হোক্কাইডোর ভয়ঙ্কর ভালুক আক্রমণের ঘটনা নতুন করে সাজিয়ে এক সুন্দর পর্যটক আকর্ষণ কেন্দ্রে পরিণত করা হয়েছে

weird japanese tourist attraction

ছবি সূত্রঃ টুইটার ব্যবহারকারী @ওনোবয়২০১১.

জাপানের সবচেয়ে ভয়াবহ ভাল্লুক হামলার ঘটনাস্থলকে পাল্টে, সেখানে আলাদা এবং এক আতঙ্ক ধরানো দৃশ্য তৈরীর মাধ্যমে, সে এলাকাকে রাস্তার পাশের এক আকর্ষণে পরিণত হয়েছে।

১৯১৫ সালে (তাইশো ৪) জাপানের এক বাদামী ভালুক (হিগুমা, অথবা উরসাস আর্কটস লাসিটস) সানকেবেতসু-এর রকুসেনসাওয়া এলাকার এক ছোট পল্লীতে হামলা চালায়, যা এখন তোমামে পৌর এলাকার অর্ন্তগত।

এই ভালুকটি সাতজন ব্যক্তিকে নিহত করে, যা সানকেবেতসুর বাদামী ভাল্লুকের ঘটনা নামে পরিচিত। তোমামে নামক পৌর এলাকা তার অতীতে ঘটে যাওয়া এই আতঙ্ক ধরানো ঘটনাকে পুঁজি করার চেষ্টা করছে এক ভালুক সড়ক তৈরী এবং স্বয়ং ভালুকের এই হামলাকে আবার নতুন ভাবে গড়ার মাধ্যমে।

তোমামেই-এ যারা ভ্রমণ করতে যায়, তারা সেখানে গিয়ে তাদের প্রায়শ হতভম্ব হয়ে যাওয়ার বিষয়টি স্যোশাল মিডিয়ায় প্রকাশ করে।

হোক্কাইডো জেলার তোমোমোই এলাকায় অবস্থিত ভালুক সড়ক –এর জন্য এক চিহ্ন আঁকা হয়েছে। এই চিহ্নটি সানকেবেতসু গ্রামের বাইরে অবস্থিত, যেখানে এখন থেকে ১০০ বছর আগে ভালুক দ্বারা হামলা সংঘঠিত হয়েছিল। আমি নিশ্চিত নই উষ্ণ এবং বন্ধুত্বপূর্ণ চেহারার এই ভালুক এখানে ঠিক যথাযথ কিনা… …

উপকূল ধরে আজ সকালে গাড়ি চালিয়ে গেলাম।((=(*゚▽゚)ノ আমি সানকেবেতসুর বাদামি ভালুকের ঘটনার উপর ভিত্তি করে নির্মিত যাদুঘর দেখতে সমর্থ হলাম, এমন একটা কাজ যা আমি সবসময় করতে চেয়েছি। এখানে সংঘঠিত ভালুকের হামলা আকিরা ইয়োশিমারুর “ভালুক হামলা” নামক ছোট গল্পের পটভূমিতে ব্যবহার হয়েছে, যা পরে এক চলচ্চিত্রে পরিণত হয়। .

নিশ্চিত ভাবে বলা যায় ভালুক সড়ক…আকর্ষণীয়/বিদ্রূপ

যখন ভালুক সড়ক নামে পরিচিত এই সড়কটিকে আকর্ষণীয় দেখায়, সে ক্ষেত্রে ভ্রমণকারীরা সংবাদ প্রদান করেছে নতুন ভাবে নির্মিত প্রকৃত হামলার ঘটনা দেখতে বেশ ভয়ানক লাগে:

আমি নিজের কাছে প্রতিজ্ঞা করেছিলাম যদি আমি কোনদিন হোক্কাইডোতে বেড়াতে যাই তাহলে আমি একটা স্থান অবশ্য দেখতে যাবঃ তোমামায়ে-এ অবস্থিত ভালুক হামলা যাদুঘর। এটি শহর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে এক পুরনো চাষের রাস্তার পাশে অবস্থিত, এখানে সেই পরিবেশকে সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে, যখন ভালুক গ্রামে হামলা চালায়। অন্য কথায়, এই পথে যাত্রা ছিল আতঙ্ক জাগানিয়া।

এমন কি এই প্রদর্শন স্থলের ভেতরটা আরো ভয়ঙ্কর:

সানকেবেতসুর এই ঘটনা তখন ঘটে, যখন এক বিশাল আকৃতির এক বাদামী ভালুক এক গ্রামে হামলা চালায়। এটা বেশ আতঙ্ক জাগায়।

জাদুঘরে এই হামলার সব কিছু প্রমাণ আকারে পুনরায় নির্মাণ করা হয়েছে, যা দুটি ভিন্ন রাতে সংঘঠিত হয়েছিল। ২০০১ সালে এই জাদুঘরের যাত্রা শুরু হয়, এবং এতে মনে হচ্ছে স্থানীয় সরকার এক জনপ্রিয় কাহিনী ও চলচ্চিত্রের সুবিধা গ্রহণ করার চেষ্টা করছে এবং জাপানের বেশ বিছিন্ন এক সম্প্রদায়ের প্রতি পর্যটকদের মনোযোগ আকর্ষণ করছে

বাদামী ভালুক, একদা এশিয়ার কামাচাটকা থেকে হোক্কাইডো পর্যন্ত খুব সহজে দেখা মিলত, এখন তারা বিপন্ন প্রজাতির তালিকায় অর্ন্তভুক্ত হয়েছে।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .