গুয়ারানি ভাষায় ফেসবুকঃ প্যারাগুয়েতে ফেসবুক কি করছে?

Image from Shutterstock. Copyright: 1000 Words.

ছবি সাটারস্টক থেকে নেওয়া। কপিরাইট:১০০০ ওয়ার্ডস-এর।

৩ ডিসেম্বর তারিখে আসানসিয়ন-এর প্রাক্তন ট্রেন স্টেশনে সামাজিক নেটওয়ার্ক মাধ্যম ফেসবুক যার ১২০ কোটি ব্যবহারকারী, সেটি একটি গুয়ারানি ভাষার ইন্টারফেস চালু করেছে। প্যারাগুয়ের ভাষাগত নীতিমালা দপ্তরের সংযোগে স্বয়ং এটির অনুবাদ করা হয়েছে। (গুয়ারানি হচ্ছে একটি আদিবাসী ভাষা, বর্তমানে দেশটি কথা বলা হয় এবং স্প্যানিশের পর এটি দেশটির দ্বিতীয় রাষ্ট্রভাষা)।

এছাড়াও, সমগ্র দেশকে সংযুক্ত করার উদ্দেশ্যে, স্বল্প সময়ের এক প্রচারণা চালু করা হয়েছিল যা যে কোন মোবাইল ফোন থেকে বিনে পয়সায় সোশ্যাল নেটওয়ার্কে প্রবেশের সুযোগ করে দিত।

এটা আমাদের দেশে এই বিশাল আকারের প্রতিষ্ঠানের প্রথম কোন উদ্যোগ আর এটি আমাদের মনোযোগ আকর্ষণ করেছে: ৬৯ লক্ষ নাগরিকদের দেশের এক মার্কেটে ফেসবুক আসলে কি অনুসন্ধান করছে?

ল্যাটিন আমেরিকার প্রবৃদ্ধির ডিরেক্টর লরা গোনজালেজ স্টেফানির উপস্থিতির সুবিধা গ্রহণ করে আমরা তার সাথে কয়েক মিনিট আলাপ করেছি এবং তাকে জিজ্ঞেস করেছি:

আপনি কি এই প্রথম প্যারাগুয়েতে এলেন?

Uy no, es la quinta vez que vengo por este proyecto. Estoy muy emocionada con él.

আহ তা নয়, এই প্রকল্পের জন্য এখানে আমার পঞ্চমবারের মত আগমন ঘটল। এই বিষয়ে আমি দারুণ উত্তেজিত।

সাম্প্রতিক বছরগুলোয় ল্যাটিন আমেরিকায় ফেসবুকের ব্যবহার কতটা বৃদ্ধি পেয়েছে?

El crecimiento ha sido vertiginoso pero natural. Los latinonamericanos son sociales por naturaleza. Creo que los latinos han encontrado en Facebook una herramienta para expresarse mas allá de sus fronteras. Y si a eso añades, que Latinoamerica es “móvil por naturaleza” con una penetración de internet tan alta a través de teléfonos móviles, tienes que este gran crecimiento es algo casi lógico.

এই প্রবৃদ্ধি অসাধারণ, কিন্তু তা স্বাভাবিক। প্রকৃতিগত ভাবে ল্যাটিন আমেরিকা সামাজিক। আমি মনে করি ল্যাটিনো নাগরিকরা ফেসবুককে এমন এক উপাদান হিসেবে আবিস্কার করেছে যেখানে সীমান্তবিহীন ভাবে নিজেদের প্রকাশ করা যায়। আর যদি আমরা এই বিষয়টি বিবেচনা করি যে ল্যাটিন আমেরিকা “স্বাভাবিক ভাবে ভ্রাম্যমাণ” আর সেখানে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে এতটা উচ্চ মাত্রায় ইন্টারনেট ব্যবহারের ঘটনা ঘটছে, তাহলে কেউ উপলব্ধি করতে পারবে যে এই বিশাল আকারের ব্যবহার বৃদ্ধির ঘটনা যৌক্তিক একটি বিষয়।

প্যারাগুয়ে কেন?

Creemos en que la conectividad y el acceso a internet es un derecho fundamental para acceder a contenido pero también para mantener relaciones humanas. Nos encantaría conectar a todo el mundo y por eso este proyecto nos emociona tanto. Paraguay es el primer país en el que lo estamos probando.

আমরা বিশ্বাস করি যে সংযোগ এবং ইন্টারনেটে প্রবেশাধিকার এক মৌলিক অধিকার, কেবল কোন উপাদান পাওয়ার জন্য নয়,একই সাথে মানবিক সম্পর্ক বজায় রাখার জন্যও। আমরা সমগ্র বিশ্বের সাথে সংযুক্ত হতে ভালোবাসি আর এ কারণে এই প্রকল্প আমাদের সত্যিকার অর্থে উত্তেজিত করে। প্যারাগুয়ে হচ্ছে প্রথম রাষ্ট্র যেখানে আমরা এই চেষ্টা চালাচ্ছি।

এখন, অন্য দেশে কি একই ধরনের কোন প্রচারণা বা কোন প্রকল্প রয়েছে?

No te lo puedo adelantar, pero tan grande como éste, solo en Paraguay por el momento.

এই বিষয়ে আমি সম্পূর্ণ তথ্য দিতে অপারগ, কিন্তু এই মূহুর্তে এত বিশাল কোন প্রকল্প কেবল প্যারাগুয়েতে বিদ্যমান।

গুয়ারানি ইন্টারফেস চালু করার চিন্তা কোথা থেকে এসেছে?

Cuando empezamos a conversar sobre este proyecto surgió la premisa de que “si vamos a conectar a todos los paraguayos, lo tenemos que hacer en su idioma”. Y así nació el proyecto.

যখন আমরা এই প্রকল্প নিয়ে আলোচনা শুরু করি তখন এই বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে এলো যে “যদি আমরা সকল প্যারাগুয়েবাসীকে সংযুক্ত করতে চাই তাহলে তা তাদের ভাষার মাধ্যমে করতে হবে”। আর এভাবে প্রকল্পের যাত্রা শুরু।

এই প্রচারণার মাধ্যমে আর কতটা ব্যবহারকারীকে আকর্ষণ করতে পারবেন বলে মনে করেন?

A todos. Queremos que todos los paraguayos mayores de 13 años tengan acceso a internet y sean usuarios de Facebook.

সকলকে। ১৩ বছরের উপরে সকল প্যারাগুয়ের নাগরিক যাদের ইন্টারনেটে প্রবেশাধিকার রয়েছে এবং তারা হবে ফেসবুক ব্যবহারকারী।

কি ভাবে আপনারা নিশ্চিত করবেন টেলিফোন ব্যবহারকারীহীন জনগোষ্ঠীর ফেসবুকে প্রবেশ করতে সক্ষম?

La idea es que con cualquier teléfono básico (sea más o menos smart) puedan aprovechar de esta campaña para tener Facebook gratis en todo el país. De todos modos, sé que se está trabajando en campañas especiales para que estos teléfonos sean mas accesibles y con una buena financiación.

চিন্তাটা হচ্ছে অনেকটা এ রকম, যে কোন মূল টেলিফোন (তা স্মার্ট ফোন হোক বা না হোক) –এর মাধ্যমে তারা এই প্রচারণার সুবিধা গ্রহণ করতে পারবে, সারা দেশ জুড়ে বিনে পয়সায় ফেসবুক ব্যবহার করতে পারবে। যে কোন মূল্যে আমি জানি যে বিশেষ প্রচারণায় কাজ সমাপ্ত করা হয়, আর তাই ওই সমস্ত টেলিফোন সমূহ সহজে পাওয়া যায় এবং সেগুলোর জন্য ভালভাবে অর্থ প্রদান করা হয়েছে।

লরা গনজালেজ এই আলাপচারিতার পর দেশজুড়ে ইন্টারনেটের প্রবেশাধিকার এবং এই সমস্ত উপাদান ব্যবহারের মাধ্যমে এর বিকাশে ফেসবুকের ইচ্ছা এবং আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

ডিজিটাল বিভক্তি বন্ধে এটা কি একটা কার্যকরী সমাধান হতে পারে? আপনি কি মনে করেন?

মূল প্রবন্ধটি হ্যালুসিনা ব্লগে প্রকাশ হয়েছে [স্প্যানিশ ভাষায়]।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .