দ্বিতীয় মারাত্মক ভূমিকম্পের সময় খোলা জায়গায় যেতে নেপালীয়দের মধ্যে হুড়োহুড়ি শুরু হয়

A fresh 7.3-magnitude earthquake struck Nepal on Tuesday. More than 50 people have been killed and more than 1000 injured in the Himalayan country and neighbouring states, as many buildings already weakened by a much bigger quake last month were brought down. Image by Sumit Shrestha. Copyright Demotix (12/5/2015)

একটি নয়া ৭.৩ মাত্রার  ভূমিকম্প নেপালে ১২ই মে মঙ্গলবারে আঘাত হানে। গত মাসের আরও শক্তিশালী ভূকম্পনের ফলে দূর্বল হয়ে পড়া অনেক ভবনই ধসে পড়ার ফলে হিমালয়ের এই দেশ এবং প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোতে ৫০ জনের বেশী লোক মারা গিয়েছে এবং ১,০০০রের বেশী লোক এতে আহত হয়েছে। ছবি সুমিত শ্রেষ্টার সৌজন্যে। স্বত্ব ডেমোটিক্স (১২/৫/২০১৫)

২৫শে এপ্রিল ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্প নেপালকে বিধ্বস্ত করার পর দেশটি যখন সবে মাত্র স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে শুরু করেছিল তখন ১২ই মে'তে আবারও দেশটির উপর আঘাত হানলো ৭.৩ মাত্রার এই দ্বিতীয় ভূমিকম্পটি।

সাংবাদিক নরেন্দ্র রাউলে টুইট করেছে:

অনেক লোকই রাস্তায় চলে এসেছে। নেপালে বড় ভূমিকম্প

এবার এটি ছিল একটি সাপ্তাহিক কর্ম দিবসে। ২৫শে এপ্রিল শনিবার ছিল এবং মানুষ তাদের ঘরেই ছিল। কিন্তু মে'র ১২ তারিখে বেশীরভাগই তাদের কর্মস্থলে ছিল। ভূমিকম্পের পর যানবাহনগুলো রাস্তায় বিশৃঙ্খল অবস্থায় ছিল।

২৫শে এপ্রিলের ভূমিকম্পে ৮,০০০ এর বেশী লোক মারা গিয়েছিল। এই বারের ভূমিকম্পে এপর্যন্ত ৫৭জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে, আর আহতের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়ে গেছে। ডোলাকা জেলা সব থেকে বেশী আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে, যেখানে ৩৪ জন মারা গেছে বলে খবর পাওয়া গেছে এবং ৯০ শতাংশ ঘর ধসে পড়েছে বলে নেপাল পুলিশের সংগৃহীত প্রাথমিক তথ্য থেকে জানা গেছে।

কাশিশ দাস শ্রেষ্ঠা এবং সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারীরা কাঠমুণ্ডুর বিভিন্ন অংশ থেকে সংগৃহীত ছবি প্রকাশ করেছে।

#নেপালভূমিকম্প এপ্রিল ২৫ (উপরে) এবং মে ১২

আজকের ভূমিকম্পে নতুন বাস উদ্যানে ভবন ধসে পড়েছে; নেপালীয় নিরাপত্তা বাহিনী ভিতরে আটকে পড়া বয়স্কা নারী কে উদ্ধার করছে

নেপালে আর একটি ভূমিকম্প হেলিকপ্টার থেকে তোলা ভীতিকর ছবি এভারেষ্ট অঞ্চলের দিকে যাচ্ছে

এপ্রিল ২৫শের কম্পণে আঘাতপ্রাপ্ত সিন্ধুপালচোক জেলা এই দ্বিতীয়টির কারণে আরও বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেখানে নয় জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

চৌতারা থেকে দৃশ্য, আজকের পর সিন্ধুপালচক

একইভাবে, দ্বিতীয় ভূমিকম্পটি ভক্তপুরের জীবনযাত্রাকে আরও অবনতি করেছে, যে জায়গাটি আগের ভূমিকম্পণের ফলে প্রচুর পরিমাণে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।

অস্থায়ী তাবু থেকে যারা তাদের গৃহে আবার ফেরত গিয়েছিল তারা আবারও খোলা জায়গাতে তাদের তাবুতে ফেরত গেছে।

কাঠমুণ্ডু আবারও তাবুতে ফেরত যাচ্ছে

আবারও সেই। মানুষ কেবল মাত্র স্বাভাবিক হতে শুরু করেছিল, #আবারনেপালেভুমিকম্প তাদেরকে তাদের ঘর থেকে বের করে ছাড়লো।

ভিতরে থাকার সাহস করতে পারলাম না! আবারও তাবুতে ফিরে গেলাম প্রকৃতির সাথে বসবাসের জন্য – খোলা মাঠ, তারা ভরা রাত, মশা…

খোলা আকাশের নীচে রাত্রি যাপন করা মানুষের দুর্দশার উপর জনপ্রিয় অনলাইন বাতায়ন অনলাইনখবর একটি চিত্র সংবাদ প্রকাশ করেছে।

গত সপ্তাহে, নেপালের সরকার বিদেশী ত্রাণ এবং উদ্ধার কর্মীদেরকে তাদের নিজেদের দেশে ফেরত চলে যাবার জন্য আহ্বান জানিয়েছে যেহেতু পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসছিল এবং বাকী যা ছিল তা সরকারই সামলাতে পারবে। অনেক দেশ থেকে আসা দলগুলো ইতোমধ্যে দেশে ফেরত চলে যাওয়ায় উদ্ধার ও ত্রাণ কাজগুলো অনেক কঠিন হয়ে উঠবে।

#নেপাল সময়ের আগেই বিদেশী সাহায্যকে ঘরে ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছে। ত্রাণ কাজ এখন আরও বেশী দুরূহ হবে।

যে বিদ্যালয়গুলো এই সপ্তাহে খোলা ছিল সেগুলো আবারও দুই সপ্তাহের জন্য বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এগুলো এখন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী মে'র ৩০ তারিখ থেকে খুলবে

নেপালীয়রা ধাক্কা সামলিয়ে পুনর্নির্মাণ করে তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফেরত যেতে শুরু করেছিল, কিন্তু আবারও তারা দ্বিতীয় এই কম্পণের ফলে ভীতির মধ্যে বাস করছে।

কাশিশ দাস শ্রেষ্ঠা টুইট করেছে:

নেপালীয়দের মধ্যে যদি কোন প্রকারের স্থিরতা বোধ পুনস্থাপিত হয়েও থাকে তা হয়তো এখন আবার আজকের এই ভীতিকর ও দীর্ঘ ভূমিকম্পের কারণে ধসে পড়লো।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .