ভেনেজুয়েলাতে পুলিশ এবং নিরাপত্তা কর্মকর্তারা প্রতিবাদকারী এবং আটক-বন্দীদের মোবাইল ফোন জব্দ করেছে বলে বেশ কয়েকজন রিপোর্ট করেছেন। যেহেতু ভেনেজুয়েলার রাস্তাঘাটে পনের দিন ধরে প্রতিবাদ কর্মসূচী চলছে, তাই প্রতিবাদকারীরা মনে করে পুলিশ তাদের ব্যক্তিগত তথ্য উপাত্ত পর্যালোচনা করছে, প্রতিবাদকারীদের বিভিন্ন ছবি এবং ভিডিও মুছে দিচ্ছে। পুলিশ প্রতিবাদকারীদের পরিবার এবং বন্ধুবান্ধবদের কাছে বিভিন্ন বার্তা পাঠাচ্ছে। একজন ভেনেজুয়েলান আইনজীবী ও আইন বিষয়ক প্রফেসর জোসে ভিসেন্তে হারো আটককৃত শিক্ষার্থীদের পক্ষে কাজ করছেন। তিনি টুইট করেছেনঃ
A los detenidos en el CICPC les quitaron los celulares y dijeron que se los devolveran el lunes. Estan revisando sus celulares.
— JOSE VICENTE HARO (@JOSEVICENTEHARO) febrero 13, 2014
সিআইসিপিসিতে আটক-বন্দীদের কাছ থেকে তাদের মোবাইল ফোন [পুলিশ কর্তৃক] কেড়ে নেওয়া হয়েছে। তারা বলেছে যে সোমবারে তাদের মোবাইল ফোনগুলো ফেরত দিয়ে দেওয়া হবে। তাদের ফোনে থাকা তথ্যসমূহ তারা পর্যালোচনা করছে।
গত সপ্তাহ থেকে বিভিন্ন স্থান থেকে খবর আসছে যে পুলিশ কর্মকর্তারা শিক্ষার্থীদের সেলফোন ব্যবহার করে তাদের পরিবার এবং বন্ধুবান্ধবদের কাছে দুরভিসন্ধিমূলক বিভিন্ন বার্তা পাঠাচ্ছে। এই প্রতিবাদ কর্মসূচীতে অংশ নেওয়া একজন শিক্ষার্থী হচ্ছেন এদোয়ার্দো লিসচিনস্কি। তিনি বলেছেনঃ
Cosas ciertas 6: Están usando los celulares de los estudiantes detenidos para “chalequear” a familiares y amigos que intentan contactarlos.
— Eduardo Lischinsky (@edulisch) febrero 13, 2014
তারা আটক-বন্দী শিক্ষার্থীদের বন্ধুবান্ধব এবং পরিবারের সাথে কৌতুক করতে তাদের সেলফোন ব্যবহার করছে। কেননা তাদের বন্ধুবান্ধব ও পরিবারের সদস্যরা তাদের সাথে দেখা করার চেষ্টা করছে।
ম্যারি মেনাও নামের একজন তদন্তকারী রিপোর্টারকে আটক করা হয়েছে। তিনিও বলেছেন যে কমপক্ষে দুইজন সাংবাদিককে আটক করা হয়েছে। জাতীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তারা তাদেরও সেলফোন জব্দ করেছেঃ
Periodistas @JPBIERIL y @perezvalery17 Anoche fueron detenidos y los GN les quitaron los celulares. Ojo @espaciopublico @ipysvenezuela
— MARY MENA (@MENAMARY) febrero 16, 2014
সাংবাদিক @জেপিবিআইইআরআইএল এবং @পেরেজভ্যালের১৭ কে আটক করা হয়েছে এবং তাদের সেলফোন জব্দ করা হয়েছে। @এস্পাশিওপাবলিকো এবং @আইপিওয়াইএসভেনেজুয়েলা বিষয়ে সতর্ক থাকুন।
আটক-বন্দীদের আত্মীয়স্বজনদের সাথে কথা বলার পর সাংবাদিক লুইসকার্লোস ডায়াজ সত্য বলে ধরে নিয়েছেন যে পুলিশ এবং জাতীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তারা শুধুমাত্র ঠাট্টা করার জন্য তাদের সেলফোন জব্দ করেনি, বরং তাদের ছবি, ভিডিও এবং প্রতিবাদের অন্যান্য প্রমাণাদি মুছে ফেলার উদ্দেশ্যেই এমনটি করেছেঃ
Otra medida represiva en Venezuela es quitarle los teléfonos que a los detenidos para borrar fotos, videos y revisar información personal.
— Luis Carlos Díaz (@LuisCarlos) febrero 17, 2014
ভেনেজুয়েলাতে আরেকটি দমনমূলক পদক্ষেপ হিসেবে আটক-বন্দীদের ফোন কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। তাদের বিভিন্ন ছবি, ভিডিও মুছে দিতে এবং ব্যক্তিগত তথ্যাদি পর্যালোচনা করতে এমনটি করা হচ্ছে।
এই প্রতিবাদ কর্মসূচীর মাঝখানে এবং সেন্সরকৃত প্রচার মাধ্যম থাকা সত্ত্বেও ভেনেজুয়েলার নাগরিকেরা প্রতিবাদ কর্মসূচী এবং তাদের প্রতিবাদ পরবর্তী দমননীতি বিষয়ক ছবি, ভিডিও এবং তথ্য শেয়ার করতে ইন্টারনেটের দিকে মোড় নিয়েছে। কারাকাসের শাকাও জেলাতে প্রতিবাদকারীরা প্রতিবাদের সবচেয়ে নৃশংস এলাকা হিসেবে কিছু ভিডিও বিরতিহীনভাবে প্রকাশ করেছে। ফেব্রুয়ারি মাসের ১৮ তারিখ পর্যন্ত ২,৩০,২২৫ জন লোক এই ভিডিওটি দেখেছে।