বিশ্বকাপ অথবা অলিম্পিকের মতো আসর আয়োজন শুধুমাত্র খেলা এবং মজার জন্যই নয়। এ ওয়েবসাইটটি সে ধারণা ভেঙে দিয়েছে

Screenshot from the Sport Better Cities website.

স্পোর্টস বেটার সিটিস ওয়েবসাইটের একটি স্ক্রিনশট। 

চিন্তা করুন, ফিফা বিশ্বকাপ অথবা অলিম্পিকে কেবলমাত্র একটি দলই জিততে অথবা হারতে পারে। আবারও চিন্তা করুন। যে শহরগুলোতে এই খেলাগুলো আয়োজন করা হয় সেখানে এই ম্যাচগুলো একটি মিশ্র অনুভূতির সৃষ্টি করতে পারে।

অবশ্যই, সারা বিশ্ব জুড়ে থাকা লক্ষ লক্ষ ভক্ত কি ঘটছে তা দেখার জন্য এতে চোখ রাখে। এটির মতো এত বড় বড় খেলার আসর দেশটির প্রোফাইল আরও উন্নীত করতে পারে। যথাযথ পরিকল্পনা হাতে নিয়ে প্রয়োজনীয় অবকাঠামোর নির্মাণ কাজকে ত্বরান্বিত করতে পারে। আজকের দিনে বার্সেলোনা যে একটি আধুনিক উন্নত নগরীর রুপ পেয়েছে, তাঁর বেশিরভাগ কৃতিত্ব দেয়া হয় সেখানে আয়োজিত ১৯৯২ সালের অলিম্পিক গেমসের আসরটিকে। পরবর্তীতে আরও অনেক শহরই এটিকে একটি ভাল উদাহরণ হিসেবে অনুসরণ করেছে।

তবে আয়োজক শহরকে এ ধরনের বড় বড় খেলা আয়োজন করতে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করতে হয়। এই বিপুল পরিমাণ অর্থ  হয়তোবা শিক্ষা এবং চিকিৎসার মতো কোন খাতে খরচ করলে আরও বেশি লাভবান হওয়া যেত। আর এ কারনেই ব্রাজিল অর্থাৎ বর্তমানে ফিফা বিশ্বকাপ ২০১৪ আয়োজক দেশের জনগণ এই টুর্নামেন্টের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। এখানে সত্যিকার অর্থেই কিছু ঝুঁকি রয়েছে। পরিণামে এই বিনিয়োগ থেকে ব্রাজিল ততোটা লাভবান নাও হতে পারে। উজ্জ্বল আলোক সজ্জায় সাজানো খেলার মাঠগুলো একদিন হয়তোবা নষ্ট হয়ে যাবে এবং পরিত্যক্ত অবস্থায় ফেলে রাখা হবে।

এসব কারণে এই খেলাগুলো নিয়ে রিপোর্ট করার কাজটি জটিল এবং স্পর্শকাতর করে তুলতে পারে। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য বিভাগ এবং প্রকৌশল ও ফলিত বিজ্ঞান বিভাগের দুইজন গবেষক এই ধরনের খেলা নিয়ে রিপোর্ট করার কাজটিকে কিছুটা সহজ করে তোলার চেষ্টা করেছেন।

তারা দুজন একটি নতুন ওয়েবসাইট চালু করেছেন। ওয়েবসাইটটির নাম “স্পোর্টস বেটার সিটিস”। আয়োজক শহরগুলোর পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্বকাপ এবং অলিম্পিক আয়োজনের ভাল এবং মন্দ দিকগুলো এই ওয়েবসাইটটিতে ব্যাখ্যা করা হবে। প্রচার মাধ্যম, পাঠ্যপুস্তক এবং অন্যান্য সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য উপাত্তগুলোকে পরিষ্কারভাবে সংকলিত তালিকা এবং বিভিন্ন পোস্টের মাধ্যমে এই ওয়েবসাইটটি প্রকাশ করবে। যেমন “আয়োজক দেশ হিসেবে অর্থনৈতিক স্বার্থ সম্পর্কে আরও বাস্তববাদী হওয়া” (ক্ষতিকর বিষয়ে সতর্কতাঃ প্রতিটি খেলা অনুষ্ঠিত না হওয়ার আগেই দ্যা মিরাকল ইকনোমিক বুস্ট প্রথানুসারে ভবিষ্যৎ বাণী করেছে।) 

গবেষকরা আশ্বস্ত করেছেন, তারা খেলাকে আঘাত করার চেষ্টা করছেন না। “উই লাভ ফুটবল” ওয়েবসাইটটি ব্যাখ্যা করেছেঃ 

আমরা শহুরে অবকাঠামো এবং ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে সাংবাদিক, খেলা, শহর এবং অন্যান্য আগ্রহীদের জন্য বিশ্বকাপ ২০১৪ উপভোগ করা আরও সহজ করে তুলতে চাই। আমরা আশা করি, এর ফলাফল হিসেবে খেলাটি আয়োজক শহরকে কীভাবে আরও উন্নত করে তুলতে পারে সে সম্পর্কে আরও বেশি আলাপচারিতার সুযোগ তৈরি হবে। 

অবশেষে “সুন্দর একটি খেলা আয়োজনের সাথে সাথে অগ্রগণ্য বিষয় হিসেবে তারা আয়োজক শহরের দীর্ঘ-মেয়াদী উন্নয়ন এবং অবকাঠামোগত প্রয়োজন মেটাতে সক্ষম হবেন” বলে তারা আশা প্রকাশ করেছেন।

এই বড় বড় খেলার আসর আয়োজনের প্রভাব নিয়ে কিছু তথ্য শেয়ার করার কি দরকার আছে ? “স্পোর্ট বেটার সিটিস” ওয়েবসাইটিতে তথ্য ও পোস্ট করার আহ্বান করা হচ্ছে। 

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .