সাধারণ ইরানিদের কণ্ঠস্বরে পরিণত হয়েছে মর্মভেদী ইউটিউব ভিডিও

চলচ্চিত্র নির্মাতা আলি মোলাভি ইউটিউবে একটি নতুন ভিডিও প্রকাশ করেছেন। ভিডিওটিতে ৫০ জন ইরানিকে একটি প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হয়েছেঃ আপনি কোন জিনিসটিকে সবচেয়ে বেশি ভয় করেন? মোলাভি এই প্রশ্নের উত্তর জানতে তেহরানের রাস্তায় বেড়িয়ে পড়েন এবং এ সম্পর্কে বিপুল সংখ্যক ইরানির উত্তর চলচ্চিত্রে ধারণ করেন। তারা এমন কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন যেগুলো সারা বিশ্বজুড়ে সর্বজন স্বীকৃত। এ বিষয়গুলো ইরানের সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং রাজনৈতিক অবস্থার সাথেও যথেষ্ট প্রাসঙ্গিক। 

ভিডিওটিতে “এই পৃথিবীর বিভিন্ন দ্বিধা দ্বন্দ্ব”, “হৃদয়ভাঙ্গা”, “একাকীত্ব” এবং “সৃষ্টিকর্তা” এই সার্বজনীন উত্তরগুলো বার বার উঠে এসেছে। ইরানের সাথে সম্পর্কিত উত্তরগুলো ছিল এরকম, যেমন “যুদ্ধ এবং পারমাণবিক বিভিন্ন বিষয়” এবং “সবচেয়ে ভয়াবহ সত্য হচ্ছে ইরানে নারীদের কোন মূল্য নেই”।

বর্তমানে ইরান তার পারমাণবিক কর্মসূচির আন্তর্জাতিক অনুমোদন পেয়েছে। অনেকেই মনে করেন, পারমাণবিক শক্তির ব্যবহার শুধুমাত্র সামরিক উদ্দেশ্য সাধনের ক্ষেত্রেই ব্যবহার করা হবে। সাংবিধানিক আইন এবং ইরানি শাস্তি প্রদান বিধি অনুযায়ী ইরানের অভ্যন্তরে ইরানি নারীরা অনেক অসম অধিকারের শিকার হোন। ১৯৭৯ সালের বিপ্লব শুরু হওয়ার আগে থেকে এসব সংগ্রাম বিভিন্ন সময়ে নারী আন্দোলনের ইন্ধন যুগিয়েছে।

মোলাভি একজন ফ্রিল্যান্স চলচ্চিত্র নির্মাতা এবং ইরান ভিত্তিক একজন কার্টুন নির্মাতা। তিনি ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ তারিখে ধারাবাহিক ভিডিওগুলো ইউটিউবে প্রকাশ করা শুরু করেন। তার পরবর্তী ভিডিওতে তিনি ইরানিদের প্রশ্ন করেছেন যে তারা কি চায়? এটির পরপরই তিনি ৪ জানুয়ারি, ২০১৪ তারিখে প্রকাশিত আরেকটি ভিডিওতে ইরানিদের জিজ্ঞাসা করেছেন, তারা কোন ক্ষেত্রে সক্ষমতা অর্জন করতে চান?    

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .