আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস–এর উৎপত্তিস্থল ডোমেনিকান প্রজাতন্ত্র এবং কলম্বিয়ায়, আর ল্যাটিন আমেরিকা জুড়ে টুইটার ব্যবহারকারীরা সিরিজ কিছু হ্যাশট্যাগে মাধ্যমে এই প্রচারণায় এই বিষয়ে তাদের সমর্থন প্রকাশ করেছে।
১৯৬০ সালের ২৫ নভেম্বর তারিখে রাফায়েল লিওনিদাস ত্রুজিলো তার শাসনামলে, রাজনৈতিক একটিভিস্ট তিন মিরাবাল ভগ্নিকে খুন করার নির্দেশ প্রদান করে। তার এই কুখ্যাত কাজ ডমিনিকান প্রজাতন্ত্রের স্বৈরতান্ত্রিক শাসনের ইতির শুরু এবং লিঙ্গীয় সমতার এক প্রতীকী দিবস হিসেবে চিহ্নিত হয়।
বিশ্বের ৮০টি রাষ্ট্রের সহায়তায় ২৫ নভেম্বর দিনটিকে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। আর ল্যাটিন আমেরিকার ও ক্যারিবীয় প্রথম নারীবাদী সম্মেলন ১৯৮১ সালে ১৮ থেকে ২১ জুলাই কলম্বিয়ার বোগাটোয় অনুষ্ঠিত হয়।
#HeForShe(পুরুষের জন্য নারী), #DiaNoViolenciaContraLaMujer (#নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস ), #PorLasMujeres (#নারীর জন্য), এবং #NiConElPetaloDeUnaRosa (#(#এমনকি গোলাপের পাপড়ি দিয়েও নয়) হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে, টুইটার ব্যবহারকারীরা এই প্রচারণায় যোগ দিয়েছে। কলম্বিয়ার অভিনেতা এবং অভিনেত্রী ও দম্পতি মোনিকা ফোনসেকা (@ফনসেকামোনিকা) এবং হুয়ান পাবলো রাবা (@ হুয়ানপাবলোরাবা) নিচের এই ছবিটি প্রদর্শন করেছেন যেখানে পাবলো ঠোঁটে লাল লিপিস্টিক দিয়ে তার সমর্থন প্রকাশ করেছে;
#NiConElPetaloDeUnaRosa #HeForShe Trabajar por y con los jóvenes como defensores del cambio @juanpabloraba pic.twitter.com/DqjddVOIAP
— Mónica Fonseca (@FonsecaMonica) November 25, 2014
পরিবর্তনের এক প্রবক্তা হিসেবে তরুণদের জন্য এবং তাদের সাথে কাজ করা
এদিকে টিভির উপস্থাপিকা এবং মডেল লোউরা পিঞ্জন (@আজুলানিপরোন) বলছে :
#PorLasMujeres La mejor campaña es no admitir la impunidad a la violencia contra la mujer #NiConElPetaloDeUnaRosa
— Laura Pinzón (@AzulaNipron) November 26, 2014
সবচেয়ে সেরা প্রচারণা হচ্ছে-নারী নির্যাতনকারীর মুক্তি নেই- এটিকে গ্রহণ করে।
এই বিষয়টির সাথে ডোমেনিকান-এর নাগরিক বেটি সাঞ্জ (@ডাফেন৫) আমাদের এক প্রতিশ্রুতির কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন:
“Todos somos responsables de prevenir y poner fin a la violencia contra las mujeres y las niñas.” #DiaNoViolenciaContraLaMujer
— Betty Sanz (@dafen5) November 25, 2014
নারী এবং কিশোরী নির্যাতন প্রতিরোধে আমাদের সকলের এক দায়িত্ব রয়েছে।
মেক্সিকোর সংসদ আলেহান্দ্রো মন্টানাও (@লাহান্দ্রোমোনটানো) বলছে সেই সমাজ উত্তম যেখানে মেয়েদের প্রতি বাজে আচরণ করা হয় না:
Una mejor sociedad es la que no toca, no hiere y no lastima a una mujer #DiaNoViolenciaContraLaMujer pic.twitter.com/Wohro3UQIs
— Alejandro Montano (@lejandromontano) November 25, 2014
একটি উন্নত সমাজ, মেয়েদের প্রতি বাজে ভাবে ব্যবহার করা, তাদের আঘাত বা আহত করে না।
তবে আলেহান্দ্রো স্কানিগ্লিয়া (@লেইএসেনসুলা) তুলে ধরছে যে অনেক সময় নারীদের কাছ থেকে নারীর সহিংস আচরণের শিকার হয়ে থাকে এবং সে তার টুইটে নারীত্ব এবং নারীবাদীর মত জটিল বিতর্কের প্রতি মনোযোগ প্রদান করেছেঃ
¿Violencia machista? De las peores violencias q he visto ha sido de una mujer a otra mujer. Sobretodo de una feminazi a una mujer femenina.
— Alessandra Scaniglia (@leiesensuale) November 25, 2014
পুরুষদের দ্বারা নির্যাতন? সবচেয়ে জঘন্য যে নারী নির্যাতন, আমি দেখেছে তা নারীর দ্বারাই ঘটে থাকে বিশেষ করে নারীত্ব ধারণ করা নারী, নারীবাদীদের বিরুদ্ধে তা করে থাকে।
এবং নাচিতা আররোবো (@নাচিতা_আররোবো) উপস্থাপন করেছে যে লিঙ্গ বিষয়ক প্রতিশ্রুতি অবশ্য সকলের:
Hijas hermanas tías madres abuelas amigas primas todas juntas #DiaNoViolenciaContraLaMujer pic.twitter.com/hHf3FijECk
— Nachita Arrobo (@nachita_arrobo) November 26, 2013
কন্যা, ভগ্নী, খালা, মা, নারী,বান্ধবী, খালাতো বোন সকলে একসাথে।
অন্য প্রচেষ্টাগুলো মধ্যে রয়েছে সবসময় চলা কলম্বিয়ার ভেতরে এবং বাইরের আলোচনা। নারীর জন্য পুরুষ হচ্ছে জাতিসংঘের উদ্যোগে গ্রহণ করা নারী নির্যাতন প্রতিরোধে বিশ্ব ব্যাপি প্রচারণা, যেটির ক্ষেত্রে @হিফরশি হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করা হয়েছে, একই সাথে জার্নাল হিউম্যানাম পত্রিকা প্রায়শ নারী নির্যাতনের বিষয় তুলে ধরছে।
লিঙ্গীয় সমতার বিষয়টি তুলে ধরতে এবং নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে লড়াই-এ বেশ কয়েকটি কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। নারী এবং লিঙ্গ ভিত্তিক অনেক বিষয় নিয়ে গ্লোবাল ভয়েসেস কাজ করছে, আর এ সব বিষয় নিয়ে নাগরিক প্রচার মাধ্যমে আলোচনার জন্য প্রতিষ্ঠানটি বিশেষ মনোযোগ প্রদান করছে।
লিঙ্গীয় নির্যাতন প্রতিরোধে ১৬ দিন নামক প্রচারণা নিয়ে গ্লোবাল ভয়েসেস-এর করা বিশেষ প্রতিবেদনটিও দেখুন