অস্ত্রধারীরা গ্রোজনিতে হামলা চালিয়েছে, রাশিয়া গুনছে মৃতদেহ

What appears to be heavy artillery hits Grozny's Dom Pechati, where an unknown number of militants are now under siege by local police and military. YouTube. December 3, 2014.

দেখে মনে হচ্ছে গ্রোজনির ডোম পেচিনোতে ভারী অস্ত্রের হামলা শুরু হয়েছে,স্থানীয় পুলিশ এবং সেনা যেখানে অজ্ঞাত সংখ্যক অস্ত্রধারীকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে। ইউটিউবের ভিডিও। ৩ ডিসেম্বর, ২০১৪।

চেচনিয়ার রাজধানী গ্রোজনির রাস্তায় সম্প্রতি স্থানীয় পুলিশ এবং ভারী অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত একদল যোদ্ধার সাথে লড়াই শুরু হয়েছে। বিগত কয়েক ঘন্টায় পাঁচজন পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হয়েছে এবং শহরের কেন্দ্রস্থলে পুলিশের বিস্ফোরিত গাড়ি ধিকিধিকি জ্বলছে,আর গ্রোজনির “প্রেসক্লাব” ভবন আগুনে জ্বলছে এবং অবরুদ্ধ হয়ে রয়েছে।

রাশিয়ান সংবাদ সংস্থা লাইফনিউজ.রু-এর সংবাদ অনুসারে গ্রোজনির দক্ষিণপশ্চিম এলাকা থেকে সন্দেহজনক অস্ত্রধারীরা তিনটি ট্যাক্সিক্যাব ছিনতাই করে এবং সেগুলোকে শহরে প্রবেশ করার জন ব্যবহার করে। তারা লক্ষ্যহীন কোন লক্ষ্যবস্তুকে আঘাত করার জন্য ঘোরাঘুরি ছিল, যখন ট্রাফিক পুলিশ তাদের গাড়িগুলোকে থামায় তারা আবিষ্কার করে সেগুলোতে বিপুল পরিমাণ স্বয়ংক্রিয় রাইফেলের গুলি, গ্রেনেড অন্য অন্যান্য অস্ত্র রয়েছে। আর এর সাথে সাথে গোলাগুলি শুরু হওয়ার সংবাদ পাওয়া যায় এবং এর ফলে কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তার মৃত্যু ঘটে।

অস্ত্রধারীরা ট্যাক্সি ক্যাবে করে এসেছে অন্য সংবাদ সূত্রগুলো এই দাবীকে সমর্থন করেনি, যারা সংবাদ প্রদান করেছে যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক অস্ত্রধারী এখন গ্রোজনি পুলিশের সাথে লড়াই করছে। রুশ ওয়েবসাইট টিজার্নাল.রু একজন চাক্ষুষ প্রত্যক্ষদর্শীর সাথে কথা বলেছে যে ধারণা প্রদান করছে যে প্রায় ৫০ জনের মত অস্ত্রধারী যোদ্ধা এখন গ্রোজনি শহরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, গ্রোজনির বেশীরভাগ নাগরিক ধারণা করছে যে গ্রোজনি বিমানবন্দরে হামলা চালাতে ব্যর্থ হয়ে অস্ত্রধারীরা শহরে হামলা চালায়, যেখানে ঘটনার সময় চেচেন নেতা রামজান কাদিরভ–এর ব্যক্তিগত বিমান অবতরণের কথা ছিল।

টুইটারে, রুশ ব্যবহারকারীরা অস্ত্রধারীদের একটি অডিও বার্তার কথা উল্লেখ করে যেখানে তারা দাবী করে যে গ্রোজনিতে ৩০০ অস্ত্রধারী রয়েছে। ব্লগাররা স্বল্প রেজুলেশন-এর ভিডিও আপলোড করেছে যেগুলোতে দেখা যাচ্ছে কয়েকজন বন্দুকধারী ইসলামের বাণী উচ্চারণ করে স্লোগান দিচ্ছে, তারা গ্রোজনির এই হামলার কৃতিত্ব দাবী করছে, ইসলামের শত্রুদের বিরুদ্ধে লড়াই করে শহীদ হওয়ার প্রতিজ্ঞা করছে। এক ঘণ্টার মধ্যে ইউটিউব ব্যবহারকারীরা দুই মিনিটের এক ভিডিওতে রুশ সাবটাইটেল যোগ করেছে, যেখানে আক্রমণকারীদের বিদ্রোহী চেচেন কমান্ডার আসলান বুয়ুতুকায়েভ, এবং তার সহযোগী প্রাক্তন ককেশাস এমিরাট নামক সংগঠনের নেতা, মৃত ডক্কু উমারভ–এর সাথে সংশ্লিষ্ট বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

রমজান কাদিরভ তার প্রিয় স্যোশাল নেটওয়ার্ক ইনস্ট্রাগ্রাম ব্যবহারের মাধ্যমে নাগরিকদের সম্বোধন করেছেন, যেখানে তিনি গ্রোজনিবাসীদের উদ্দেশ্যে বলেন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত যেন তারা ঘর থেকে বের না হয়, তিনি ধারণা করেছিলেন, ৪ ডিসেম্বর সকালের মধ্যে সবকিছু ঠিক হয়ে আসবে। তিনি এ ধরনের দুঃসাহসী হামলার জন্য চেচনিয়ার বাইরে থেকে আসা অস্ত্রধারীদের উপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করেছেন, যা হয়ত তিনি বিদ্রোহীদের উপর চাপাতে পারতেন, কাদিরভ লিখেছেন,আমরা এই সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছি না, এই সব অস্ত্রধারী ব্যক্তিরা হয়ত অন্য কোন অঞ্চল থেকে এসেছে। চেচনিয়ায় এখন আর এমন কোন অবৈধ সশস্ত্র দল নেই, যারা এই ধরনের হামলা চালাতে সক্ষম ।

গ্রোজনি ভিত্তিক অথবা সেখানকার নাগরিকদের কাছ থেকে অবগত হয়ে টুইটার ব্যবহারকারীরা সংঘর্ষ এবং প্রাণহানীর উদ্বেগজনক সংবাদ পোস্ট করেছে।

গ্রোজনি, সিটি হাসপাতাল ৯ থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারেঃ নিহত পুলিশ কর্মকর্তা ও অন্যদের অজস্র লাশ পড়ে আছে …

এই মূহূর্তে ঠিক গ্রোজনিতে রয়েছি।

গ্রোজনিতে এখন সশস্ত্র ভারী যান (বিটিআরএস) নেমে পড়েছে।

ভয়াবহ ছবি এবং “৩০০ স্পার্টান” নামে অভিহিত শহরে আসা এই সব অস্ত্রধারীদের নিয়ে আলাপ গ্রোজনির কর্তৃত্ব পুনঃস্থাপনে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করছে।

গ্রোজনির বাসিন্দাদের কাছ থেকে আসা তথ্য এখন সকল স্থানে ছড়িয়ে পড়ছে, যার ফলে “এখানে এক যুদ্ধ শুরু হয়েছে” থেকে শুরু করে “আমি কোন কিছু শুনিনি” জাতীয় শব্দ শোনা যাচ্ছে।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .