রাশিয়ার প্রচার মাধ্যমের ভবিষ্যৎ কি ?

The face of the Russian media. What will it be tomorrow? Images mixed by Kevin Rothrock.

রুশ মিডিয়ার মুখাবয়ব। আগামীকাল এর কি হবে? ছবিঃ কেভিন রথরক  

রাজনৈতিকভাবে প্রণোদনা কারী অবাঞ্ছিত ব্যক্তি যারা ছিল, তাদের লেনটা ডট আরইউ থেকে অপসারণ করা হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে ওয়েবসাইটটির প্রকৃত স্রষ্টা এন্টন নসিক সেদিনকে বাকি রয়ে যাওয়া সম্পাদকীয় কর্মকর্তাদের শেষ দিন বলে তাঁর লেখায় দাবি করেছেন। ক্রেমলিনের প্রতি বন্ধু ভাবাপন্ন একজন প্রধান সম্পাদকের লেনটা কিনে নেওয়ার [জিভি’র রিপোর্টটি দেখুন] ঘটনাটি শুধুমাত্র রুনেটকে সেন্সর করার জন্য নিচু প্রোফাইলের প্রচেষ্টার একটি “পরস্পর সংযুক্ত ঘটনা” বলে তিনি আখ্যায়িত করেছেন।

উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করা যায়, গত ৬ মার্চ, ২০১৪ তারিখে রসকমনাডজর ইউটিউবের একটি ভিডিও নিষিদ্ধ করেছে। চরমপন্থীরা ইউক্রেনের নাগরিকদের জন্য “অস্ত্রের আহ্বান” নামে এই ভিডিওটি তৈরি করেছে। এই ঘটনার ফলশ্রুতিতে বেশ কয়েকজন রাশিয়ান আইএসপি’র লোক ইউটিউবের সবকিছু সংক্ষেপে বন্ধ করে দিয়েছে। রাশিয়ার ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা এই ভিডিওটিতে আর ঢুকতে পারছেন না। এই অনিশ্চয়তার (বিশেষকরে ক্রিমিয়াতে দ্বন্দ্ব সৃষ্টির কারনে) গুমোট পরিবেশে সম্পাদকেরা অনলাইন প্রচার সূচী এবং রিপোর্ট তৈরি করার দিকে যেকোন সময়ের চেয়ে বেশি মনোযোগ দিচ্ছেন। এই অতিরিক্ত চাপে পড়ে ইতোমধ্যে বেশ কয়েক জন সাংবাদিক তাদের চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন। হয়তোবা এটা সবেমাত্র একটি সূচনাঃ চল্লিশ জনেরও বেশি লোক লানটা ডট আরইউ ছেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি পাঁচজন লোক একেবারে খবরের প্রধান ফটক হিসেবে পরিচিত  রুসপ্লানেট থেকে বের হয়ে চলে গেছে। একজন সম্পাদক বলশয় গরদ ত্যাগ করেছেন। রুসপ্লানেটের সাবেক কর্মী, ইগোর স্কোভরদা লিখেছেনঃ   

В общем, да, сегодня написал заявление и уволился из “Русской планеты” (то же самое сделали Паша Никулин, Маша Климова, Митя Ткачев и Юлиана Лизер). Не хочу расписывать всякие подробности, но если коротко, то “Крым расставил все по местам.”

সাধারনত বলতে গেলে, হ্যাঁ, আমি আজ চাকরি ছেড়ে দিয়েছি এবং রুসপ্লানেট (পাভেল নিকুলিন, মারিয়া ক্লিমভা, মিতিয়া কাসেভ এবং জুলিয়ান লিসারও এখান থেকে চলে গেছেন) ত্যাগ করেছি। আমি এ নিয়ে বিস্তারিত কিছু বলব না। কিন্তু সংক্ষেপে বলতে চাইঃ “ক্রিমিয়া [ঘটনা] অনেক কিছুর প্রকৃত চেহারা দেখিয়ে দিয়েছে।”        

পাভেল নিকুলিনও (উপড়ে উল্লেখিত নাম) তাঁর ভিকনতাকতে পেজে প্রতিযোগীতা শুরুর আগে এ ঘটনার গুরুত্ব পরিমাপ করেছিলেন। তিনিও সেন্সর করনের প্রবণতায় ক্রিমিয়ার ভূমিকা সম্পর্কে উল্লেখ করেছেনঃ 

Оказывается, издание чуть не закрыли после моего первого репортажа из Севастополя.

সেভাস্টপোল থেকে করা আমার প্রথম রিপোর্টের পরে প্রকাশনীটি [রুসপ্লানেট] শেষ পর্যন্ত দেখা গেল প্রায় বন্ধ হয়ে যাওয়ার জোগাড় হয়েছে। 

নিকুলিনের করা রিপোর্টটি ক্রিমিয়া থেকে তুলনামূলকভাবে ইউক্রেনের প্রতি বেশি বন্ধুভাবাপন্ন ছিল। দায়িত্বে নিয়োজিত থাকা অবস্থায় ক্রিমিয়ার প্রতিরক্ষা বাহিনী তাকে মারধর করেছে। সে সম্পর্কে রিপোর্ট করার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হওয়ার জন্য তিনি সম্পাদকীয় সেন্সরকরণকে দোষারোপ করেন।

বলশই গরদের সাবেক সম্পাদকও ১২ মার্চ তারিখে তাঁর পদত্যাগ করা নিয়ে মন্তব্য করেছেনঃ  

В устных беседах в течение последнего месяца он [Винокуров] неоднократно настаивал на моём уходе. За это время было произнесено так много аргументов, которые противоречат друг другу, что об истинной причине я могу только догадываться.

গত মাসের কথোপকথনের সময়ে [মালিক আলেক্সান্দর ভিনোকুরভ] বার বার আমার পদত্যাগের উপর বেশি জোর করছিলেন। সে সময়ে অনেকগুলো পরষ্পর বিরোধী উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় এটাই প্রকাশ করেছে যে আমি শুধুমাত্র প্রকৃত কারনটি অনুমান করতে পারি। 

একটি জনপ্রিয় বিতর্কিত গনভোট অনুষ্ঠিত হওয়ার পর এখন মস্কো আনুষ্ঠানিকভাবে ক্রিমিয়াকে অধিকার করেছে। যদি এটা সম্ভব হয়, তবে চরমভাবে বিশ্বাসযোগ্য যে রাশিয়ান সাংবাদিকরা এমনকি এর চেয়েও বেশি অসুবিধার সম্মুখীন হবে। পেশাটি এখন একটি ব্যধিতে আক্রান্ত হয়েছে। বেশির ভাগ দেশের সবচেয়ে মেধাবী রিপোর্টাররা নিজেদের উপর এক ধরনের জোর অনুভব করবে অথবা চরমভাবে হতাশ হয়ে পড়বে। যদি এই পরিস্থিতি আরও দীর্ঘ সময় ধরে চলতে থাকে, তবে রাশিয়ার প্রচার মাধ্যমের চেহারা খুব দ্রুত চিরতরে পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে। হয়তোবা ইতোমধ্যে অনেকখানি পরিবর্তন হয়ে গেছে।  

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .