ইয়েরেভান আর্মেনিয়ান গণহত্যার শতবার্ষিকী পালনের প্রস্তুতি নিচ্ছে

Armenian students walking towards Genocide Museum, surrounded by the Centennial emblem. Photo taken by myself.

গণহত্যার শতবার্ষিকী পালনের নানা প্রতীকের মাঝখান দিয়ে আর্মেনিয়ার শিক্ষার্থীরা জেনোসাইড মিউজিয়ামের দিকে হেঁটে যাচ্ছেন। ছবি তুলেছেন জোই আইয়ুব।

আসছে ২৪ এপ্রিল শুক্রবার আর্মেনিয়ানদের কাছে ঐতিহাসিক একটি দিন। এদিন আর্মেনিয়ান গণহত্যার ১০০ বছর পূর্ণ হবে। তাছাড়া এদিনে অটোমান কর্তৃপক্ষ প্রায় ২৫০ জন আর্মেনিয়ান বুদ্ধিজীবী এবং নেতাকে আটক করে হত্যা করে। শুধু তাই নয়, অটোমান শাসকরা ১৯১৫ সাল থেকে ১৯১৮ সাল পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে এক থেকে দেড় মিলিয়ন আর্মেনিয়ানকে হত্যা করে।

আপনি যদি এখন ইয়েরেভানে আসেন, তাহলে সর্বত্র বেগুনিরঙা “ফরগেট-মি-নট” (ভুলো না আমায়) ফুল দেখতে পাবেন। কেউ বাদ পড়েনি। স্কুলের শিক্ষার্থীদের জামায় কাঁধ বরাবর পিন দিয়ে ফুলটিকে আটকানো যেমন দেখতে পাবেন, তেমনি কফি পান করতে আসা বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়ার ল্যাপটপে স্টিকার হিসেবে এই বেগুনিরঙা ফুল দেখতে পাবেন। রাস্তাঘাট, বাড়িঘর, হাসপাতাল, দোকানপাট, রেস্টুরেন্ট, হোটেল সবখানেই প্রতীক হিসেবে এই ফুল রাখা আছে। আর সেখানে ছোট্ট একটি লেখা: আমি স্মরণ করছি এবং বিচার দাবি করছি।

Yerevantsi woman sitting at a public park with a living statue of a piano with Forget-Me-Not flowers on it. Photo taken by myself.

একজন ইয়েরেভান নারী পার্কে বসে আছেন। তার পাশে পিয়ানোর উপরে “ভুলো না আমায়” ফুল দেখা যাচ্ছে। ছবি তুলেছেন জোয়ে আইয়ুব।

গণহত্যার ইতিহাস স্মরণ এবং অটোমান সাম্রাজ্যের উত্তরসুরী তুর্কি’র কাছ থেকে এর স্বীকৃতি গত শতক ধরেই প্রত্যেক আর্মেনিয়ানের কাছে জীবন ও পরিচয়ের অংশ হয়ে গেছে। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে আর্মেনিয়ান গণহত্যায় বেঁচে যাওয়া এবং তাদের বংশধররা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের স্বীকৃতির জন্য ক্যাম্পেইন করে আসছে। এখন পর্যন্ত ফ্রান্স, ইতালি, লেবানন এবং রাশিয়া-সহ ২১টি দেশ আর্মেনিয়ান গণহত্যার স্বীকৃতি দিয়েছে।

ইয়েরেভানের সর্বত্র “ফরগেট-মি-নট” (ভুলো না আমায়) ফুল দেখতে পাওয়া যাবে। আর্মেনিয়ান চার্চ অব আমেরিকার পূর্ব অঞ্চলের বিশপ এই ফুলের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়ে বলেছেন, “ভুলো না আমায় ফুলের মূল প্রতিপাদ্য হলো, সেই শাশ্বত চিরন্তন সত্যকে স্মরণ। তাছাড়া প্রতীকীভাবে এটার মাধ্যমে অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতের অভিজ্ঞতার স্মৃতিসমূহকেও স্মরণ করা বোঝায়।”

আসন্ন দিবস উপলক্ষ্যে গণহত্যার স্মরণে কনসার্ট থেকে শুরু করে সম্মেলনসহ কয়েকটি আয়োজনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। গ্লোবাল ভয়েসেস-এর এই লেখকও অ্যাগেইনস্ট দ্য ক্রাইম অব দ্য জেনোসাইড গ্লোবাল ফোরাম শীর্ষক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন। এই আয়োজনে সারাবিশ্বের রাজনৈতিক, ধর্মীয়, নাগরিক ব্যক্তিত্ব, সাংবাদিক এবং সম্পাদক সম্প্রদায়ের ৫০০ বেশি মানুষ অংশ নিবেন।

এই ঘটনার উপরে আরো পোস্ট পড়তে গ্লোবাল ভয়েসেস-এর সাথে থাকুন।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .