উগান্ডায় হাজারো কঙ্গো উদ্বাস্তুর বন্যা

গত ১৩ জুলাই, ২০১৩ তারিখে একটি বিদ্রোহী আক্রমনের কারনে ৩০ হাজারেরও বেশী উদ্বাস্তু পূর্বাঞ্চলীয় কঙ্গো গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রের কামাঙ্গো শহর থেকে পালিয়ে গিয়ে প্রতিবেশী দেশ উগান্ডায় পৌঁছেছে।

উত্তর কিভু প্রদেশের সর্বোত্তর অংশে অবস্থিত কামাঙ্গো শহরে হামলা চালানো হয় এবং ১১ জুলাই, ২০১৩ তারিখে উগান্ডার একটি মুসলিম বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী, দ্যা অ্যালায়েড ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস (এডিএফ) শহরের সামান্য কিছু অংশ দখল করে নেয়।

সরকার কর্তৃক উপেক্ষিত কিছু গোষ্ঠী ১৯৯০ সালে দ্যা এডিএফ গোষ্ঠী গঠন করে। তাঁরা ১৯৯৮ সালে কাবারোলের একটি কলেজে ৮০ জন শিক্ষার্থীকে গণহত্যা করা সহ বিভিন্ন গ্রামে এবং শহরে বেশ কিছু হামলা চালায়। ২০০১ সালে সরকার চালিত একটি আক্রমনে তাঁদের কার্যক্রম শেষ হয়ে যায়। এবং এই আক্রমনে অনেক এডিএফ কমান্ডার মারা যায়। তখন বেঁচে যাওয়া কয়েকজন যোদ্ধা কঙ্গো গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রে পালিয়ে যায়। সেখানে ক্ষুদ্র পরিসরে বিভিন্ন আক্রমন চালাতে থাকে।

Stephane is a 59year-old Red Cross employee in DRC. He is a refugee in Uganda for the second time in his life. Photo courtesy of @luckycbeck.

ডি আর সি তে ৫৯ বছর বয়সি রেড ক্রস সদস্য স্টিফেন। তিনি তাঁর জীবনে উগান্ডাতে দ্বিতীয় বারের মতো উদ্বাস্তু। ছবিঃ ইউ এন এইচ সি আর।

কঙ্গো গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র সরকার দাবি করে সোমালিয়ার আল-শাবাব যোদ্ধারা এডিএফ বিদ্রোহীদের সাথে আঁতাত করেছে।

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা, সাধারণ জনগন, ডিআরসি, প্রচার মাধ্যম এবং সামরিক পরিকল্পনা সম্পর্কে যোগাযোগ বিষয়ক একজন আন্তর্জাতিক পর্যটক উৎসাহী ইরিনা পুঙ্গা (@ইর৩৩না) ডিআরসি – এর পূর্বাঞ্চলকে এডিএফ বিদ্রোহীদের প্রশিক্ষণ ঘাঁটি হিসেবে ব্যাবহার প্রসঙ্গে একটি প্রবন্ধ শেয়ার করেছেনঃ

@ইর৩৩নাঃ #উগান্ডা #এডিএফ বিদ্রোহীরা #ডিআরসি – এর পূর্বাঞ্চলকে প্রশিক্ষণ ঘাঁটি হিসেবে ব্যাবহার করছে  http://goo.gl/CCqcQ

উগান্ডার একজন সাংবাদিক ও ব্লগার, মুবাতসি আসিনজা এইচ (@আসিনজা) পরিস্থিতি সম্পর্কে তাঁর লজ্জা প্রকাশ করেছেনঃ

@আসিনজাঃ তাহলে কোনটি কি যদি এখন #উগান্ডার সামরিক বাহিনী এই দাবি প্রত্যাখ্যান করে নিয়েছে যে #ডিআরসি – এর কোমাঙ্গো শহরে #এডিএফ বিদ্রোহীরা হামলা চালিয়েছে?

রুয়ান্ডায় উগান্ডার রাষ্ট্রদূত রিচার্ড কাবোনেরো (@রিচার্ডকাবোনেরো) সাবধান করে বলেছেনঃ

@রিচার্ডকাবোনেরোঃ ডিআরসি সরকার এবং আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীর কাছে এটা আমাদের পরিষ্কার করতে হবে যে, উগান্ডায় এডিএফ কোন ধরনের আক্রমন চালালে তাঁর ফলাফল হবে অত্যন্ত ভয়াবহ।

মুসোকা বিন কিয়াবাজিং (@মুসোকাকে) রাষ্ট্রদূতকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন, উগান্ডা ১৯৯৮ সাল থেকে বিদ্রোহীদের কাছে “এটা পরিষ্কার করে আসছে”:

@মুসোকাকেঃ @রিচার্ডকাবোনেরো আমি মনে করি, ১৯৯৮ সালেই আমরা এটা পরিষ্কার করেছি……পাশাপাশি প্রকৃত অর্থেই আমাদের “এটা পরিষ্কার করা”  প্রয়োজন, তাঁরা কি জানে না?

উগান্ডার অধিক বুদ্ধি-শক্তি সম্পন্ন নিউজ কভারেজের জন্য পরিচিত, উগান্ডার অন্যতম নেতৃস্থানীয় একটি টেলিভিশন কেন্দ্র, এনটিভি উগান্ডা (@এনটিভিউগান্ডা) রিপোর্ট করেছেঃ

@এনটিভিউগান্ডাঃ উগান্ডার রেড ক্রস ১৯ হাজার উদ্বাস্তুকে তালিকাভুক্ত করেছে, যারা একটি #এডিএফ আক্রমনের কারনে বুন্দিবুঙ্গিয়ের আর লামিয়া এবং কামাঙ্গো থেকে পালিয়ে বর্ডার পার হয়ে উগান্ডা এসেছে।

লুসি বেক (@লুসিবেক) চিত্রের সাহায্যে উগান্ডায় পালিয়ে আসা উদ্বাস্তুদের অবস্থা ব্যাখ্যা করতে একটি ছবি শেয়ার করেছেনঃ

@লুসিবেকঃ ১ বছর বয়সী উশুন্দির বাড়িতে #এডিএফ হামলার পর, ১ দিন ধরে তাঁর মায়ের পিঠে বাঁধা অবস্থায় থেকে #উগান্ডা পৌঁছেছে  http://yfrog.com/ocdilpxj

তিনি (@লুসিবেক) পরে রিপোর্ট করেছেনঃ

@লুসিবেকঃ #বুন্দিবুঙ্গিয়তে আমাদের নতুন অতিক্রমণ কেন্দ্রে ইতোমধ্যে ৩ হাজার লোক আছে + আধঘন্টা অন্তর আরো লোক আসছে। প্রতি চারজনে দু’জন গরম খাবার + প্রয়োজনীয় পরিমান বিশ্রাম পাচ্ছে #এডিএফ 

কঙ্গো গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রে জাতিসংঘ সংস্থার স্থায়ীকরন মিশন @মনুস্কো, কিভুতে সাম্প্রতিক যুদ্ধ সম্পর্কে টুইট করেছেঃ

@মনুস্কোঃ #কিভু– এর উত্তরে, #মনুস্কো #এডিএফ– এর সেনা দলের ওপর ওঁত পেতে থেকে প্রতিরোধ করেছে এবং পুনরায় আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দিয়েছে যে শান্তিরক্ষীদের ওপর চালানো যেকোন ধরনের আক্রমন যুদ্ধাপরাধ বলে গণ্য হবে।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .