একমাস জুড়ে চলা লাগাতার এক বিক্ষোভের মুখে ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ তারিখে বুলগেরিয়ায় বয়কো বরিসভ সরকারের পতন ঘটে, আর এখন থেকে মাত্র ৫ দিনের কম সময়ের মধ্যে ১২ মে তারিখে বুলগেরিয়ার জনগণ একটি নতুন সংসদ নির্বাচনের জন্য ভোট প্রদান করবে (আর এই বিষয়ে গ্লোবাল ভয়েসেস-এর একটি বিস্তারিত একটি লেখা এখানে প্রদান করা হয়েছে।)।
তবে আগামীতে যে সরকার আসছে সে যে নিরপেক্ষভাবে নির্বাচিত এ বিষয়ে সন্দেহ রয়ে যাবে। নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় লঙ্ঘন পর্যবেক্ষণে সাহায্য করার জন্য, বুলগেরিয়ার একটিভিস্টরা বেশ কিছু অনলাইন টুলস তৈরী করেছে।
- গণ পরিবেশ উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান ( আইপিইডি), নামক অলাভজনক প্রতিষ্ঠান Аз Гласувам নামক প্ল্যাটফর্ম তৈরী করেছে [বুলগেরীয় ভাষায়, যার অর্থ হচ্ছে “ভোট”], যারা কিনা বুলগেরিয়ায় রাজনৈতিক বিষয়াবলী এবং সামাজিক পরিবর্তনকে সমর্থন করে। আইপিইডি বুলগেরীয় সরকারের মাঝে জনগণের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি, মাফিয়া রাজনীতি যাতে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়ে তার জন্য কাজ করে, তাদের কর্মকাণ্ডের উদ্দেশ্য একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করা, এবং দূর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া। তাদের এই প্লাটফর্মের লক্ষ্য হচ্ছে বুলগেরিয়ার ভোটারদের অধিকার তুলে ধরা, আসন্ন নির্বাচনে যে প্রশ্ন গুলো সবচেয়ে আলোচিত সে সব প্রশ্নের উত্তর প্রদান করা, নির্বাচনী বিধিমালা ভঙ্গের বিষয়ে সংবাদ প্রদানে সাহায্য করা, প্রচার মাধ্যমে প্রকাশিত নির্বাচন বিষয়ক সংবাদের সঙ্কলন তৈরী করা।
- За честни избори (“সুন্দর নির্বাচনের জন্য”; বুলগেরীয় ভাষায়] হচ্ছে একটি উশাহিদি-ভিত্তিক ক্রাউডম্যাপিং প্লাটফর্ম, যা কিনা নির্বাচনী বিধিমালা লঙ্ঘনের সংবাদ প্রদান করবে (এখানে ফেসবুক, টুইটার, এবং ইমেইলের মাধ্যমে টেক্সট ও ছবি সংগ্রহ করা হবে)।
- ভোট কেনা এবং নিয়ন্ত্রণ করা বিষয়ক এক গণ প্রচারণা নামক সাইটটি হচ্ছে এমন এক সাইট, যা ভোট কেনা এবং অন্য সব বিধিমালা লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে কি ভাবে লড়াই করা যায় সে বিষয়ে সংবাদ সংগ্রহ, তাজা খবর প্রদান, এবং এই ক্ষেত্রে করণীয় উপদেশসমূহ কি তা প্রদান করবে।
টুইটারে, নেট নাগরিকরা #বিগিজবোরি২০১৩,#ইজবোরি ২০১৩ এবং #ইজবোরি (বুলগেরীয় ভাষায় ইজবোরি মানে নির্বাচন), হ্যাশট্যাগের মাধ্যমে নির্বাচনী বিধিমালা লঙ্ঘন এবং তাজা সংবাদ প্রদান করতে পারবে।