাঞ্চ বক্সের খাবার সাবার করার পরিকল্পনা করি। প্রতি সকালে ক্লাস শুরুর পূর্বে আমরা কাগজ, কাঁচি ও পাথর দিয়ে খেলা খেলে নির্বাচিত করতাম প্রথমে কার লাঞ্চ বক্স খোলা হবে সাত জনের খাবার জন্যে। এরপরের হেরে যাওয়া বন্ধুর লাঞ্চ বক্স খোলা হত দ্বিতীয় ক্লাসে। এভাবে সপ্তম ক্লাসের মধ্যেই আমাদের সকল লাঞ্চ বক্স শেষ হয়ে যেত। অবশ্যই একটি লাঞ্চ বক্স থেকে সাত জনের খাবার ব্যাপারটি বেশ প্রতিযোগিতামূলক ছিল। দুইবার চপস্টিক্স ব্যবহার করার সুযোগ কম পাওয়া যেত। অন্যদের খাবার ছিনিয়ে নেয়াও সম্ভব ছিল এই খেলায়। তাই চপস্টিক্স ভালভাবে ব্যবহার করতে পারাটা আমাদের উদরপূর্তির জন্যে গুরুত্বপূর্ণ ছিল। যদিও আমিই এই খেলাটির ধারণাটি দিয়েছিলাম, আমার চপস্টিক্স ব্যবহারে অপটুতার জন্যে আমাকেই ভুগতে হত বেশি। বেশ অনেক দিন আমার পেট খালি থাকত এবং আমি না পেরে হাত ব্যবহার করতাম। কিন্তু আমরা হাত না ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেবার পরে সেটাও কঠিন হয়ে যায়। অবশেষে আমাকে শিখতে হয়েছে কিভাবে ভালমত চপস্টিক্স ব্যবহার করতে হয়। আমাকে কলেজের উচ্চমাধ্যমিকের তৃতীয় বর্ষের এই কিশোর বয়সে এসে খাবারের জন্যে লড়াই করতে হয়েছে। তবে সেই সময় থেকে আমার চপস্টিক্স ব্যবহারের কৌশল দ্রুত উন্নত হয়।

বাসায় সাধারণত বাচ্চাদের, মা ও বাবাদের জন্যে আলাদা আলাদা চপস্টিক্স থাকে। একজন ব্লগার অতিরঞ্জন করেছেন যে তার নাতির জন্যেও রয়েছে চপস্টিক্স এবং সে তা ব্যবহার করতে জানে। এই চপস্টিক্সের নাম নাকি এডউইন যা একজন কোরিয়ান উদ্ভাবন করেছে।

어느덧 미국에 간지 6개월..작년 10월달(둥이 36개월)부터 조금씩 연습을 시켰는데, 처음에는 쉽지 않아 잘 사용하지 않았단다. 그런데 몇달이 지나 요즘들어 그냥 쥐어줘 봤더니 아니~ 자연스럽게 면을 먹더라나!!

৬ মাস হল আমি আমেরিকায় এসেছি..অক্টোবর থেকে (তিন বছর বয়সে) তাকে আমি অনুশীলন করতে দেই একটু একটু করে। প্রথমে সে ভালভাবে চপস্টিক্স নাড়াতে পারত না। কিন্তু কয়েক মাস যাবার পরে আমি (খাবার জন্যে) তার হাতে চপস্টিক্স তুলে দেই। এবং সে নুডলস কত ভালভাবে খেতে পারল!

এই ছবিটি এক ব্লগারের সৌজন্যে – তিনি দেখাচ্ছেন কিভাবে আমরা চপস্টিক্স দিয়ে চুলের কাটা তৈরি করতে পারি।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .