বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবাসে সামাজিক নেটওয়ার্ক ‘সর্বদা অবরুদ্ধ রাখা হয়’ বলে জানাল মেসেডোনিয়ান কর্তৃপক্ষ

A screenshot of a YouTube video showing the living conditions at Goce Delchev dormitory in Macedonia.

মেসেডোনিয়ার গসে ডেলশেভ ছাত্রাবাসটির জীবনমান সম্পর্কে দেখানো একটি ইউটিউব স্ক্রিনশট।  

মেসেডোনিয়ান কর্তৃপক্ষের মত প্রকাশের স্বাধীনতায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা নতুন কিছু নয়, তবে দক্ষিণ ইউরোপীয় এই ছোট দেশটিতে অবস্থার উন্নতি ঘটছে বলেই মনে হচ্ছে। ২০১৪ সালের শুরুর দিকে স্কপির একটি রাষ্ট্র পরিচালিত ছাত্রাবাসের ছাত্ররা ছাত্রাবাসের ভয়ঙ্কর অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের মান প্রকাশ করার জন্য একটি অনলাইন প্রচারাভিযান শুরু করলে, ঐ ছাত্রাবাসে ফেসবুক এবং অন্যান্য ওয়েবসাইটের প্রবেশ বন্ধ করে দেওয়া হয়।

মেসেডোনিয়া থেকে প্রকাশিত আলবেনীয় ভাষার সংবাদ পোর্টাল পোরটালব ডট এমকে শুধুমাত্র একটি মিডিয়া যেটি প্রকাশ্যে শিক্ষা এবং বিজ্ঞান মন্ত্রণালয়ের কাছে এই ঘটনার ব্যাখ্যা দাবি করেছে। এর উত্তরে “ছাত্রাবাসে শুধুমাত্র সামাজিক মিডিয়া” ছাড়া দেশের কোথাও ইন্টারনেটের কোন ধরণের সেন্সর করা হয়নি বলে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। 

“Probleme me internetin nuk ka pasur, nuk është bërë ndonjë ndalesë në konviktin ‘Goce Dellçev’, sa i përket ankesave të studentëve, ato faqe dhe rrjete sociale gjithmonë kanë qenë të bllokuara si për studentët ashtu edhe për shkollat e mesme dhe fillore. Atyre u mundësohet qasja në internet për të mësuar dhe jo të hynë në faqe me përmbajtje që nuk ka lidhje me mësimin”, thonë nga sektori për informim i MASH-it.

মন্ত্রণালয় প্রতিনিধি বলেছেন, “ইন্টারনেট ব্লক সংক্রান্ত ছাত্রদের দাবি সম্পর্কে বলছি, আমরা সেটা করিনি এবং “গোসে ডেলছেভ” ছাত্রাবাসে ইন্টারনেটের কোনো সমস্যা নেই। অন্য দিকে, [প্রশ্ন] সেই ​​ইন্টারনেট পাতা এবং সামাজিক নেটওয়ার্কগুলো সব সময় ব্লক রাখা আছে, যেগুলো একই ভাবে উচ্চ বিদ্যালয় ও প্রাথমিক বিদ্যালয়েও অবরুদ্ধ করা হয়েছে। শুধুমাত্র শিক্ষার উদ্দেশ্যে ছাত্রদের আমরা ইন্টারনেট ব্যবহার করতে দিতে চাই এবং সেই পাতাগুলো নয়, যেগুলোর সাথে শিক্ষার কোনো সংযোগ নেই।” 

অবশ্য কোন ছাত্র প্রতিনিধি বা মিডিয়ার কেউ কখনো ইন্টারনেটে সব ধরণের প্রবেশের ক্ষেত্রে কোন সীমাবদ্ধতার কথা দাবি করেননি। গত মার্চ মাসে ঐ অঞ্চল জুড়ে সামাজিক নেটওয়ার্ক মাধ্যমে ছাত্রদের অনলাইন প্রচারণা বেশ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার আগে, ছাত্রাবাসটির অধিবাসীরা পরীক্ষার সময় এবং তার পরেও ফেসবুকে অবাধ বিচরণ করতে পেরেছিল।

সরকারি ঐ ছাত্রাবাসটির অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে প্রচারণাটি চালানো হয়। তবে বিষয়টি আন্তর্জাতিক আগ্রহ সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়। সে সময়, কিছু মিডিয়া ও টুইটার ব্যবহারকারীরা এমনকি কারাগারের ​​জীবনমানের সাথে ছাত্রাবাসটির জীবনমানের তুলনা করেছিলেন:

একটি কারাগার? না, মেসেডোনিয়ার একটি ছাত্রাবাস: জঘন্য আবর্জনার মধ্যে বাস করতে করতে হতাশ, মেসেডোনিয়া ছাত্ররা শেয়ার করেছে …

এটি রাষ্ট্র পরিচালিত সুযোগ সুবিধার প্রতি অনেক অবাঞ্ছিত মনোযোগ সৃষ্টি করে এবং যখন মেসেডোনীয় কর্তৃপক্ষের জন্য বাজে প্রচারণা শুরু হয়, তখন ফেসবুক এবং অন্যান্য ওয়েবসাইটে প্রবেশ হঠাৎ সীমিত করে দেওয়া হয়।

এই কলংকের আন্তর্জাতিকীকরণের ফলে, মেসেডোনিয়ান সরকার স্কপিয়ের বিশেষ ছাত্রাবাসটি মেরামত করার এবং ছাত্রদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের প্রতিশ্রুত দেয়। দেশটির অন্যান্য ছাত্রাবাসের অবস্থাও বেশ নিকৃষ্ট মানের। 

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .