সান্টিয়াগোর ভূগর্ভস্থ রেলপথের বোমা বিস্ফোরণে চিলিয়ান টুইটারে উত্তেজনা

Wave of bomb threats disrupt daily life in Chile -Santiago, 10 September 2014 by Ibar Silva, Demotix.

চিলির সান্টিয়াগোতে বোমা বিস্ফোরণের প্রভাবে স্বাভাবিক জনজীবন বাহ্যত হচ্ছে, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৪। ছবিঃ ইবার সিলভা।  

চিলির রাজধানীতে গত ৮ সেপ্টেম্বর তারিখ সোমবারে একটি বোমা বিস্ফোরণ ঘটে। এ ঘটনায় টুইটারে মন্তব্যের বন্যা বয়ে যাচ্ছে। সান্টিয়াগোতে এক বাণিজ্যিক কেন্দ্রের কাছে অবস্থিত ব্যস্ত এসকুয়েলা মিলিটার রেলস্টেশনে বোমাটি বিস্ফোরিত হয়।

অনেক টুইটার ব্যবহারকারীই বোমা হামলাটি হয়তোবা ভবিষ্যৎ নিরাপত্তা পদক্ষেপের উপর প্রভাব ফেলবে বলে সবার আগে ভাবছেনঃ 

বোমা হামলার পর এখন ভূগর্ভস্থ রেলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করতে রেলে ভ্রমণ মূল্য ৫০ ডলার বাড়ানো হয়েছে। বর্ধিত মূল্য জনগণ বেশ আনন্দের সাথেই পরিশোধ করবেন।   

অন্যান্যরা মূল ধারার প্রচার মাধ্যমগুলোর বোমা বিস্ফোরণ সংবাদ প্রচার নিয়ে বেশ সমালোচনা করেছেনঃ 

ইতোমধ্যে যথেষ্ট হয়েছে, প্রচার মাধ্যম জনগণের মাঝে যথেষ্ট ভয় এবং অসুস্থতা তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। বোমা হামলাটি বেশ মারাত্মক ছিল। তবে এই অযথা উত্তেজনার জন্য যথেষ্ট নয়। একই বিষয় বার বার প্রচার করা হচ্ছে। 

ঘৃণার বীজ বপন করলে আপনি ফসল হিসেবে বিশৃঙ্খলা পাবেন… টেলিভিশন সম্প্রচার কেন্দ্রগুলো এবং তাদের বিবাদ সৃষ্টিকারী রাজনৈতিক “প্রতিবেদন” এই বোমা বিস্ফোরণের জন্য অনেক বেশি দায়ী। 

কয়েকজন টুইটার ব্যবহারকারী একে অন্যকে দোষারোপ করেছেন। যারা এই ঘটনা নিয়ে কৌতুক করছেন এবং মীম ছড়িয়ে দিচ্ছেন, তাদেরকে তারা লজ্জা দিচ্ছেনঃ 

আমি মনে করি, যারা এই ঘটনা নিয়ে কৌতুক করছেন তারা নির্বোধ। এমনকি তাঁর চেয়েও বেশি কিছু, কেননা এখানে কিছু লোক আহত হয়েছেন। এ ঘটনা যে কোন কারও ক্ষেত্রে ঘটতে পারে। 

অনেক ইন্টারনেট ব্যবহারকারী এ ঘটনাকে চিলি এবং সারা বিশ্বের অন্যান্য স্থানে ঘটে যাওয়া সহিংসতা পর্বের সাথে যুক্ত করেছেনঃ 

বোমা হামলার ঘটনাটি বেশ উদ্বেগের বিষয়। একটু চিন্তা করুন! আরাউকেনিয়ার জনগণ একই রকম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন এবং সরকার এ বিষয়ে তেমন গুরুত্ব দিচ্ছে না। 

কল্পনা করুন! যদি একটি বোমা হামলাতেই আমরা এতোটা উত্তেজিত হয়ে পরি, তবে চিন্তা করুন দিন-রাত বোমা হামলার ভেতর দিয়ে যাওয়া ফিলিস্তিনিদের মনের অবস্থা কি!!  

চিলির বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মাঝে এই তুচ্ছ বিষয় নিয়ে তুমুল ঝগড়াই হয়তো এই অনলাইন কথোপকথনের সবচেয়ে বড় বিতর্ক। তারা সম্ভাব্য যে কোন বিষয়েই হোক একদল আরেক দলের উপর দোষ চাপাতে বা এড়িয়ে যেতে সিদ্ধহস্তঃ 

আমি জানি না কোনটি সবচেয়ে আতঙ্কজনকঃ বেমানান লোকেরা বোমা পেতে রেখেছেন অথবা কোন ফ্যাসীবাদী বোমাটি খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন। 

কোন সত্যিকারের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীই শ্রমিক শ্রেণীর বিরুদ্ধে বোমাবাজি করার কারন হিসেবে চিহ্নিত হবেন না। 

বিষয়টি আমাকে উত্তেজিত করে তুলেছে! কারন বামপন্থিরা তাদের চোখ ঢেকে রেখেছেন। তারা স্বীকার করতে রাজী নন যে তাদের ধারণা মন্দ। তারা অযৌক্তিক বিষয়ের সত্যতা প্রমাণ করছেন। 

ইতোমধ্যে মেরু বিভক্ত চিলির সমাজকে হয়তোবা এই বোমা হামলার ঘটনাটি খেপিয়ে তুলতে পারে। এ আশঙ্কায় মারসেলা রায়োসের মতো কেউ কেউ বেশ চিন্তিতঃ  

বোমা বিস্ফোরণ সম্পর্কে বিভিন্ন মন্তব্য পড়ে সবাই আতঙ্কিত… মানসিক বিকারগ্রস্ত এবং আগ্রাসী হয়ে উঠবেন। 

লেখক জর্জ বারাডিট তাঁর প্রতিক্রিয়া ফেসবুকে শেয়ার করেছেনঃ   

No me importa quiénes pusieron la bomba en el metro Escuela Militar. Quienes hayan sido dejaron la agenda a favor de la derecha de este país.

Si fueron de extrema derecha, felicitaciones y no me extrañaría, tienen historia matando a su propio pueblo. Si fueron de extrema izquierda, me faltan palabras para decirles lo imbéciles que fueron. Manga de pelotudos, tratando de derribar el sistema destruyendo un puesto de completos.

Hay una trabajadora municipal, una señora, con sus dedos amputados. ¿Atacar a la clase obrera era el objetivo? Pregúntenle a cualquier trabajador de este país si en los ‘80 le tenían miedo al FPMR, si alguna vez pensaron que podrían atacar a los trabajadores, incluso a civiles cualquiera durante la dictadura.

Hay una diferencia entre luchadores sociales y putos terroristas que dañan a los trabajadores que dicen defender.

এস্কুয়েলা মিলিটার ভূগর্ভস্থ রেলস্টেশনে কারা বোমা পেতে রেখেছিল তা আমার কাছে কোন মুখ্য বিষয় নয়। সে লোক যেই হোক না কেন সে এ দেশের ডানপন্থিদের পক্ষে পাল্লা নিচু করেছে।

তারা যদি চরম ডানপন্থি হয়ে থাকেন, তবে তাদেরকে অভিনন্দন এবং আমি এতে মোটেও অবাক হবো না – নিজেদের লোককে মেরে ফেলার মতো ইতিহাসও তাদের আছে। তারা যদি চরম বামপন্থি হয়ে থাকেন তবে তারা যে কতটা নির্বোধ, সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। একদল গর্দভ প্রচন্ড ব্যস্ততম একটি স্টেশনকে ধ্বংস করে দিয়ে শাসন ব্যবস্থাকে বিকল করে দেয়ার চেষ্টা করছেন।

সেখানে একজন মহিলা শহর কর্মী ছিলেন। অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তাঁর আঙ্গুলগুলো কেটে ফেলতে হবে। শ্রমিক শ্রেণীর উপর হামলা করাই কি তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল? এ দেশের যেকোন একজন শ্রমিককে জিজ্ঞাসা করুন, তারা কি ৮০’র দশকের এফপিএমআরকে ভয় পেতেন কিনা। তারা কি কখনো চিন্তা করেছেন যে এফপিএমআরের একনায়কতন্ত্রের সময়ে এই শ্রমিকদের অথবা বেসামরিক নাগরিকদের উপর তারা হামলা চালাবেন।

সামাজিক সক্রিয় কর্মী এবং নির্লজ্জ সন্ত্রাসীদের মাঝে কিছু পার্থক্য আছে। সন্ত্রাসীরা শ্রমিকদের রক্ষা করার দাবি করে তাদের ক্ষতি করে থাকে। 

বারাডিট টুইটারেও লিখেছেনঃ 

আমি বুঝতে পারছি চিলি বেশ রেগে আছে। তারা স্নায়ু দূর্বলতার শেষ প্রান্তে পৌঁছে গেছেন। একে অপরকে হত্যা করে তারা কোন কল্যাণ সাধন করবেন। 

যদিও বারাডিটের কথাগুলো সবার মন জিতে নিতে পারেনি। এমিলিও বুরগসের মতো লোকদের প্রতিক্রিয়াগুলো বিবেচনা করুনঃ 

আপনি এমন একটি পক্ষকে এই বোমা হামলার জন্য দায়ী করছেন, যাদেরকে আপনি পছন্দ করেন না? যারা আপনার চিন্তারীতি সম্পর্কে গ্রাহ্য করে না, তাদের মাঝে আপনি গভীর ঘৃণার জন্ম দিচ্ছেন এবং সেগুলোর ডালপালা বিস্তৃত হতে সাহায্য করছেন। 

এই কথোপকথনগুলো জানতে গ্লোবাল ভয়েসেস #বোমবাজো এবং #এস্কুয়েলামিলিটার হ্যাশট্যাগগুলো অনুসরণ করার পরামর্শ দিচ্ছে। 

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .