গ্লোবাল ভয়েসেস-এর সম্মেলন কেন্দ্র সেবু প্রভেনশিয়াল ক্যাপিটল সম্বন্ধে জানুন

Cebu Provincial Capitol. Photo Credits: Mike Gonzalez.

সেবু প্রভেনশিয়াল ক্যাপিটাল নামক ভবন। ছবির কৃতিত্ব মিকা গোনজালেজ-এর।

২৪-২৫ জানুয়ারি তারিখে সেবু প্রভেনশিয়াল ক্যাপিটাল নামে পরিচিত সেবুর পৌর ভবনে গ্লোবাল ভয়েসেস সিটিজেন সামিট ২০১৫ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, যা বিশেষ পরিচিত এমন কতকগুলো ভবনের সমষ্টি যা ইতিহাসকে বয়ে নিয়ে যাচ্ছে, আর একে ফিলিপাইনের অন্যতম এক সেরা ভবন হিসেবে বিবেচনা করা হয়

ঐতিহাসিক এক ভবনকে সেই সময়ে হস্তান্তর করা হয় যখন ফিলিপাইন যুক্তরাষ্ট্রের উপনিবেশ ছিল, সেবু পৌর ভবন সেবুর বেশীরভাগ নাগরিকের জীবনের প্রতিদিনের অস্তিত্বের এক অংশে পরিণত হয়েছে।:

১.বর্তমানে এই ভবনসমূহে অন্য অনেক সরকারী অফিস সহ প্রাদেশিক গভর্নরের কার্যালয় অবস্থিত। একই সাথে এই ভবনে বিশাল এবং প্রশস্ত এক সামাজিক মিলনায়তন রয়েছে সেখানে প্রাদেশিক সরকারের অনেক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। আর এখানেই ২৪ ও ২৫ জানুয়ারি তারিখে গ্লোবাল ভয়েসেস-এর সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এর তৃতীয় তলায় গভর্নরের এক গ্যালারী রয়েছে, যেখানে অতীতের প্রাদেশিক প্রশাসকদের প্রদান করা স্মারক জনগণের দর্শনের জন্য রাখা হয়েছে। এর পেছনে দ্বিতীয় সারিতে অবস্থিত ভবন মার্সেলো বি ফেরনান হল অফ জাস্টিস নামে পরিচিত। যে সমস্ত ভবনে আদালত এবং অন্য সব বিচার বিভাগীয় দপ্তর অবস্থিত।

২. সেবু প্রভেন্সিয়াল ক্যাপিটালকে প্রায়শ ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত হোয়াইট হাউসের সাথে তুলনা করা হয়। ঘটনা হচ্ছে, এমনটা বলা হয়ে থাকে যে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে অবস্থিত স্টেটস ক্যাপিটল বা টেক্সাসের পৌর ভবনের নকশার আদলে এই ভবন গড়া হয়েছে। টেক্সাস স্টেটস ক্যাপিটাল ভবনের অনেক কিছুর সাথে সেবুর পৌর ভবনের মিল রয়েছে, যে ভবন ১৫ শতকের রেনেসাঁ যুগের ইতালীয় স্থাপত্য কাঠামোয়, সুষম সমন্বয়, থাম, খিলান দিয়ে তৈরী এবং রোমান যুগের পোষাক পরিহিত মূর্তি দিয়ে সাজানো। সেবু ক্যাপিটল ভবনের নকশাকার মৃত ফিলিপিনো স্থাপত্যবিদ জুয়ান মার্কোস আরেলানো। জাতীয় ঐতিহাসিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ এই ভবনকে তার সৌন্দর্যের জন্য জাতীয় এক বিশেষ ঐতিহাসিক ভবন হিসেবে ঘোষণা প্রদান করেছে যা সেবুর সমৃদ্ধ সংস্কৃতি এবং ইতিহাসকে তুলে ধরে।

৩. সেবু ক্যাপিটাল ভবনের কাজ শেষ হয় ১৯৩৮ সালে, গভর্নর বুয়েনাভেনচুরা রড্রিগুয়েজের শাসনামলে। ১৪ জুন, ১৯৩৮ সালে এই ভবনের উদ্বোধনের নেতৃত্ব প্রদান করেন ফিলিপাইন কমনওয়েলথের রাষ্ট্রপতি ম্যানুয়েল এল. কুয়েজন এবং সেবুর প্রধান যাজক গ্যাব্রিয়েল রেইয়েস, যিনি নতুন এই ভবনকে আশীর্বাদ করেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ১৯৪২ থেকে ১৯৪৫ সালের মাঝে এই ভবনটি ভয়ানকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয় কিন্তু বিশ্বযুদ্ধ শেষে তা মেরামত করা হয়।

৪. বর্তমান ক্যাপিটল ভবন নির্মাণের পূর্বে সেবু প্রাদেশিক সরকার কাসা প্রভিনসিয়াল ভবনকে তাদের কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করত। এই ভবনটি কাল্লে ডে লস টড়েসে মার্টিরেস (এখন যা এম.জে. কুয়েনকো অ্যাভেনিউ) সড়কের প্লাজা ইনডেপনডেনসিয়ায় অবস্থিত যার অবস্থান বন্দর এলাকার কাছে। সে সময় অনেকে এই অফিস স্থানান্তরের বিরোধীতা করেছিল কারণ তখন এই ভবনটি সেবু সিটির প্রধান এলাকার সকল প্রধান কর্মকাণ্ডের কেন্দ্র থেকে বেশ দূরে অবস্থান করছিল। সে সময় নাগরিকরা এই নতুন পরিষদ পরিচালনা ভবন নিয়ে হাসি তামাশা করত, তার বলত যে ভবনের পেছনের পাহাড়ে বসবাসরত বানরেরা ভবনে আয়োজিত বৈঠকে যোগ দিতে সক্ষম হবে।

৫. সেবু প্রভিনশিয়াল ক্যাপিটল ভবনের দেওয়ালে খোদাই করা রয়েছে “ এই ভবন সেই সরকারের যে সরকার জনগণের”।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .