সুইজারল্যান্ডের সাথে উত্তেজনাপূর্ণ জয়ের প্রতিটি মূহুর্ত উপভোগ আর্জেন্টাইন ভক্তদের

PuntosdeAliento

ইউশুয়াতে আর্জেন্টাইন ভক্তদের উল্লাস। ছবিঃ ফ্লিকার ব্যবহারকারী Ministerio de Cultura de la Nación

কোন বিশ্বকাপ ম্যাচ চলার সময়ে আর্জেন্টিনাতে যেন সবকিছুই থেমে থাকে। দেশটির বেশ দৃঢ় ফুটবল ঐতিহ্য রয়েছে। আর্জেন্টাইনরা দেশের ম্যাচ চলাকালীন সেই ৯০ মিনিট বা তাঁর চেয়ে কিছু বেশি সময়ের জন্য ঐ নীল-সাদা ডোরাকাটা টি-সার্টের সাথে তাদের কর্মক্ষেত্রের নির্ধারিত পোশাকটি বিনিময় করতেও দ্বিধা বোধ করে না। খেলার সময় তাঁদের হৃৎপিণ্ডের স্পন্দন বেড়ে যায়, সমস্বরে চিৎকার করে ভালোবাসার দলকে তারা উৎসাহ দেয়। বাড়িঘর এবং বারান্দাগুলো পতাকা দিয়ে সাজান হয়। আর হঠাৎ করেই দেখা যাবে ফুটবল সম্পর্কে সবাই যেন সবকিছু জানে। এমনকি হতে পারে তারা আসলে ফুটবল সম্পর্কে কিছুই জানে না।

সুইজারল্যান্ডের বিরুদ্ধে গত ১ জুলাই তারিখে আর্জেন্টিনার খেলা নক-আউট ম্যাচটির ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম ঘটেনি। খেলাটিতে ১-০ গোলে আর্জেন্টিনা জয় পায়। আর এ ম্যাচ জেতার ফলে তারা পরবর্তী রাউন্ডে স্থান পেয়েছে। খেলার অতিরিক্ত সময়ে আর্জেন্টিনার খেলোয়াড় এঞ্জেল ডি মারিয়া বিজয় এনে দেয়া গোলটি করেছেন।

ম্যাচটি শেষ হওয়ার পর ভক্তরা আর্জেন্টিনার জন্য অপরিসীম ভালোবাসা এবং সমর্থনের বন্যা বইয়ে দেয়। চাউ সুইজা (সুইজারল্যান্ডকে শুভ বিদায়) এবং #তেআমোআর্জেন্টিনা (আমি আর্জেন্টিনাকে ভালোবাসি) শিরোনাম দুইটি টুইটারে শীর্ষ শিরোনাম হয়ে ওঠে। আর যদি দেশটি হেরে যেত, তবে হতাশা, বিরক্তি এবং দুঃখে ভরে উঠতো এই কথোপকথন। চোখের পলকে আর্জেন্টিনা ভক্তদের ঘৃণা ভালোবাসায় এবং ভালোবাসা ঘৃণায় পরিণত হতে পারে। বিশ্বকাপ তাদের কাছে একটি সান্ত্বনা হতে পারে, যার কারণে তারা এমন আচরণ করে থাকেন। আর পরাজয়ের অর্থ হচ্ছে, আবার তাদেরকে প্রতিদিনের গতানুগতিক কাজে ফিরে যেতে হবে। 

একজন আর্জেন্টাইনের পক্ষে কোন ফুটবল ম্যাচের দুঃখবেদনা ঘুচিয়ে আবার নতুন করে শুরু করা বেশ বৈশিষ্ট্যসূচক। 

আর্জেন্টিনা যদি খেলায় না জিততো, তবে এই হ্যাশট্যাগটি [আর্জেন্টিনা আমি তোমাকে ভালোবাসি] কোন প্রচলিত শিরোনামে পরিণত হত না। 

@জুয়ানগ্যাব্রিয়েলসিএবিজে আর্জেন্টিনা থেকে এই বিশাল বিজয় যাচাই করে দেখেছেনঃ 

ফুটবলের পোপ [সাবেক বিখ্যাত ফুটবল খেলোয়াড় দিয়েগো আরমান্দো] ম্যারাডোনা একজন আর্জেন্টাইন। আমাদের [বিখ্যাত ফুটবল খেলোয়াড় লিওনেল] মেসি এবং আরেকজন ছোট ফেরেস্তা [এঞ্জেল ডি মারিয়াকে উদ্দেশ্য করে বলছি, যিনি সুইজারল্যান্ডের বিরুদ্ধে বিজয় সূচক গোলটি করেছেন] আছেন। এর চেয়ে বেশি আমরা আর কি চাইতে পারি ? 

আর এই আনন্দোৎসবের মাঝেও আর্জেন্টাইনরা টেনেমোস আ ডিওস (আমাদের সৃষ্টিকর্তা আছে) শিরোনামের হ্যাশট্যাগটির মাধ্যমে পোপ ফ্রান্সিসকে স্মরণ করেছেনঃ 

আমরা সৃষ্টিকর্তাকে পেয়েছি। আমরা পোপকে পেয়েছি। আমরা একজন সৃষ্টিকর্তার দূত পেয়েছি। আমরা একজন ফেরেস্তাকে পেয়েছি। আমরা এখনও শুধুমাত্র বিশ্বকাপের সেই কাপটির জন্য অপেক্ষা করছি।;) 

ইজিকোয়েল “পোসো” লাভেজির মতো আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়রাও তাদের ফেসবুক পেজে [স্প্যানীশ] লিখেছেনঃ  

10442500_477495522353669_1439539550522285566_n

“খুবই গুরুত্বপূর্ণ জয়!!! দলের অবিশ্বাস্য উদ্যোগ!!! আর্জেন্টিনা, এগিয়ে চলো। ছবিটি ফেসবুকে Ezequiel Lavezzi এর অফিসিয়াল পাতায় পোস্ট করা হয়েছে। 

লিওনেল মেসি তাঁর দাপ্তরিক ফেসবুক পেজে [স্প্যানিশ] লিখেছেনঃ 

Nadie dijo que iba a ser fácil. Un pasito más. #VamosArgentina

Nobody said it was an easy game. Another big step.
#VamosArgentina

- LIO

কেউ এটিকে খুব সহজ বিজয় বলেনি।আরেকটি বিশাল পদক্ষেপ।

#ভামোসআর্জেন্টিনা (এগিয়ে চল, আর্জেন্টিনা)।

- লিও 

এরপর যা বাকি রয়ে গেল, তা হচ্ছে পরবর্তী ম্যাচের জন্য অপেক্ষা করা এবং কেন নয়। নিচের প্রশ্নটির উত্তর দিনঃ 

[ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার ফুটবল খেলোয়াড়] পেলে আর্জেন্টিনা ম্যাচের দর্শক সারিতে উপস্থিত ছিলেন। আর এটি আমাদের জন্য সৌভাগ্য বয়ে এনেছে। আপনারা কি অনুগ্রহ করে তাকে কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচেও নিয়ে আসবেন ? 

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .