কিরগিজস্তানের মেয়েদের নিয়ে প্রথম গল্প

রাইজিং ভয়েসেসের অনুদান প্রকল্পের হালনাগাদ  

দুই মাস হল আমরা আমাদের নিজেদের গল্পগুলো লেখা এবং সেগুলো আমাদের ব্লগে প্রকাশ করতে শুরু করেছি। এরপর আমরা কিরগিজস্তানের বিভিন্ন জেলা থেকে আরও অনেক মেয়ের গল্প সংগ্রহ করতে শুরু করি। তাদের সবার গল্পই বৈচিত্র্যময়।

আমাদের কাছে পাঠানো তাদের ইমেইল বার্তাগুলোতে মেয়েরা তাঁদের কঠোর পরিশ্রম, বৈষম্য এবং কিরগিজস্তানের শিক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে এবং এসব বিষয়ে তাদের অনুভূতি নিয়ে লিখেছেন। জিবেক তাঁর ব্লগে লিখেছেনঃ  

আমি বিজ্ঞান বিষয়ে পড়াশুনা করতে বেশ আগ্রহী। কারন এ বিশ্ব সম্পর্কে আমাদের অনেক প্রশ্নের উত্তর আমরা বিজ্ঞান থেকে পেতে পারি। আমার মাকে আমি যখন বললাম, ভবিষ্যতে আমি একজন বিজ্ঞানী হতে চাই, তখন তিনি আমাকে বললেন, তা সম্ভব হবে না। বিজ্ঞান বিষয়ে পড়াশুনা করা আমার জন্য ভালো হবে না। আর এতে সমাজের লোকজন আমাকে আন্তরিকভাবে গ্রহণ করবে না।

নারী সক্রিয়কর্মী ক্লাবের অন্যতম একজন কো-অর্ডিনেটর সম্প্রতি কাজাখস্তানের আলমাতিতে অনুষ্ঠিত “প্রতিটি মেয়ের জন্য কল্যাণকর, উন্নত এবং স্বাস্থ্যকর ভবিষ্যৎ” শীর্ষক একটি সেমিনারে আমাদের দলটিকে উপস্থাপন করেছেন। তিনি শেয়ার করেছেনঃ

কনফারেন্সটিতে আমি ছাড়া অন্য কোন মেয়ে উপস্থিত ছিল না, অথচ সভার আলোচ্য বিষয় ছিল আমাদের নিয়ে, মেয়েদের সম্পর্কে! আমরা চাই না অন্যরা আমাদের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করুক। আমরা নিজদের মতামত নিজেদের মতো করে প্রকাশ করতে চাই। নিজেদের বিষয়ে নিজেরাই আলোচনা করতে এবং নিজেদের সম্পর্কে নিজেরাই কথা বলতে চাই।

অতীতেও আমরা যখন আমাদের ক্লাবের কার্যক্রম কেবল শুরু করেছি, তখন একই পরিস্থিতি দেখেছি। প্রতিটি সভাতেই ৩০ থেকে ৫০ উর্ধব বয়সের লোকেরা তরুণদের বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আলোচনা করে থাকেন। আর এসব সভাতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কোন তরুণ উপস্থিত থাকেন না। এটি একটি সমস্যা যে লোকেরা মেয়েদের নিজেদের কথাগুলো বলার সুযোগই দিচ্ছেন না।

আমি আমাদের মান নিয়ে এবং কি কি কাজ আমরা সুসম্পন্ন করতে চাই সে সম্পর্কে কথা বলেছি। আমি বলেছি, শিশুরা আমাদের ভবিষ্যৎ নয়, তারা আমাদের বর্তমান। আমরা এখানে আছি এবং কাজে নামতে প্রস্তুত। উপস্থিত নারীদের কেউ কেউ কৌতুক করে বলেছেন, ‘আমরাও মেয়ে, তবে ইতোমধ্যে বেশ প্রাপ্তবয়স্ক মেয়েতে পরিনত হয়েছি।’

বক্তব্য প্রদানের পর প্রকল্পটির সাথে জড়িত মেয়েদের সাথে আমরা সাক্ষাৎ করেছি। এছাড়া আরও দুই জন নতুন মেয়েকে আমরা আমাদের কিরগিজস্তানের মেয়ে সক্রিয়কর্মী দলে যুক্ত করেছি। আন্তর্জাতিক মেয়ে দিবস অর্থাৎ ১১ অক্টোবর তারিখকে সামনে রেখে একটি ঐতিহ্যবাহী গল্প বলা চর্চার আয়োজন করা হয়েছে। আমরা এই অনুষ্ঠানটির একটি ভিডিও তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। “আমাদের দিন, আমাদের কণ্ঠস্বর!” নামের ভিডিওটি আপনারা (সিসি বোতামে ক্লিক করে) সংলাপের মুদ্রিত অনুবাদ সহ দেখতে পাবেন।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .